বৃহস্পতিবার- ২৭শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৩ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পটুয়াখালীতে কুলের বাম্পার ফলন

পটুয়াখালীতে কুলের বাম্পার ফলন

পটুয়াখালী প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর দশমিনায় এবছর বড় ধরনের প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হওয়ায় এবং আবহাওয়ার অনুক‚লে থাকায় কুলের বাম্পার ফলন হয়েছে। কুল চাষে ভাগ্য খুলেছে উপজেলার কুলচাষিদের।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, দশমিনা উপজেলার সাত নিউনিয়নে আবহাওয়ায় অনুক‚ল পরিবেশ থাকায় এবং কম খরচে বেশি লাভবান হওয়া যায় বলে এ উপজেলায় দিন দিন আপেল কুল, বাউকুল, কাশ্মিরি কুল ও বল সুন্দরী কুলের চাষ আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। কিন্তু বেশ কয়েকবছর ধরে বাণিজ্যিকভাবে বরইয়ের চাহিদা বেড়েছে।

নতুন করে কেউ বাগান করতে চাইলে উন্নতজাতের কুল-বরইয়ের চারা এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতর সহযোগিতা প্রদান করছে।

শুক্রবার সকালে সরেজমিন উপজেলার বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের বড়গোপালদী গ্রামের উদ্যোক্তা কুল বাগান মালিক মো. আবু ইউসুব এর কুল বাগানে গিয়ে তার সঙ্গে কথা হয়। এ সময় তিনি জানান, গত তিন বছর পুর্বে ৬২শতাংশ জমিতে প্রায় চার শতাধিক কুল ও পেঁপে চাষ করেন। তিনি গত বছর পেঁপে ও কুল বিক্রি করেন প্রায় ৪লাখ ৬০হাজার টাকার। আর সব মিলিয়ে খরচ হয়েছিল প্রায় ২লাখ ৫হাজার টাকা। এবছর তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকার কুল বিক্রি করবেন বলে আশা করেন তিনি।

তিনি জানান, কুলের জমিতে গোবর সার ও রাসায়নিক সারের সঙ্গে ৪-৫ বার পানি দিতে হয়। পোকার আক্রমণ থেকে কুল বাঁচাতে কুল-বরইয়ে ফুল আসার আগেই কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয়।

আবু ইউসুব আরও জানান, তার সফলতা দেখে এই এলাকা ছাড়াও গ্রামের চাষিরা নিজ উদ্যোগে কুল বাগান করার আগ্রহ পোষন করেছেন।

এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোহম্মাদ জাফর আহম্মেদ জানান, এ উপজেলায় দিন দিন আপেল কুল, বাউকুল, কাশ্মিরি কুল ও বল সুন্দরী চাষে চাষিরা ঝুঁকছেন। সকল চাষিদেরকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।

৫০ বার ভিউ হয়েছে
0Shares