লালমনিরহাটে বন্যা সহনশীল মসজিদ হস্তান্তর
১০০ ক্লাবের বাস্তবায়নে এস.এস.সি/২০০৩ইং বন্ধুদের অর্থায়নে লালমনিরহাটের থানাপাড়াস্থ আপনায়নের উদ্যোগে চোংগাদ্বারা জামে মসজিদের মুসল্লিগণের সহযোগিতায় এবার তাদের মসজিদ করে দিয়েছে।
শনিবার (৩০ মার্চ) লালমনিরহাটের খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের পূর্ব কালমাটি গ্রামে এই মসজিদ হস্তান্তরের পরই এ আনন্দে আত্মহারা তারা।
এ বার ফের বন্যা হলেও এই মসজিদ ভাঙবে না বলে তাদের বিশ্বাস। তবে ভাঙ্গণ দেখা দিলে মসজিদটি দ্রুত সরিয়ে ফেলা যাবে বলেন জানিয়েছে তারা।১০০ ক্লাবের তৈরি করে দেওয়া চোংগাদ্বারা জামে মসজিদ পেয়ে উপস্থিত সাধারণ মানুষও যারপরনাই খুশি।
শনিবার (৩০ মার্চ) এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মসজিদ হারানো মুসল্লিদের মাঝে এ ফিতাকেটে শুভ উদ্বোধন করে মসজিদ হস্তান্তর করেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ।আপনায়ন এর স্বত্বাধিকারী মোছাঃ হাছিনা বেগম জানান, গত বছর তিস্তা নদীর বন্যায় চোংগাদ্বারা জামে মসজিদসহ এলাকা ভাঙ্গণ দেখা দেয়। এতে উক্ত মসজিদটি ভেঙে গেছে। আমরা জানতে পারি মুসল্লিরা কষ্ট করে অন্যত্র নামাজ আদায় করছে। তাই আমরা আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রায় সাড়ে ৮লক্ষ টাকা ব্যয় করে বালি ভর্তি জিও ব্যাগ, মাটি ভরাট, রড, সিমেন্টের সিঁড়ি, কাট, প্লেনসিট, ঢালী টিন দিয়ে এ মসজিদটি নির্মাণ করে দিয়েছি।
১০০ ক্লাবের সদস্য এম এ এইচ আকাশ বলেন, এর মাধ্যমে লালমনিরহাটের মুসল্লিদের জন্য বন্যা সহনশীল মসজিদ নির্মাণ করা হলো।ক্ষতিগ্রস্ত মুসল্লিদের জন্য শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ওই মুসল্লিদের মাঝে এই মসজিদ হস্তান্তর করা হয়।শনিবার দুপুরে এ উপলক্ষে লালমনিরহাটের পূর্ব কালমাটি (চোংগাদ্বারা) গ্রামে আয়োজিত মসজিদ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ।ন্যান্যের মধ্যে এ সময় উপস্থিত ছিলেন খুনিয়াগাছ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ. এস. এম খায়রুজ্জামান মন্ডল, ১০০ ক্লাবের সদস্য এম এ এইচ আকাশ, আবু বক্কর সিদ্দিক, আপনায়ন এর স্বত্বাধিকারী হাছিনা বেগম ও চোংগাদ্বারা জামে মসজিদের মুসল্লিগণ।লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মুসল্লিদের মাঝে নবনির্মিত মসজিদের হস্তান্তর করেন।