বৃহস্পতিবার- ২৭শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৩ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
কলমাকান্দায় পাওনা টাকার জন্য ঈদের দিন বাড়ীঘরে হামলা ভাংচুর ! শিশুনারীসহ আহত – ৩

কলমাকান্দায় পাওনা টাকার জন্য ঈদের দিন বাড়ীঘরে হামলা ভাংচুর ! শিশুনারীসহ আহত – ৩

কলমাকান্দা (নেত্রকোনা)  প্রতিনিধি: নেত্রকোনার কলমাকান্দায় পাওনা তিন হাজার টাকার জন্য ইটভাটার শ্রমিকের বাড়ীঘরে হামলা ভাংচুর করার অভিযোগ উঠেছে ইটভাটার লেবার সর্দারের বিরুদ্ধে ! এতে শিশুনারীসহ  তিনজন গুরুতর আহত হন। আহতরা কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন  অবস্থায় আছে (এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত্য) ।

এঘটনা ঈদের দিন সন্ধ্যায় কলমাকান্দা উপজেলার  রংছাতি ইউনিয়নের ছোট মনগড়া গ্রামে ঘটেছে । আহতরা হলেন, উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের ছোট মনগড়া গ্রামের মৃত জনাব আলীর ছেলে মো. ছাইদুর (৬৫) ও তার মেয়ে মোসা. শিরিনা আক্তার (১৭) ও নাতনি মোসা. আরিফা আক্তার (১২)।

অভিযুক্ত মো. জহির মিয়া (৫০) একই ইউনিয়নের পাশ্ববর্তী গ্রাম মুন্সীপুরের মৃত সুরুজ আলীর ছেলে। লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে , আজ থেকে তিন বছর আগে একই ইউনিয়নের মুন্সীপুর গ্রামের ইটভাটার লেবার সর্দার মো. জহির মিয়ার  সাথে চুক্তিতে তার নিয়ন্ত্রিত ইটভাটায় ছোট মনগড়া গ্রামের ষাটোর্ধ মো.ছাইদুর শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন।  চুক্তির শেষে  শ্রমিক মো. ছাইদুর তিনহাজার টাকা অতিরিক্ত টাকা নিয়েছেন বলে জানান মো. জহির মিয়া। তবে সর্দারের দাবিকৃত টাকা পরিশোধ করার ইচ্ছে থাকার পরও সংসারের অভাব অনটনে কারনে টাকা দিতে পারে নাই শ্রমিক। এরই জের ধরে পূর্ব পরিকল্পনায় ঈদের দিন সন্ধ্যায় মো. জহির মিয়ার নেতৃত্বে ১২/১৫ জন দেশীয় অস্ত্রে  সজ্জিত হয়ে শ্রমিক মো. ছাইদুরের বসত বাড়ীর তিনটি ঘরে হামলা করে ভাংচুর চালায়। এসময় হামলায় শ্রমিক ছাইদুর ও তার মেয়ে শিরিনা , শিশু নাতনি আরিফাসহ তিনজন গুরুতর আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে আহতদের প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় উদ্ধার করে কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করেন। আহতরা কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন  অবস্থায় আছে (এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত্য)।

আহত মো. ছাইদুরের ছেলে মো. আতাবুর শনিবার  সকালে সাংবাদিকদের জানান, এঘটনায় মো. জহির মিয়াকে প্রধান অভিযুক্ত করে ১৩ জনকে বিবাদী করে কলমাকান্দা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ  দিবেন।

অভিযুক্ত মো. জহির মিয়ার নিকট জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন,  হামলা করে বাড়িঘর ভাংচুর ও মারপিটের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমার কাছ থেকে ছাইদুর তিন বছর আগে  ইটভাটায় কাজ করার চুক্তিতে ২৬ হাজার টাকা অগ্রিম নেয়। কিন্তু সে চুক্তি অনুযায়ী কাজে যান নাই তিনি। এটা স্থানীয়রা জানেন।  আর এ পাওনা টাকার তাগাদা দিতে ঈদের দিন সন্ধ্যায় তার বাড়ীতে যাই আমি । ছাইদুর  উল্টো আমার ওপর চড়াও হয়। এখন বলে সে আমি নাকি তিন হাজার টাকা পাই।

কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম (পিপিএম) বলেন,  লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

৮৮ বার ভিউ হয়েছে
0Shares