বৃহস্পতিবার- ২৭শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৩ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মন্দিরের উন্নয়নে শোভা পাচ্ছে পাকা রাস্তার দুই ধারের সুপারির সারি।

মন্দিরের উন্নয়নে শোভা পাচ্ছে পাকা রাস্তার দুই ধারের সুপারির সারি।

বদিয়ার রহমান লালমনিরহাট প্রতিনিধি। লালমনিরহাট সদর উপজেলার অদুরে দুড়াকুটি দক্ষিণপাড়া দুর্গা মন্দিরের সৌজন্যে পাকা রাস্তার দুই ধারে শোভা বর্ধনের জন্য নিজ উদ্যোগে মডেল হিসেবে কিছু সুপারি গাছের চারা রোপন করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিলেন  লক্ষ্মী কান্ত বর্মন ওরফে লক্ষ্মী মাষ্টার।  তিনি লক্ষী মাষ্টার নামে এলাকায় ব্যাপক পরিচিত। দুড়াকুটি দক্ষিণপাড়া দুর্গা মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক ও পার্শ্ববর্তী ভেলাবাড়ি স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক লক্ষ্মী কান্ত বর্মন।
যে উদ্দেশ্য সমূহ নিয়ে সারি সারি সুপারি গাছের চারাগুলো রোপন করেছিলেন এই শিক্ষক, তা হলো, রাস্তার সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা পাবে,
রাস্তার ভাঙ্গন ও মাটির ক্ষয় রোধ হবে,
ধর্মীয় অনুষ্ঠানে আলোকসজ্জার জন্য সুপারির গাছগুলোকে খুঁটি হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। প্রতিবছর সুপারি গাছের সুপারি বিক্রি করে মন্দিরের উন্নয়নমূলক কাজ সহ পূজা পার্বণের খরচ মেটানো সম্ভব হবে। জ্বালানির অভাব কিছুটা হলেও দূর হবে বলে মনে করছেন পরিবেশ ও গাছ প্রেমি এই শিক্ষক।
যে সকল পরিকল্পনা নিয়ে সুপারি গাছ গুলো রোপন করেছিলেন লক্ষ্মী মাষ্টার সে উদ্দেশ্য সফল হয়েছে বলে মনে করেন তিনি। বর্তমানে ২৬০ টি উন্নত জাতের সুপারি গাছ শোভা পাচ্ছে মন্দির সংলগ্ন রাস্তার দুই পাশ জুরে। এ বছর মন্দিরের সুপারি গাছ গুলো থেকে সুপারি বিক্রি করে আয় হয়েছে ৩৫ হাজার টাকা।
সুপারি গাছগুলোকে দেখলে মনে হয় গাছে শুধু সুপারিই নয় বাতাসে  দুলছে। এই মডেল অনুসরণ করে মোগলহাট ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে ন্যূনতম এক কিলোমিটার করে ঌ টি ওয়ার্ডে মোট ১০ কিলোমিটার রাস্তার দুই পাশে সুপারির গাছ রোপন করলে, গোটা ইউনিয়ন আর্থিকভাবে লাভবান হবে বলে তার দাবি। পরিবেশ প্রেমি এই শিক্ষক বলছেন, এক কিলোমিটার রাস্তায় ২ মিটার পর পর সুপারির চারা রোপন করলে রাস্তার দুই পাশে এক কিলোমিটার রাস্তায় ১০০০ টি সুপারির গাছ রোপন করা যাবে। এভাবে ১০ কিলোমিটার রাস্তায় মোট ১০ হাজার টি সুপারির চারা রোপন করা সম্ভব। সঠিক পরিচর্যা ও যত্ন নিলে চারা রোপনের ৪-৫ বছর পর প্রতি গাছে, গড়ে ২০০ টি করে সুপারি ফল ধরবে। এক একটি সুপারি গড়ে ৫ টাকা হলে একটি গাছ থেকে আয় হবে বছরে  ১০০০ টাকা। আর একটি গাছ থেকে এক হাজার টাকা আয় হলে ১০,০০০ টি গাছ থেকে প্রতি বছর আয় হবে ১ (এক) কোটি টাকা। জনপ্রতিনিধি সহ যথাযথ কর্তৃপক্ষ সু-দৃষ্টি দিলে লালমনিহাট জেলায় ৪৫টি ইউনিয়নে সুপারির চারা রোপন করা সম্ভব হবে এবং লালমনিহাট জেলা বাংলাদেশের মধ্যে পরিচিতি লাভ করবে। শুধু লালমনিহাট জেলায় নয় সারা দেশে সুপারি গাছ লাগানোর উপযোগী যতগুলো রাস্তা আছে এ মডেল অনুসরণ করলে বিশ্বের মাঝে পরিচিতি পাবে বাংলাদেশ।
৬৭১ বার ভিউ হয়েছে
0Shares