শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সাংবাদিকের সত্য প্রতিষ্ঠা হয় সাহসিকতার উপর সাংবাদিকেরা নয়, মাদক ব্যবসায়ী ও টেন্ডারবাজ আপনার লোকেরা —অর্থনীতিবিধ ড.আশিকুর রহমান শান্ত

সাংবাদিকের সত্য প্রতিষ্ঠা হয় সাহসিকতার উপর সাংবাদিকেরা নয়, মাদক ব্যবসায়ী ও টেন্ডারবাজ আপনার লোকেরা —অর্থনীতিবিধ ড.আশিকুর রহমান শান্ত

ভোলা প্রতিনিধিঃ সাংবাদিকের সত্য প্রতিষ্ঠা হয় সাহসিকতার উপর। সাংবাদিকরা কোন টেন্ডারবাজ, বালু খোড়, চাদা বাজ, ভুমিদস্যু, মাদক ব্যবসায়ী, কিংবা কোন দাগী আসামীও নয়, এগুলো করছে আপনার লোকেরাই। এমনটি বললেন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় যুবলীগের কার্যকরী কমিটির নির্বাহী সদস্য,ভোলার কৃতি সন্তান অর্থনীতিবিধ ডক্টর আশিকুর রহমান শান্ত। বৃহস্পতিবার রাত ১০ টায় শহরের উকিল পাড়াস্থ শান্তনীড়ে আয়োজিত ভোলা প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত সাংবাদিকদের সাথে এক মত বিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন,সাংবাদিকরা হচ্ছেন জাতির বিবেক। তারা আমাদেরই ভাই ব্রাদার আমাদেরই সন্তান। তাদেরকে আমরা ছোট করার মানেই হচ্ছে আমরা নিজেদেরকে নিজেরাই ছোট করা। অথচ ভোলার এক প্রবীণ রাজনীতিবীদ কথায় কথায় নিজের গৃহপালিত ৪-৫ জন সাংবাদিক ছাড়া শতাধীক সাংবাদিকদের চাকুরী খাওয়া। প্রকাশ্যে ভোলা প্রেসক্লাবের মত জাগায় বসে সাংবাদিকের চাকুরী খাওয়ার হুমকি দেন। এটি আমাদের রাজনীতিবিদদের জন্য খুবই দুঃখ ও লজ্জাজনক বিষয়। আমি মনেকরি সরকার দলের নেতাদের মুখে সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুত করা ও চাকুরী খাওয়ার হুমকি দেয়ার বিষয়টি আমাদের দলের জন্যও লজ্জাস্কর বিষয়। আমি মনে করি তিনি অসুস্থ মানুষ হিসাবে যেই বয়সে সকলের দোয়া কামনা করবেন তা না করে ভোলার সাংবাদিক সমাজকে প্রতিপক্ষ বানিয়ে তাদের চাকুরীটি খাওয়ার হুমকি দিয়ে কি বন্ধ করতে চাচ্ছেন। আপনারতো ঘরের নীচে কিছু নাই, ধরে উঠাতে বসাতে ৫ জন লাগে, আছে ২৫ ভাগ কন্ঠ। আপনি এখন সবার কাছ থেকে দোয়া নেয়ার কথা। ৪-৫ জন সাংবাদিকের পক্ষ (তাও যারা স্কুল কলেজের শিক্ষক) নিয়ে আপনি শতাধীক সাহসী ও নীতিবান সাংবাদিকদের চাকুরী খাওয়ার হুমকি দিয়ে তাদের কন্ঠ রোধ করতে চান। তারা কি আঙ্গুল চুষবে।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের দায়ীত্বপ্রাপ্ত একজন এমপি হয়ে ও তিনি ভোলায় তেমন কোন উন্নয়ন করতে পারেননি।

