শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
লালমনিরহাট সদর ব্রীজ আছে রাস্তা নেই পাঁচ গ্রামের মানুষের চরম দুর্ভোগ

লালমনিরহাট সদর ব্রীজ আছে রাস্তা নেই পাঁচ গ্রামের মানুষের চরম দুর্ভোগ

লালমনিরহাট প্রতিনিধি।লালমনিরহাটের মোগলহাট ইউনিয়নের ইটাপোতা নবী মিস্ত্রির বাড়ীর দক্ষিণে ছড়ার উপর নির্মিত গার্ডার ব্রীজ নির্মাণের দীর্ঘ দিন অতিবাহিত হলেও দুপাশে মাটি ভরাটসহ সংযোগ সড়ক না থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে মোগলহাট ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। এ ব্রীজ অতিক্রম করে যেতে হয় কর্ণপুর, বুমকা, খারুয়া, ইটাপোতাসহ আশে পাশের বিভিন্ন গ্রামের কয়েক হাজার মানুষকে।

এলাকাবাসী জানান, আশেপাশের প্রায় ৫টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ উপজেলা সদরে আসার জন্য দীর্ঘদিনের চাওয়া ছিল ইটাপোতা নবী মিস্ত্রির বাড়ীর দক্ষিণে ছড়ার উপর একটি ব্রীজ। ইটাপোতা ছড়ার উপর ব্রীজ নির্মিত হলেও দুর্ভোগ কমেনি এলাকাবাসীর। সংযোগ সড়ক নির্মিত না হওয়ায় তাদের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। ব্রীজ নির্মিত হলেও তারা ব্রীজ ব্যবহার করতে পারছে না। তার উপর তাদের যে পায়ে হাটার রাস্তা রয়েছে সেটিও বর্ষা মৌসুমের কয়েক মাস পানিতে ডুবে থাকে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থ বছরে ৬৮লক্ষ ৬৮হাজার ৭শত ৩টাকা ব্যয়ে ইটাপোতা নবী মিস্ত্রির বাড়ীর দক্ষিণে ছড়ার উপর ১৫মিটার ব্রীজ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। মেসার্স জামান এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দীর্ঘ দিন আগে এ নির্মাণ কাজ শেষ করে। ব্রীজ নির্মাণের পর ব্রীজের দুপাশে মাটি ভরাট করার কথা থাকলেও মাটি ভরাট করা হয়নি। চলাচলের বিকল্প কোন রাস্তা না থাকায় ব্রীজের দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে এলাকাবাসী।

রাস্তা দিয়ে চলাচলকারীরা জানান, আগে ব্রীজ ছিল না, তখন যেভাবে কাপড় ভিজিয়ে রাস্তা পাড় হয়েছি ব্রীজ নির্মাণের পরও একই অবস্থা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি ছিল ব্রীজ কিন্তু ব্রীজ নির্মিত হলেও এর কোন সুফল আমরা পাচ্ছি না। রাস্তা না থাকায় রোগী, শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের যাতায়াত দুরহ হয়ে পড়েছে। মাটি ভরাটের কাজ নিয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান টালবাহানা করছে। এরপর ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মাটি ভরাট না করেই চলে যায়।

৬৩ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS