মঙ্গলবার- ২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
হিমালয়ের অনেক কাছাকাছি হওয়ায় ঘনকুয়াশায় মুড়িয়ে আছে পঞ্চগড়

হিমালয়ের অনেক কাছাকাছি হওয়ায় ঘনকুয়াশায় মুড়িয়ে আছে পঞ্চগড়

হিমালয়ের অনেক কাছাকাছি হওয়ায় পঞ্চগড়ে হিমেল বাতাস ঘনকুয়াশায় শীতের তীব্রতা অনেক বেশী। সাথে তাপমাত্রা উঠানামার খেলার মাঝে রোববার (১৪ জানুয়ারী) সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮দশমিক ০৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত ঘনকুয়াশার সঙ্গে উত্তরে হিমালয় থেকে ভেসে আসা ঠান্ডা বাতাসে গা হিম হয়ে আসে। অসম্ভব ঠান্ডা অনুভূত হয়। শহরের চেয়ে গ্রামাঞ্চলে ঠান্ডার প্রকোপ বেশি। রাতে কুয়াশাপাতের কারণে পথঘাটে হেডলাইট জ্বালিয়েও যানবাহন চালাতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। শীতের প্রকোপ বাড়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন জেলার নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষেরা।
প্রয়োজন ছাড়া ঠান্ডার কারনে কেউ ঘর থেকে বাইরে বের হচ্ছেন না। শহরেও মানুষের চলাচল অনেকটাই কমে গেছে। পাথর বালি উত্তোলনকারী শ্রমিকরা নদীর ঠান্ডা পানিতে পাথর বালি তুলতে পড়েছেন চরম বেকায়দায়।
দেখা গেছে, ছিন্নমুল মানুষ শীতবস্ত্রের আশায় এই কয়েকদিনে ধর্না দিচ্ছে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে। তারা জানান আমরা কম্বল পাচ্ছিনা। কেউ কেউ দুই তিনটা কম্বল পাচ্ছে, আমাদের কপালে এই শীতে একটা কম্বলও জুটেনা।
অসহনীয় এই অব্যাহত শীতে শিশু এবং বয়স্ক মানুষ শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে।
এদিকে পঞ্চগড় জেলার প্রায় আড়াই লক্ষ শীতার্ত মানুষ থাকায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৯ হাজার শীতবস্ত্র জেলার ৫টি উপজেলায় বিতরণ করা হলেও তা চাহিদার তুলনায় অনেক কম বলে জানান সচেতন মহল।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান, আজ সকাল ৯ টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ০৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই ঘনকুয়াশা আর শীতের তীব্রতা আরো বাড়বে বলেও জানান তিনি।

১৪০ বার ভিউ হয়েছে
0Shares