শুক্রবার- ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পার্বতীপুরের খাগড়াবন্দ পল্লীতে ১৫ হেক্টরের ভূমি মালিক কে বাদ দিয়ে ৪ শতাংশ মালিক কে লাইসেন্স অনিশ্চিত ৩০ হেক্টর চাষাবাদ 

পার্বতীপুরের খাগড়াবন্দ পল্লীতে ১৫ হেক্টরের ভূমি মালিক কে বাদ দিয়ে ৪ শতাংশ মালিক কে লাইসেন্স অনিশ্চিত ৩০ হেক্টর চাষাবাদ 

 খন্দকার সুদীপ্ত হাবিব-  দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার খাগড়াবন্দ পল্লীতে গভীর নলকূপ স্হাপনের আবেদন করে ১৫ হেক্টর ভূমি মালিক কে বাদ দিয়ে মাত্র তিন শতাংশ ভূমি মালিক কে লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে বলে ভুক্তভোগী  অভিযোগ  করেছেন। নিয়মবহির্ভূত ভাবে লাইসেন্স প্রদানের ফলে এক বছরের অধিক সময় অতিবাহিত হলেও  বিদ্যুৎ সংযোগ মেলেনি কৃষক ছোলেমান হকের  এতে করে ওই এলাকার প্রায় ৩০ একর কৃষি চাষাবাদ যোগ্য  জমিতে ইরি বোরো চাষ অনিশ্চিত হয়ে আছে।  ১৫ হেক্টর ভূমি মালিক দফায় দফায় আবেদন করে   ও কমান্ডিং এরিয়া জটিলতায়  সংশ্লিষ্ট  সেচ দপ্তর থেকে  কোন  সুবিধা নিতে পারছেন না।  দুই ভূমি মালিক এবং  লাইসেন্স প্রদানকারি কর্তৃপক্ষের ত্রিমুখী রশ্মি টানাটানির কারণে বিপাকে পড়েছে সাধারণ কৃষক সমাজ। এতে করে কৃষি চাষাবাদ চরমভাবে ব্যাহত হওয়ায় ক্ষুব্ধ সাধারণ কৃষক গন। সেচ কমিটির অন্যতম সদস্য  প্রফেসার  মেহেরুল ইসলাম জানান  যেহেতু ছোলেমান হক কে লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে সেহেতু একই কমাডিং এরিয়ার মধ্যে লায়লী বেগমকে প্রথম দফা আবেদনের আলোকে  লাইসেন্স প্রদানের সুযোগ নেই তার দ্বিতীয় দফা ২৪৩ নং আবেদনের বিষয়টি আমার জানা নেই  ফাইল দেখে জানানো হবে।  ছোলেমান হক গভীর নলকূপ এক বছরের মধ্যে চালু না করলে তার লাইসেন্স বাতিল হতে পারে। এদিকে  ছোলেমান হকের পুত্র  রেজওয়ান হক জানায়  গভীর নলকূপ স্হাপনের জন্য  তো একর একর জমির দরকার নেই  পানি সরবরাহ এলাকায় আমাদের সহ অন্যান্যদের কয়েক হেক্টর জমি রয়েছে।  বৈধ লাইসেন্স থাকা সত্বেও বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে একটি মহলের প্রতিবন্ধকতার কারণে  সেচ কাজ  দীর্ঘ ১ বছরেও চালু করা সম্ভব হচ্ছে না।
জানা গেছে উপজেলার ১০ নং হরিরামপুর ইউনিয়নের খাগড়াবন্দ পল্লীর পশ্চিম পাড়া মহল্লার মোঃ আনিছুল ইসলামের স্ত্রী মোছাঃ লাইলী বেগম  খতিয়ান নং১৭৪ দাগ নং ০৭ জেএল নং১৭৯ অনুকূলে  ২২/৮/২০২২ সালে গভীর নলকূপ স্হাপনের প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র সহ সেচ কমিটির নিকট আবেদন করেন যার ক্রমিক নম্বর ১৯৩ /৬৩৫৯৭১ ।  একই মিটিং এ উপস্থাপিত  খাগড়াবন্দ মৌজার জেএল নং১৫২ খতিয়ান নং৩৬১ দাগ নং ২০৭ এর সত্তাধিকারি আবদুল হোসেনের পুত্র ছোলেমান হক মাত্র চার শতাংশ ভূমি মালিক কে লাইসেন্স প্রদান করা হয়।  যার আবেদনের ক্রমিক নং১২৮/৬৩৭৩৯২।  পরবর্তীতে মোছাঃ লাইলী বেগম আবারও ১১/১০/২০২৩ তারিখে গভীর নলকূপ স্হাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করেন যার ক্রমিক নম্বর ২৪৩ /০৩১২৬৬৫ অথচ  আজও  আবেদনটি আলোর মুখ দেখেনি।  লাইসেন্স প্রাপ্ত ০৪ শতাংশ ভূমি মালিক  ছোলেমান হক স্হানীয় নানাবিধ জটিলতার কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে না পাওয়ায়  গভীর নলকূপটি চালু করতে পারেনি এতে করে  ওই এলাকার অনেক কৃষক চরম বিপাকে পড়েছে।   নলকুপ স্হাপন শর্তাবলিতে স্পষ্ট  উল্লেখ আছে  লাইসেন্স   প্রাপ্তির  এক বছরের মধ্যে নলকূপ স্হাপন না করা হলে লাইসেন্স টি বাতিল বলিয়া গন্য করা হবে ।  প্রশ্ন দেখা দিয়েছে  ১৫ হেক্টর ভূমি মালিক কে লাইসেন্স না দিয়ে কোন অদৃশ্য কারণে কিংবা তদবিরের জোরে  মাত্র চার শতাংশ ভূমি মালিক কে লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে?  এ বিষয়ে  আবেদন কারি লাইলী বেগম বলেন প্রথম দফায় আবেদন করে লাইসেন্স না পাওয়ায় পূনরায় আবেদন করেছি কিন্তু   কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না এ কারণে আমাদের প্রায় ১৫ হেক্টর সহ আশপাশের আরো ৩০ একর কৃষি চাষাবাদ যোগ্য জমিতে ইরি বোরো চাষ অনিশ্চিত হয়ে আছে। সচেতন এলাকা বাসী প্রত্যাশা করছেন  দ্রুত সংকট নিরসনের মাধ্যমে  সেচ কমিটি   লাইলী বেগম ও ছোলেমান হকের সেচ মেশিন স্হাপন সহ চালুকরনে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিয়ে কৃষকদের মুখে হাসি ফোটাবেন।
৪৭ বার ভিউ হয়েছে
0Shares