মঙ্গলবার- ২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ভোলায় নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ইলিশ ধরায়-১৫৬ জেলের কারাদন্ড

ভোলায় নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ইলিশ ধরায়-১৫৬ জেলের কারাদন্ড

মিজানুর রহমান-ভোলা প্রতিনিধিঃ  নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার অপরাধে ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদী থেকে ১ হাজারের অধিক জেলেকে আটক করে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে প্রায় সবাইকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে, কারন তারা নেতা ও মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তাদের লোক বলে জানান সাধারন জেলেরা। মৎস্য বিভাগ আট দেখিয়েছে ২৪০ জন জেলে। যাদের মধ্যে ১৫৬ জনের জেল ও ২৬ জনকে জরিমানা আদায় করা হয়েছে। জরিমানা আদায়ের পরিমান জানাননি কর্মকর্তারা।
জাল, নৌকা ও ট্রোলারসহ বিপুল পরিনমান ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, এর মধ্যে নাছির মাঝি ঘাটে-১ হাজার ৬ কেজি ইলিশ এবং ১ লাখ মিটার জাল গোপনে বিক্রি করে দিয়েছে মৎস্য বিভাগের লিটন মাঝি। এ পর্যন্ত মোট অভিযান পরিচালিত হয়েছে-১৫৮টি এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত হয়েছে ৪৪টি। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়াও (১৯ মার্চ) মঙ্গলবার বিকেল পৃথক অভিযানে দৌলতখানের মেঘনা নদী থেকে আরও ১৮ জেলেকে আটক করা হয়। এসময় একটি নৌকা ও বেশ কিছু জাল জব্দ করা হয়েছে।
মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, ইলিশের অভয়াশ্রম রক্ষায় পহেলা মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটার এলাকায় ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা, বিক্রি, পরিবহন ও মজুদ নিষিদ্ধ। সরকারি নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ, নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ডের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। জেলেরা যাতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকার করতে না পারে সেজন্য ইলিশ স¤পদ রক্ষায় জেলের সচেতনতার পাশাপাশি অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, পহেলা মার্চ থেকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত মেঘনা ও তেতুলিয়ায় নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ইলিশ মাছ ধরা অব্যহত ছিল, এর সাথে মৎস্য বিভাগের অসাধু কর্মকর্তারা জড়িত ছিলেন এমন সংবাদ প্রায় পত্রিকা ও টেলিভিশনে প্রচারের পরে জেলা প্রশাসন নড়ে চড়ে বসে আর ধরপাক্কর শুরু হয়।

বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS