শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
দুর্বৃত্ত কর্তৃক হত্যার উদ্দেশ্যে সন্তানের পা কেটে ফেলায় বিচার দাবিতে বাবার সংবাদ সম্মেলন ও এলাকাবাসীর মানববন্ধন

দুর্বৃত্ত কর্তৃক হত্যার উদ্দেশ্যে সন্তানের পা কেটে ফেলায় বিচার দাবিতে বাবার সংবাদ সম্মেলন ও এলাকাবাসীর মানববন্ধন

সাঁথিয়া(পাবনা)প্রতিনিধি ঃ পাবনার বেড়ায় মাসুদ রানা নামের এক যুবককে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়ে দুর্বৃত্তকর্তৃক পা কেটে ফেলার ঘটনায় জড়িত আসামীদের দ্রæত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার (৩০মে) বেড়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার পরিবার। আহত মাসুদ রানা উপজেলার শানিলা গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে। সংবাদ সম্মেলনের পর এলাকার নারী-পুরুষ বেড়া প্রেস ক্লাব ও উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন করেন ।

সংবাদ সম্মেলনে আতহ মাসুদের বাবা আব্দুল মজিদ মোল্লা লিখিত বক্তব্য বলেন, গত ২৫মে(২০২৪) সকাল সারে ৮টার দিকে আমার ছেলে মাসুদ রানা বাড়ীর পাশে দায়েনের দোকানে চাউল কিনতে যায়। এ সময় অতর্কিতভাবে পেছন থেকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমার ছেলে মাসুদকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দ্যেশে সন্ত্রাসী সাউদ প্রামানিক, জাকারিয়া, সিরাজুল ,সাদ্দাম,সাকিব,সাদিক,মনজু,মিরাজুল,শাহিনুর,হোসেন আলী, আলামিন, ফজর, নূর আমিন, বেলাল, ফজর, বাইতুল্লাহ,শিহাব নির্মমভাবে এলোপাতারি কুপিয়ে পা কেটে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। এ সময় হাত ভেঙ্গে দেয় এবং হাতের একটি আঙ্গুল কেটে ফেলে। সন্ত্রাসীরা এসময় বাড়ি-ঘর কুপিয়ে ভেঙ্গে ফেলে টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালঙ্কারসহ অন্যান্য জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায় এবং বাড়ীর নারী ও শিশুদের ওপরও আক্রমন চালায়। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় মাসুদ রানাকে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে অবস্থার অবনতি হলে পাবনা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে পরবর্তীতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর ঢাকা শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার উন্নতি না হলে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হলেও সেখানে পা জোড়া লাগাতে পারেনি চিকিৎসক। বর্তমানে তার অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। বর্তমানে সে জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছে। আমরা ছেলেকে নিয়ে সারাক্ষণ উদ্বেগ উৎকন্ঠার মধ্যে রয়েছি।

আমরা এ ব্যাপারে বেড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে মাসুদ রানার কাটা পা নিয়ে বিচার চাইতে গিয়েছিলাম। তিনি উপস্থিত না থাকায় দায়িত্বরত কর্মকর্তারা কাটা পায়ের ছবি তুলে রাখেন এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি বলবেন বলে আস্বস্ত করেন। কিন্ত আমরা কোন বিচার পাইনি। এছাড়াও বেড়া থানার পুলিশ কর্মকর্তারা আমাদের বাড়িতে এসেছিলেন। কিন্ত আজ পর্যন্ত কোন আইনের বিচার পাইনি এবং কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। আমরা সানিলা গ্রামবাসী প্রশাসনের নিকট জোরদাবি জানাচ্ছি আসামীদের দ্রæত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূল শাস্তি দেওয়া হোক যেন পরবর্তীতে কেউ এই ধরনের জঘন্যতম কাজ করতে সাহস না পায়।

এ বিষয়ে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তারা সবাই পলাতক থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)রাশিদুল ইসলাম বলেন,এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। উপজেলা নির্বাচনের জন্য পুলিশ কর্মকর্তারা অনেকেই থানার বাইরে ছিলেন। এখন মোটামুটি সবাই চলে এসছে,খুব দ্রæত সময়ের মধ্যে আসামীদের গ্রেপ্তার করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আহত মাসুদের মা জাহানার বেগম, বড় ভাই সেলিম রেজা,মেঝ ভাই সোহেল তাজ,চাচা আব্দুর রউফ মোল্লাসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

২০ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS