সোমবার- ১লা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৭ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
টেন্ডার ছাড়াই গাছ কাটলেন বোদা নয়াদিঘী দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক

টেন্ডার ছাড়াই গাছ কাটলেন বোদা নয়াদিঘী দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক

পঞ্চগড় : নিয়ম নীতিকে তোয়াক্কা না করে বিদ্যালয়ের টেন্ডার ছাড়াই অবৈধ ভাবে কাঠাল ও আম বড় দুটি গাছ কাটলেন পঞ্চগড়ের বোদা নয়াদিঘী দ্বিমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ প্রধান।
গত শুক্রবার (৪ নভেম্বর) বিদ্যালয় চত্বরে থাকা বড় কাঠাল গাছ ও আম গাছ ম্যানেজিং কমিটির মিটিং ছাড়াই গাছ দুটি বিক্রি করেন।
সরকারী নিয়ম অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের গাছ কর্তন করার পূর্বে ম্যানেজিং কমিটির মিটিং ও বনবিভাগ কতৃক অনুমোদন সাপেক্ষে গাছ কর্তন করার নিয়ম থাকলে নিজের খেয়াল খুশিমত গাছ দুটি বিক্রি করে দিলেন প্রধান শিক্ষক। এনিয়ে ওই এলাকায় জনমনে এক চাঞ্চল্যকর সৃস্টি দেখা দিয়েছে।
খোজ নিয়ে জানা যায়,গত ৪ নভেম্বর স্কুলের ৪তলা ভবন উদ্বোধনের জন্য বিশাল একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন,রেলপথমন্ত্রী এডভোকেট মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন এমপি।
বোদা নয়াদিঘী দ্বিমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে কয়েক লাখ টাকা দিয়ে কন্ঠ শিল্পি আখিঁ আলমগীর সহ আরো অনেককে সেই অসুস্ঠানের নাচ গানের খরচ মেটাতে নিয়ম না মেনে অবৈধ উপায়ে কাটা হয় স্কুলের একটি বড় কাঠাল গাছ ও একটি বড় আম গাছ।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় প্রধান শিক্ষক ওই এলাকার গাছ ব্যাবসায়ী হযরত আলীর নিকট কাঠাল ও আম গাছ দুটি বিক্রি করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক জানান,বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সরকার দলীয় লোক,বর্তমান বোদা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সে কারণে তিনি বিদ্যালয়টি নিয়ে যা ইচ্ছে তা করে চলছে।
প্রধান শিক্ষক হওয়ার পর হতে তিনি নিয়োগ বানিজ্যসহ না রকম অনিয়ম করে আসছেন। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন। ভয়ে কোন শিক্ষক তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলতে পারছেন না। বিশেষ করে রেলমন্ত্রীর এপিএস এর চাচাতো ভাই হওয়ার কারণে সবাইকে দাবিয়ে রাখেন। এছাড়া বোদা নয়াদিঘী দ্বিমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তাঁর আপন চাচি।
স্থানীয়রা জানান,তাঁর পরিবারের সদস্যরা বর্তমানে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে চলছেন। পুরো গ্রাম ভয়ে কথা বলেন না। বিদ্যালয়টিকে নিজের বাসাবাড়ি করে রেখেছেন। শুধু গাছ কর্তন নয়। এরকম অনেক অভিযোগ রয়েছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
এদিকে গাছ ব্যবসায়ী হযরত আলী সংবাদ প্রতিক্ষনকে জানান,বিদ্যালয়ের একটি কাঠাল গাছ ও একটি আম গাছ আমার নিকট বিক্রি করেন প্রধান শিক্ষক। আমি গাছ দুটি ক্রয় করি। তবে বনবিভাগের অনুমোদনের কাগজের কথা বললে তিনি বলেন এগুলো কিছু লাগবেনা আমি আছি।
বনবিভাগের দেবীগঞ্জ রেঞ্জকর্মকর্তা আব্দুল কাদের জানান,আমি এ বিষয়ে কিছুই জানিনা। আমার কাছে অনুমোদনের বিষয় কোন তথ্য নেই। তবে নিয়ম না মেনে কেউ গাছ কর্তন করলে তাঁর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এবিষয়ে নয়াদীঘি দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ প্রধান সংবাদ প্রতিক্ষনকে বলেন,গাছ আমি কেটেছি। কোন রকম অনুমোদন নেই। আপনারা যা পারেন তাই লিখেনা।

১৯৬ বার ভিউ হয়েছে
0Shares