মঙ্গলবার- ১৮ই জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৪ঠা আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
<span class="entry-title-primary">ভোলার-লালমোহনে করিমগঞ্জ সিনিয়র আলিম মাদ্রাসা</span> <span class="entry-subtitle">বিলিনের পথে বন্ধ হয়ে যাবে ইসলাম ধর্ম শিক্ষা</span>

ভোলার-লালমোহনে করিমগঞ্জ সিনিয়র আলিম মাদ্রাসা বিলিনের পথে বন্ধ হয়ে যাবে ইসলাম ধর্ম শিক্ষা

ভোলা প্রতিনিধিঃ ১৯৪৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ভোলার লালমোহনের ‘করিমগঞ্জ ইসলামিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসাটি’। দু’চালা টিনসেড ঘরে তখন থেকে এখন পর্যন্ত চলছে শিক্ষাকার্যক্রম। তবে বিগত ২০ বছর ধরে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে মাদ্রাসার এ টিনসেড ঘরটি। বৃষ্টি হলেই পানি পড়ে ভিজে যায় শিক্ষার্থীরাসহ শিক্ষক-কর্মচারী,অফিসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আসবাব ও কাগজপত্রসহ শিক্ষার্থীদের বই-খাতা। টিনসেড প্রতিষ্ঠান বিলিনের পথে, বন্ধ হয়ে যাবে ওই এলাকার ভবিষ্যত প্রজন্মের ইসলাম ধর্ম শিক্ষা।

সরেজমিনে জানা যায়, মাদ্রাসাটিতে ১ম শ্রেণীতে থেকে আলিম পর্যন্ত সাড়ে ৪শত শিক্ষার্থী থাকলেও প্রতিদিন প্রায় ২৫০জন শিক্ষার্থী উপস্থিত থাকে। প্রতিবছর জেডিসি, দাখিল ও আলিম পরীক্ষায় অংশ নেয় অত্যন্ত শতাধীক শিক্ষার্থী। আর প্রতিবছর মাদ্রাসায় নতুন করে ভর্তি হয় দুইশতাধীকের উপরে শিক্ষার্থী। ইসলাম ধর্ম ভীরু এসকল শিক্ষার্থীরা বছরের পর বছর চরম দুর্ভোগ নিয়ে লেখাপড়া করছে প্রতিষ্ঠানটিতে।

১৯৪৫ সালে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৭৮ বছর পেরিয়ে গেলেও সেই জরাজীর্ণ টিনসেড ঘরই এখন পর্যন্ত চলছে শিক্ষাকার্যক্রম। ওই মাদ্রাসার আলিম ও দাখিলের শিক্ষার্থী জাহাঙ্গীর ও হাসনাইন ৮ম ও ৯ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী হোসনেয়ারা ও ফাতেমা জানায়, বৃষ্টি আসলে টিনের চালা দিয়ে ভিতরে পানি পড়তে থাকে। এতে করে ভিজে যায় বই-খাতা। তখন শ্রেণিকক্ষের মধ্যে বসে থাকাও অনেক কষ্টের হয়ে যায়। এতে করে আমাদের পড়ালেখায় সমস্যা হচ্ছে। আমরা দ্রæত মাদ্রাসার জন্য একটি পাকা ভবন নির্মানের দাবী জানাচ্ছি।

মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাও: মো. রুহুল আমিন বলেন, মাদ্রাসার দু’চালা ঘরটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে চরম বেকায়দায় রয়েছি। এতে করে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান ও অফিসের কার্যক্রম। বর্ষা আসলেই আতঙ্কে থাকি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে। নতুন একটি ভবন নির্মানের জন্য সাতবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করেও কোনো কাজ হয়নি। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাকার্যক্রম আরও বেগবান করতে অতি শিগগিরই মাদ্রাসার জন্য একটি পাকা ভবন নির্মানের জোর দাবী জানাচ্ছি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে।

এক শিক্ষার্থীর বাবা হাজী মিজানুর রহমান জানান, আমাদের প্রত্যন্ত এলাকায় অন্য কোন ইসলাম ধর্ম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নাই, যেগুলো আছে তা অনেক দুরে,ওইখানে গিয়ে আমাদের ছেলে-মেয়েরা শিক্ষা গ্রহন করা জীবনের ঝুকি হয়ে পরে, বিলিনের পথে বন্ধ হয়ে যাবে ইসলাম ধর্ম শিক্ষা, এপ্রতিষ্ঠানটির একটি ভবন না হলে ছেলে মেয়েরা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হবে। আমরা প্রধান মন্ত্রীর দৃষ্টি কামনা করে একটি ভবন দাবী করছি।

এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, উপজেলার প্রতিটি মাদ্রাসায় পর্যায়ক্রমে পাকা ভবন হবে। এ মাদ্রাসাটিও ভবনের জন্য অপেক্ষমান তালিকায় অন্তরভূক্ত আছে। আশা করছি খুব শীগ্রই মাদ্রাসাটির নতুন পাকা একটি ভবন সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে পাশ হবে।

৮৩ বার ভিউ হয়েছে
0Shares