আজকে আমাদের দুঃখ করে বলতে হয় আমরা ভোলা বরিশাল ব্রিজের এখনো স্বপ্ন দেখি যাচ্ছি। ভোলায় এত গ্যাস মজুদ থাকা সত্তে¡ও তেমন কোন শিল্প কারখানা গড়ে ওঠেনি। শুধুমাত্র তার আত্মীয়-স্বজন ও লোকের চাদাবাজি, জমি, ইট, বালু ও পাথরের কমিশনের অত্যাচার ভোলায় কোন উদ্যোক্তাদের আগমন ঘটতে পারেনা। যারাই আসেন তার আত্মীয়-স্বজনদের অত্যাচারে ভোলা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। একজন সাবেক শিল্প ও বানিজ্য মন্ত্রীর ভাতিজা, ভাগ্নেরা নিজ জেলা-উপজেলায় ব্যবসা করতে হবে কেন ? তারাতো ইন্টার ন্যাশনাল ব্যবসা করবেন। বানিজ্য মন্ত্রীর ভাতিজা, ভাগ্নে এবং তার লোকেরা ব্যবসা বুঝেননা, তারা বুঝেন ওইটা। তারা কি ভাবে এত সম্পদের পাহাড় বানিয়েছেন, এত বাড়ি বানানোর টাকা কোথায় পেয়েছেন, ভোলা থেকে প্রতিদিন শত শত কোটি টাকা বাহিরে নিয়ে যায়, এগুলো কিশের টাকা। তারা মেঘনার বালু মহাল ইজারা নিয়েছেন কত লাখের, আর শান্তির হাটে একটি জমির মধ্যে বালু উঠিয়েছেন কত কোটি ফুট। এগুলো দেখার বিষয় আছে। এই বালু তোলার ফলে আগামী বর্ষায় ভোলার কি হবে তা কি কেউ ভেবে দেখেছেন ? গত ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীক বিক্রি করে কত হাজার কোটি টাকা আয় করেছেন ? যারা টাকা দিয়েছেন তারাও দলের ত্যাগী নেতা। আমাদের অনেক ত্যাগী নেতাদেরকে বিনা কারনে জেল খাটিয়েছেন, দলের মধ্যে বিভক্ত করে রেখেছেন। হুমকি-ধামকিতে সাংবাদিকের কলম বন্ধ করা যাবেনা। আপনারা সত্যের উপর থেকে সাহসিকতার সাথে এগিয়ে যেতে হবে। সাংবাদিকদের চাকুরী খাওয়ার হুমকির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান ড. আশিকুর রহমান শান্ত।

ভোলা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও যুবলীগ নেতা মোস্তাক আহমেদ শাহিনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, ভোলা প্রেসক্লাব সভাপতি এডভোকেট নজরুল হক অনু, সাধারণ সম্পাদক সামস্ উল আলম মিঠু, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আল আমিন শাহরিয়ার, কোষাধাক্ষ ইউনুস শরীফ, ক্রীড়া সম্পাদক এইচএম জাকির। এসময় উপস্থিতছিলেন, দৈনিক ভোলার বাণীর সম্পাদক মাকসুদুর রহমান, ভোলা প্রেসক্লাব সহ সভাপতি হারুন অর রশিদ, দপ্তর সম্পাদক মিজানুর রহমান, নির্বাহী সদস্য ওমর ফারুক, যুগ্ম সম্পাদক শিমুল চৌধুরী, পাঠাগার সম্পাদক এইচ এম নাহিদ, ভোলা নিউজের সম্পাদক এডভোকেট মনিরুল ইসলাম, অনিক আহমেদ, কামরুল ইসলাম, ইয়ামিন হাওলাদার, ইমরান হোসেন, মাহে আলম, সফিক খান, আরিয়ান আরিফ, আশিকুর রহমান শান্ত, সত্য মোঃ সুমন, মহিউদ্দিন, জাকির হোসেন পারভেজসহ প্রিন্ট ও ইলেট্রনিক্স মিডিয়ার শতাধীক সাংবাদিকবৃন্দ। মতবিনিময়ের প্রথমেই ফুল দিয়ে নতুন কমিটিকে সংবর্ধনা জানান।

৪৯ বার ভিউ হয়েছে
0Shares