রবিবার- ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
করমুক্ত দুবাই আকর্ষণ বাড়াচ্ছে বিদেশিদের

করমুক্ত দুবাই আকর্ষণ বাড়াচ্ছে বিদেশিদের

সংযুক্ত আরব আমিরাতঃ

র মাধ্যমে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) সারা বিশ্বে পরিচিতি লাভ করেছে। বিশেষ করে দুবাইয়ের মতো জনবহুল শহর বিদেশীদের কাছে করস্বর্গ হয়ে উঠেছে। খবর খালিজ টাইমস।

সম্প্রতি একটি প্রবাসী বীমাবিষয়ক সংস্থার জরিপে দেখা যায়, চলতি বছর বিদেশীদের করমুক্ত সুযোগ-সুবিধা দেয়ার দিক থেকে শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম হল ইউএই। বিশেষ করে দুবাই বৈশ্বিক ফাইন্যান্সিয়াল হাব হিসেবে এখন বিদেশীদের কাছে ক্রমেই আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে।

উড়োজাহাজে ভ্রমণ, বাড়ি ভাড়া ও পরিষেবা বিলসহ বিভিন্ন খাত বিবেচনায় এ তালিকা প্রকাশ করেছে উইলিয়াম রাসেল। সেখানে বলা হয়, ইউএইতে গড় মাসিক নেট বেতন ১৩ হাজার ১৫ দিরহাম ও গড় খরচ ৩ হাজার ৫৯০ দিরহাম। উভয় ক্ষেত্রে জিরো ট্যাক্স সুবিধা দেয় এমন সব দেশকে ছাড়িয়ে গেছে ইউএই।
দুবাই নিয়ে বিদেশীদের আগ্রহ বেশ পুরনো। ‘সেফ হ্যাভেন’ শব্দবন্ধে পরিচিত হয়েছে সাম্প্রতিক বছরগুলোয়। বলা হয়ে থাকে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রকাশ্যে-গোপনে বিপুল পরিমাণ মূলধন স্থানান্তর হচ্ছে এ অঞ্চলে। এ অর্থ পুনর্বিনিয়োগে ফুলেফেঁপে উঠছে অঞ্চলটির আর্থিক, ভূসম্পত্তি ও আবাসনসহ বিভিন্ন খাত। সে কথার কাছাকাছি সুর পাওয়া যায় ইউএইয়ের আবাসন খাতের অন্যতম প্রতিষ্ঠান শোভা গ্রুপের চেয়ারম্যান পিএনসি মেননের কথায়। তিনি বলেন, ‘‌সংযুক্ত আরব আমিরাতের শহরগুলো বিশেষ করে দুবাই ও আবুধাবি বিনিয়োগকারী ও প্রবাসীদের খুবই আকৃষ্ট করছে। শুধু করমুক্ত অবস্থাই নয়, এখানে রয়েছে চমৎকার অবকাঠামো, বিস্ময়কর স্থাপত্যের সন্নিবেশ, আধুনিক জীবনধারা, বিশ্বমানের আবাসিক এলাকা, রিসোর্ট ও সমুদ্র সৈকত। এর সঙ্গে রয়েছে সাশ্রয়ী জীবনযাত্রা ব্যয়, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার সঙ্গে ব্যবসা করার সুবিধা, যা সংযুক্ত আরব আমিরাতের শহরগুলোর অপ্রতিরোধ্য আকর্ষণ তৈরিতে অবদান রাখছে।’

১২ দেশ বিষয়ে উইলিয়াম রাসেলের তালিকায় বিদেশীদের জন্য সবচেয়ে সাশ্রয়ী কর-মুক্ত দেশের প্রথম স্থানে রয়েছে ওমান। রিলোকেশন স্কোরে ১০-এর মধ্যে পেয়েছে ৭ দশমিক ৯২। জায়গাটি মাসিক জীবনযাত্রা ব্যয়ের দিক থেকে সর্বনিম্ন ও পরিষেবা বিলের দিক থেকে তৃতীয় সস্তা দেশ। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে কুয়েত ও বাহরাইন।
ইউএইয়ের পর এ তালিকায় রয়েছে ব্রুনাই দারুসসালাম, মালদ্বীপ, কাতার, বাহামা, মোনাকো, কেইম্যান দ্বীপপুঞ্জ, বারমুদা ও ভানুয়াতু। এ তালিকার অধিকাংশ দেশ সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বিশ্বব্যাপী অফশোর কোম্পানির আড়ালে অর্থপাচারের গন্তব্যস্থল হিসেবে বারবার আলোচনায় এসেছে।

উইলিয়াম রাসেলের এ প্রতিবেদনে ফ্লাইট খরচ, ভাড়া ও পরিষেবা খরচসহ বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করা হয়েছে। এতে চতুর্থ স্থান নিশ্চিত করতে এক কোটি জনসংখ্যার দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত ১০-এর মধ্যে স্কোর করেছে ৫ দশমিক ৮৪। লন্ডন-আবুধাবি একমুখী ইকোনমি টিকিটের জন্য প্রবাসীদের এখানে প্রায় ১৫৪ ডলার খরচ করতে হয়। আর নিউইয়র্ক রুটে খরচ হয় ৫৩০ ডলার।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরব আমিরাতে অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া নিতে প্রতি মাসে প্রায় ১ হাজার ১৬ ডলার খরচ হয়। প্রবাসীরা প্রতি মাসে গড়ে পরিষেবা বিল হিসেবে দেন ১৬৯ ডলার ও তাদের মাসিক খরচ প্রায় ৯৫৯ ডলার। অন্যদিকে অ্যাপার্টমেন্ট কেনা বা ভাড়ার জন্য সবচেয়ে সস্তা দেশ ওমান

৬৪ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS