সোমবার- ১লা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৭ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পঞ্চগড়ে প্রক্সির মাধ্যমে নিয়োগ পরিক্ষায় পাশ, মৌখিক পরীক্ষায় দুই পরীক্ষার্থী আটক

পঞ্চগড়ে প্রক্সির মাধ্যমে নিয়োগ পরিক্ষায় পাশ, মৌখিক পরীক্ষায় দুই পরীক্ষার্থী আটক

পঞ্চগড়: পঞ্চগড় জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সির মাধ্যমে পাশ করে মৌখিক পরীক্ষা দিতে এসে আটক হয়েছে দুই নারী পরীক্ষার্থীসহ চারজন।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে মামলা দায়েরের পর আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলা হাজতে প্রেরণ করা হয়।
আসামীরা হলেন, পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলার মির্জাপুর তেলিপাড়া গ্রামের ইসলাম উদ্দিন এর মেয়ে ইয়াসমিন (২১), একই উপজেলার মির্জাপুর নলপুকুরি গ্রামের লতিফুর রহমানের মেয়ে মৌসুমি আক্তার (২৮), মির্জাপুর তেলিপাড়া গ্রামের ইসলাম উদ্দিন এর ছেলে সাইদুর রহমান (২৪), ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী বড়বাড়ি গ্রামের শামসুল হকের ছেলে আসামি ইয়াসমিনের স্বামী এএসআর মাসুদ রয়েল (২৮)। এদিকে পঞ্চগড় সদরের ধাক্কামারা এলাকার দুলালসহ অজ্ঞাতনামা আসামীরা পলাতক রয়েছেন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ নভেম্বর পঞ্চগড় জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের পরিবার কল্যাণ সহকারী পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত পরীক্ষায় আসামী ইয়াসমিন এবং মৌসুমী পঞ্চগড় সরকারী গার্লস স্কুলে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার কথা ছিল। কিন্তু প্রক্সির মাধ্যমে অন্যকেও অংশগ্রহণ করেন। এবং লিখিত পরীক্ষায় পাস করেন।
গত ২৮ নভেম্বর দুপুরে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মৌখিক পরীক্ষা দিতে আসেন ইয়াসমিন ও মৌসুমী। এ সময় তাদের পরীক্ষার প্রশ্নের বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে এলোমেলো অসংলগ্ন উত্তর দেন।
পরিবার কল্যাণ সহকারী এর মৌখিক পরীক্ষা বোর্ডের প্রাথমিকভাবে সন্দেহ হলে তাদের লিখিত পরীক্ষার দিনের উত্তরপত্রের অনুরূপে সাদা পৃষ্ঠা কাগজে লিখতে দেন। এ সময় লিখিত পরীক্ষার লেখার সাথে মৌখিক পরীক্ষায় দেওয়া লেখা কোন মিল না থাকায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাদের। পরে কৌশলে বোর্ড প্রক্সির বিষয়টি জানতে পারে এবং অপর আসামিদের সম্পর্কে জানতে পারে।
আটক অপর দুইজনকে মৌখিক পরীক্ষায় কৌসলে ডাকা হলে সত্যতা পেয়ে তাদের আটক করে রাতে পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশের হেফাজতে চারজনকে তুলে দেয়া হয়।
মঙ্গলবার পঞ্চগড় পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপপরিচালক বিপ্লব বড়–য়া বাদী হয়ে আসামিদের নামে থানায় এফআইআর দায়ের করেন।
জিজ্ঞাসাবাদে আসামি ইয়াসমিন শিকার করেন তার ভাই সাইদুর এবং স্বামী রয়েল তাকে লিখিত পরীক্ষায় পাস করার বিষয়ে সহায়তা করেন। এদিকে সাইদুর ও রয়েলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা জানান পঞ্চগড় সদর থানার ধাক্কামারা ইউনিয়নের দুলাল নামে পলাতক অপর ব্যক্তি ইসাসমিনকে পরীক্ষা না দিয়ে প্রক্সির মাধ্যমে পাশ করে চাকুরি নিয়ে দিবেন বলে ১২ লক্ষ টাকায় চুক্তি করেন।
এদিকে মৌসুমিকেও সাইদুর, রয়েল ও দুলাল টাকার বিনিময়ে প্রক্সির মাধ্যমে চাকুরি প্রদান করার চুক্তি করেন।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিঞা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুপুরে চার আসামীকে জেলা হাজতে প্রেরণ করা হয়।

১৬৬ বার ভিউ হয়েছে
0Shares