
ঘোড়াঘাটে তরমুজ দাম মধ্যবৃত্তের নাগালের বাহিরে

আজহারুল ইসলাম সাথী ঘোড়াঘাট দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ শীতের জরাজীর্ণতা কাটিয়ে শুরু হয়েছে ফাল্গুনের উষ্ণ আবহাওয়া, সকালের সূর্য্যের তাপ জানান দিচ্ছে চৈত্রের তাপদাহ আসন্ন। এরেমধ্যে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে উঠতে শুরু করেছে গ্রীষ্মকালের জনপ্রিয় ফল তরমুজ। তাপদাহ পুরোপুরি শুরু না হলেও, রোজাদারদের আকৃষ্ট করছে এই ফল। কিন্তু দাম কিছুটা চড়া হওয়ায় দেখা দিয়েছে ক্রেতার আকাল। সরেজমিনে দেখা যায় পৌর শহরের ঘোড়াঘাট, ওসমানপুর বাজার, রাণীগঞ্জ বাজার, বলগাড়ী বাজার, ডুগডুগি বাজারসহ দেখা গেছে ফুটপাতে তরমুজের দোকান। থরে থরে সাজিয়ে রাখা হয়েছে বিভিন্ন আকারের তরমুজ। তবে দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতা কিছুটা কম। দোকানে কিছু কিছু ক্রেতা আসলেও দাম নাগালের বাহিরে থাকায় ঘুরে যাচ্ছেন। কেউ কেউ চাহিদা ও দামের হিসেব কষে প্রয়োজন মত কিনছেন। ফলে আমদানী থাকেেলা জমে ওঠেনি তরমুজের বাজার। রাণীগঞ্জ বাজার তরমুজ ব্যবসায়ী মো. জয় প্রতি কেজি তরমুজ ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। তারা জানান, বরিশালে উৎপাদিত তরমুজ কয়েক হাত বদল হয়ে জয়পুরহাট মোকাম থেকে পিস ও মণ হিসেবে তারা কিনেছেন । বেশি দামে কেনা তাই বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে বলে জানান তিনি। আরেক তরমুজ ব্যবসায়ী হামিদ মিয়া বলেন, মাটির অবস্থান ভেদে অনেক সময় অপরিপক্ক তরমুজ সাইজে বড় হলেই বাজারজাত করা হয়। তবে এখানকার তরমুজ ভালো মাটির তাই পরিপক্ক। মৌসুমের প্রথমে যে কোন ফলের দাম একটু বেশি থাকে। এদিকে তরমুজ ক্রেতা মাহিন ইসলাম বলেন, মৌসুমের নতুন ফল হলেও দাম কিছুটা বেশি। তাছাড়া কেজি দরে বিক্রি করছে অর্থাৎ একই দামে তরমুজের খোসাও কিনতে বাধ্য হচ্ছি আমরা। আর এক ক্রেতা সাবু মিয়া বলেন, আগাম জাতের পরিপক্ক বলা হলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ভেতরে অপরিপক্ক সাদা বীজ দেখা যাচ্ছে। ছেলে মেয়ের আবদারে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। আরেক ক্রেতা সিরাজুল আহমেদ বলেন, আগাম জাতের পরিপক্ক বলা হলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ভেতরে অপরিপক্ক সাদা বীজ দেখা যাচ্ছে। ছেলে মেয়ের আবদারে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।