আটোয়ারীতে বিদ্যুতের লুকোচুরিতে জনজীবন অতিষ্ট
আটোয়ারী(পঞ্চগড়)প্রতিনিধি : পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে রাতভর বিদ্যুতের লুকোচুরিতে জনজীবন অতিষ্ট হয়ে পড়েছে।
উপজেলার সাড়ে ৩২ হাজার গ্রাহকের বিদ্যুৎ চাহিদার বিপরীতে এখানে রয়েছে ঠাকুরগাঁও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অধীনস্থ আটোয়ারী সাব জোনাল অফিস এবং একটি ৩৩/১১ কেবিএ সম্পন্ন সাবষ্টেশন (১০ এমবিএ)।
৬টি ফিডারের মাধ্যমে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করেছেন কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি উপজেলায় প্রায় দিন সারারাতে এক থেকে দেড় ঘন্টা অন্তর অন্তর লোডশেডিং দেয়া হচ্ছে।
অথচ কৃষি নির্ভর এ উপজেলার অধিকাংশ মানুষ সারাদিন হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে জাতীয় অর্থনীতিতে যথেষ্ট অবদান রেখে চলেছেন। তাঁরা রাতে একটু শান্তিতে ঘুমাতেও পারছেন না।
লোডশেডিংয়ের কারণে চলমান এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থী সহ বিভিন্ন শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পড়াশুনায় ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের জনৈক মুসল্লী বলেন,ইদানিং প্রায় দিনই নামাজের সময় বিদ্যুৎ থাকে না। বিভিন্ন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা বলছেন,রাতে বিদ্যুৎ না থাকলে ভ্যাপসা গরমে হৃদ রোগে আক্রান্ত ও শ্বাসকষ্ট জনিত রোগীদের নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
অনেক গ্রাহক অভিযোগ করে বলেন,পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বেচ্ছাচারিতা ও উদাসীনতার কারনে অনাকাঙ্খিত লোডশেডিংয়ের ভোগান্তী পোহাচ্ছেন স্থানীয় অধিবাসীরা।
এদিকে বিদ্যুৎ বিভাগ বলছেন, জাতীয় গ্রীড থেকে সরবরাহ কম পাচ্ছেন তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অন্য এক কর্মকর্তা বলেন, চলমান বৈরী আবহাওয়া পরিবর্তন হলে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হতে পারে।
উপজেলাবাসীর দাবী, বিমাতা সরুপ আচরণ পরিহার করে প্রতিটি ফিডারের গ্রাহকদের সমান প্রাপ্যতা নিশ্চিৎ করতে স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগ আরো আন্তরিক হবেন। সেইসাথে প্রয়োজনীয় সরবরাহ নিশ্চিৎ করতে কর্মকর্তা-কর্মচারীগণকে আরো বেশী দায়িত্বশীল হওয়ার দাবী জানান সব শ্রেণী পেশার মানুষ।
এ বিষয়ে আটোয়ারী সাব জোনাল বিদ্যুৎ অফিসের এ.জি.এম মোঃ তারিকুল ইসলাম জানান, উপজেলায় পিক আওয়ারে বিদ্যুতের চাহিদা থাকে প্রায় সাত থেকে সাড়ে সাত মেগাওয়াট, অফ পিক আওয়ারে চার থেকে সাড়ে চার মেগাওয়াট। অথচ চাহিদার তুলনায় অর্ধেকের কম বরাদ্দ পাওয়ায় চলমান সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।