বুধবার- ১লা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৮ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মালয়েশিয়ান সী-উইডস ল্যাব পরিদর্শনে ইউজিসি ফেলো প্রফেসর আফজালকে আমন্ত্রণ

মালয়েশিয়ান সী-উইডস ল্যাব পরিদর্শনে ইউজিসি ফেলো প্রফেসর আফজালকে আমন্ত্রণ

আব্দুল মান্নান: সী উইডস সম্পর্কিত ইন্ড্রাস্ট্রিজ, ল্যাবরেটরি ও বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনের জন্য মালয়েশিয়া সফর করেছেন ইউজিসি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ফেলো প্রফেসর ড. এম. আফজাল হোসেন ও সোনিয়া গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এনায়েত উদ্দিন মোঃ কায়সার খান। পরিদর্শনের জন্য আমন্ত্রণ জানান  ফসওয়া এসডিএন বিএইচডি (FOSHWA SDN BHD) এর সিইও ( CEO) মোহাম্মেদ মহিউদ্দিন ভুঁইয়া।
এ ব্যাপারে সিইও মোহাম্মেদ মহিউদ্দিন ভুঁইয়া আমন্ত্রণ পত্রে বলেছেন, এটা আমার জন্য অত্যন্ত আনন্দের যে, আপনি UGC এর  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ফেলো-২০২১  হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছেন এবং “বাংলাদেশের নীল অর্থনীতির উন্নয়নের জন্য সমুদ্র শৈবালের প্রভাব অনুসন্ধান” শিরোনামে একটি প্রকল্পে কাজ করছেন। আমি বুঝতে পারি যে, প্রকল্পটি বাংলাদেশের মতো একটি দেশে, যেখানে খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে রয়েছে সেখানে শক্তির উৎস, প্রোটিনের প্রয়োজনীয়তা এবং অন্যান্য মূল্যবান মাইক্রো নিউট্রিয়েন্ট সহ একাধিক গুণসম্পন্ন বিকল্প খাদ্য উৎস হিসেবে সামুদ্রিক শৈবাল ব্যবহার করার জন্য অবশ্যই কিছু ধারণা দেবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে, মালয়েশিয়ায় সামুদ্রিক শৈবাল নিয়ে কাজ করা আমাদের কিছু গবেষণাগার/শিল্প পরিদর্শন করার জন্য এই বছরের জুলাইয়ের মাঝামাঝি এক সপ্তাহের জন্য আপনাকে মালয়েশিয়া ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানাতে পেরে আমি অত্যন্ত খুশি। সেক্ষেত্রে আমরা এই দেশে আপনার থাকার সময়কালে স্থানীয় পরিবহন সহ আপনার লজিস্টিক সহায়তা প্রদান করব।
সিইও মোহাম্মেদ মহিউদ্দিন ভুঁইয়ার আমন্ত্রণের প্রেক্ষিতে মালয়েশিয়া সফর করেন  ইউজিসি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ফেলো প্রফেসর ড. এম. আফজাল হোসেন ও সোনিয়া গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এনায়েত উদ্দিন মোঃ কায়সার খান। মালয়েশিয়া সফরে তারা সী উইডস সম্পর্কিত বিভিন্ন ল্যাব, ইন্ড্রাস্ট্রিজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করেন। এ সময় সঙ্গে ছিলেন ইনস্টিউট অব এডভান্সড স্টাডিজ এর প্রফেসর ড. আদিবি রাহিমান নুর। তিনিও ভাতের বিকল্প হিসেবে সী-উইডস কে মালয়েশিয়ান খাবার হিসেবে প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছেন।
পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি সম্পর্কে ইউজিসি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ফেলো প্রফেসর ড. এম. আফজাল হোসেন বলেন, সমুদ্র সম্পদ আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি সম্ভাবনাময় খাত। বিশাল এই সমুদ্র জলরাশির মাঝে বিভিন্ন ধরনের সম্পদ নিমজ্জিত আছে। এসব সম্পদের মধ্যে কিছু প্রজাতির সী-উইডসআছে।  যেগুলোতে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন আছ যা ফিস ফিড হিসেবে আমদানি করা ফিস অয়েলের বিকল্প হতে পারে। আবার কিছু প্রজাতি অ্যানিমেল ফিডের মান বৃদ্ধিতে ব্যবহৃত হতে পারে। তিন ধরণের সি-উইডের মধ্যে সবুজটি সাধারণত খাবার বা সালাদ হিসেবে খাওয়া হয়। আর লালটি হাইড্রোকলয়েড উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়। আর বাদামি সি-উইড খাবার ও হাইড্রোকলয়েড উৎপাদন দুই কাজেই ব্যবহার হয়। হাইড্রোকলয়েড উৎপাদন সাধারণত শিল্প উৎপাদনে জলীয় কাঁচামাল হিসেবে কাজে লাগে। কসমেটিকে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় এমন কিছু উপাদান পাওয়া যায় এমন সী-উইডও অনেক পাওয়া গেছে সমুদ্রে।
তিনি আরও বলেন, মালয়েশিয়ার বিভিন্ন ইন্ড্রাস্ট্রিজ   সী-উইডস থেকে বিভিন্ন ধরনের খাবার ও প্রসাধনী তৈরি করছে। এটি যেমন এখানকার মানুষের খাবার হিসেবে এবং প্রসাধনী ব্যবহারে ভূমিকা পালন করছে তেমনি অনেক মানুষের কর্ম সংস্থানের সৃষ্টিতেও কাজ করছে। ফলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সী-উইডস এর গুরত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। আমরাও যদি আমাদের দেশের সামুদ্রিক শৈবালকে খাবার উপযোগী করে তুলতে পারি তাহলে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পাশাপাশি ভাত/প্রোটিনের বিকল্প উৎস্য হিসেবে কাজে লাগানো সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য যে, প্রফেসর ড. এম. আফজাল হোসেন’Exploration  the impact of Seaweed for the development of Blue Economy of Bangladesh’ শিরোনামে প্রথমবার ইউজিসি প্রবর্তিত ইউজিসি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ফেলো হিসেবে নির্বাচিত হন।
২৪০ বার ভিউ হয়েছে
0Shares