বৃহস্পতিবার- ২৭শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৩ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পঞ্চগড়ে বসতবাড়িতে আগুনে পুড়ে দেয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

পঞ্চগড়ে বসতবাড়িতে আগুনে পুড়ে দেয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

পঞ্চগড় : পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নে আগুনে পুড়ে সর্বস্ব হারিয়ে এখন দিশেহারা ভুক্তভোগি পরিবার, বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মলন করেছে ৫ পরিবার।
শুক্রবার(২০ জানুয়ারী) দুপুরে সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের পানিমাছপুকুর এলাকায় ভুক্তভোগিরা তাদের আগুনেপোড়া বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানান।
গত মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) দিনগত মধ্যরাতে ওই এলাকার মোজাম্মেল এর ৫ পরিবারের বাড়িতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এঘটনায় মোজাম্মেল হকসহ তার আরও ৪ ভাইয়ের (আশরাফুল, মিজানুর, মোস্তফা কামাল ও আনছারুল) তাদের ১৪টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
এতে ধান, চাল, নগদ অর্থ এবং জমাজমির কাগজপত্রসহ গুরুত্বপূর্ণ নথি,স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ৮ জনের বই, সার্টিফিকেটসহ প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে দাবি ভুক্তভোগিদের।
সংবাদ সম্মেলনে জানান, পরিকল্পিতভাবে পেট্রোল ঢেলে বাড়ির চারিপাশে এক সঙ্গে অগ্নিসংযোগ করেছে প্রতিপক্ষরা।
তারা জানান, একই এলাকার খাজিম উদ্দীনের ছেলে রশিদুল, জিয়াউর এবং রফিকুলদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই জমিসংক্রান্ত বিরোধ চলছে তাদের।
রেকর্ডীয় সম্পত্তি দখলে রেখে তারা শুরু থেকেই বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে ভুক্তভোগি পরিবারগুলোকে। মামলা-হামলাও করেছে বিভিন্ন সময়ে। পূর্ব শত্রুতার জেড়ে রাতের আধাঁরে চারটি মোটরসাইকেলে করে এসে খাজিম উদ্দীনের ছেলেরাই প্রেট্রোল দিয়ে বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে পালিয়ে যায়।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগি গোলাম মোস্তফা বলেন, আমাদের জমি অন্যায়ভাবে ভোগ দখল করছে রশিদুল, জিয়াউর এবং রফিকুলরা। জমি দাবি করলেই হামলা করেন তারা।
তারা প্রভাবশালী হওয়ায় থানা পুলিশও তাদের পক্ষ নিয়ে কথা বলে। তাদের পক্ষ হয়ে আমাদের উপর হামলাও করেছে।
তিনি বলেন, গত ১৪ জানুয়ারি (শনিবার) আমরা জমিতে গেলে রশিদুল, জিয়াউর এবং রফিকুলরা পুলিশ নিয়ে আসে। পুলিশ এসেই আমাদের উপর হামলা করে বসে। পুলিশ আমাদের লাঠিপেটা করে এলাকা ছাড়া করে।
আমাদের কোন কথা বলার সুযোগ না দিয়ে নির্বিচারে বাড়ির মহিলাদেরসহ ১৪/১৫ জনকে আটক করে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয় হয়।
সেই মামলার গ্রেফতার আতঙ্কে রাতে আমরা বাড়িতে ছিলামনা। আর এই সুযোগে প্রতিপক্ষরা ঘরে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, প্রতিপক্ষ জিয়াউরের শ্বশুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাহাদাত হোসেন। তার উস্কানিতেই এই মামলা, হামলা আর অগ্নিসংযোগের ঘটনাগুলো ঘটেছে। জমির দ্বন্দে আমাদের সব শেষ হয়ে গেলো। আমরা এর ক্ষতিপূরণসহ ন্যায় বিচার দাবী করছি।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগি পরিবারের সকল সদস্যসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

১৩২ বার ভিউ হয়েছে
0Shares