বুধবার- ২২শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তেতুলিয়ায় আবাদি জমিতে বিষ দিয়ে বাদাম ক্ষেত নষ্ট করলো দেবর ভাবি

তেতুলিয়ায় আবাদি জমিতে বিষ দিয়ে বাদাম ক্ষেত নষ্ট করলো দেবর ভাবি

পঞ্চগড় : পঞ্চগড়ের তেতুলিয়া উপজেলায় জমিতে স্প্রে মেশিনের সাহায্যে বিষ ছিটিয়ে বাদাম ক্ষেত নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে দেবর ভাবির বিরুদ্ধে।এ ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্চগড়ের তেতুঁলিয়া উপজেলার দেবনগর ইউনিয়নের খেকিডাঙ্গী এলাকায়।
দির্ঘদিন ধরে জমির মালিক আনিছুজ্জামান ও আসাদুজ্জামানের কাছ থেকে ওই জমি বর্গা নেন আশাদুল ইসলাম, আজিমুল হক। তারা জমি বর্গা নিয়ে বিভিন্ন ফসলের পাশাপাশি সেখানে এবার প্রায় মাস খানেক পূর্বে ৬বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেন।
বর্গা চাষী আসাদুল জানায়,৬ বিঘা জমির মধ্যে সমস্যা দেখা দিয়েছে ১ বিঘা জমিতে। সেই ১ বিঘা জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। ১ বিঘা জমি নিয়ে পঞ্চগড়ের আদালতে মামলা চললেও জমির বাদাম নষ্ট করা হয়েছে ৬ বিঘা।
আজিমুল হকের স্ত্রী মনিরা খাতুন বলেন, মামলা জমি নিয়ে কিন্তু তারা আমাদের বাদাম ক্ষেত বিষ দিয়ে নষ্ট করে দিলো। ধান বিক্রি করার টাকা দিয়ে ক্ষেতে বাদাম আবাদ করেছিলাম।কেবল উঠতি বাদাম বিষ দিয়ে তারা আমাদের এত বড় ক্ষতি করলো আমরা এর ক্ষতিপুরণ সহ বিচার দাবী করছি।
আশরাফুল ইসলাম জানান, আমরা জমিতে বাদাম চাষ করেছি মাস খানেক আগে। সোমবার সকালে খেকিডাঙ্গী এলাকার নসিফুদ্দিনের ছেলে সাদেকুল ইসলাম জামাল হোসেন, মৃত শেখ ফরিদের স্ত্রী তহমিনা বেগম ও সাতমেরা এলাকার মশিউর রহমান (সাদেকুলের বোন জামাই) গত সোমবার ৪ মার্চ সকালে জমিতে স্প্রে মেশিনের সাহায্যে বিষ দিয়ে বাদাম ক্ষেত নষ্ট করে দেয়। আমাদের ক্ষেতে বিষ দিয়ে বাদাম নষ্ট করে দিয়েছে। ৬ বিঘা জমির বাদাম গাছ এখন নষ্ট হ্ওয়ায় আমাদের যে পরিমান ক্ষতি হয়েছে।আমরা এর সুষ্ঠ বিচার দাবী করছি।
জমির মালিক আনিছুজ্জামান বলেন ওই জমি ১৯৫৯ সনে আমাদের বাবদাদার নামে দলিল মূলে থাকায় মালিক হওয়ায় আমাদের দখল থাকা কালিন আশরাফুল ও আজিমুলকে জমি বর্গা দিয়ে তারা আবাদ করেছিল। সোমবার সকালে, সাদেকুল ইসলাম, জামাল হোসেন, তহমিনা খাতুন ও মশিউর এসে স্প্রে মেশিনের সাহায্যে জমিতে বিষ দিয়ে ৬ বিঘা জমির বাদাম ক্ষেত নষ্ট করে দেয়। এ ক্ষেতে আর বাদাম আবাদ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আমরা তাদের উপযুক্ত বিচার চাই।
আজিমুল হক জানান, প্রদীপ রায় নামের এক ব্যক্তির ইন্ধনে তারা আমাদের জমিতে বিষ দিয়ে বাদাম নষ্ট করেছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে জামাল হোসেন,ভাবি তহমিনা বেগম বলেন, আমরা বাদাম ক্ষেতে বিষ দেইনি। তারাই বাদাম ক্ষেতে বিষ দিয়ে আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে।
তেতুঁলিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোক্তারুল ইসলাম মুকু জানান, এই ৬ একর জমি আমরা প্রায় ৭০ বছর থেকে দখল চাষাবাদ করতেছি। তিনি আরও জানান, পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্টেট আদালত থেকে এম আর ৪৯৪/২০২৩ মামলার তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার নিদের্শ দেন তেতুঁলিয়া উপজেলার সহকারী (ভূমি) কমিশনারকে৷
তেতুঁলিয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুবুল হাসান ১৪ জানুয়ারী সরজমিনে তদন্ত করেন এবং আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।

৩৭৫ বার ভিউ হয়েছে
0Shares