মঙ্গলবার- ২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সোমালিয়ায় জলদস্যুদের হাতে জিম্মী নাবিক তারিকুল মধুখালীতে বাবা-মায়ের আর্তনাদ

সোমালিয়ায় জলদস্যুদের হাতে জিম্মী নাবিক তারিকুল মধুখালীতে বাবা-মায়ের আর্তনাদ

শাহজাহান হেলাল,ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি ১৪ মার্চ ২০২৪খ্রিঃ বৃহস্পতিবার : ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মী তারিকুল ইসলামের গ্রামের বাড়িতে চলছে আহাজারি। সস্তানকে ফিরে পেতে কান্নাকাটি করছেন আল্লাহর কাছে।বৃহস্পিবার দুপুরে তার গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের ছকড়িকান্দি গ্রামের বাড়িতেসরেজমিনে এ চিত্র দেখা মেলে। সাংবাদিকদের নিকট এসময় তারা সন্তানকে ফিরে পাওয়ার জন্য সকলের সহায়তা কামনা করেন। একইসাথে সরকার যাতে ওই জাহাজের সকলকেই জীবিত উদ্ধার করতে পারে সেই আর্তি জানান। বন্দী নাবিকের পিতা দেলোয়ার হোসেন ও মা হাসিনা বেগম। তার মা হাসিনা বেগম জানান সাত বছর বয়স থেকে কখনো নামাজ-রোজা কামাই করেনি তারিকুল । এমন একটি সোনার ছেলের এমন দুর্দশার খবরে বারবার হুহু করে কেঁদে উঠছেন তার মা। ছেলের ছবি দেখে কান্না করছেন আর তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের কাছে বার্তা পৌছে দেয়ার অনুরোধ করছেন। স্থানীয়রা জানান তারিকুল খ্বুই নম্র এবং ভদ্র ভালো ছেলে। ছুটি শেষে গত ডিসেম্বরে শেষ সপ্তাহে বাড়ি থেকে চাকরিতে যায়। ৪ মার্চ দুবাইয়ের উদ্দেশ্য সাউথ আফ্রিকার মোজাম্বিক থেকে আবুধাবী আশার কথা ছিলো। ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কযলা নিয়ে ভারত মহাসাগর সিমানায় অপহরনের স্বীকার হয়। অবসরপ্রাপ্ত বাবা মো. দেলোয়ার হোসেনের দুই ছেলে একমেয়ের মধ্যে সবার ছোট মো. তারিকুল ইসলাম।স্থানীয় প্রাইমারি স্কুল থেকে পাশ করে চলে যান ঢাকায়। সেখানে মিরপুরের ড. মো. শহীদুল্লাহ্ কলেজিয়েট স্কুল থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাশ করেন। ২০১২ সালে ভর্তি হন চট্টগ্রাম মেরিন একাডেমিতে। ২০১৪ সালে নটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে চাকরিতে যোগ দেন। সর্বশেষ গত বছরের ডিসেম্বরে নতুন করে যোগ দিয়েছিলেন ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়া এস আর স্লিপিং বাংলাদেশী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর থার্ড অফিসার হিসেবে। ২৩ নাবিকের মধ্যে ফরিদপুরের সন্তান তারিকুলও এখন পণবন্দি হিসেবে জিম্মি। তারিকুল বিবাহিত তার স্ত্রী ডাক্তার নুসরাত জাহান জুথি,তিনি ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গাইনি বিভাগে অধ্যায়নরত আছেন , তাদের সংসারে একটি মেয়ে এক বছরের তানজিহা। ফরিদপুর জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মিদের মধ্যে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার রায়পুর এলাকার একযুবক আছেন। বিষয়টা আমরা জানার পরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঐ পরিবারের সাথে যোগ করছি। এছাড়া অপহৃত সকল ব্যক্তিকে মুক্তির বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রানলয় তৎপর রয়েছে। দ্রততম সময়ের উদ্ধারের আশার কথা বলেন তিনি। বুধবার সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুন আহমেদ অনিক তারিকুলের গ্রামের বাড়ীতে আসেন তারিকুলের বাবা মায়ের সাথে কথা বলেন তাদের সাথে ঘন্টা ব্যাপী আলোচনা করেন এবং তাদেরকে আশ্বস্ত করেন দ্রæত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নাবিকদের উদ্ধার করা হবে । এসময় উপস্থিত ছিলেন মধুখালী উপজেলা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সুদেব দাস, রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াারম্যান মোঃ জাকির হোসেন মিয়াা।

১৭ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS