মঙ্গলবার- ২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
<span class="entry-title-primary">পার্বতীপুরে পশু চিকিৎসায় অনুমোদনহীন দু’শতাধিক চিকিৎসক</span> <span class="entry-subtitle">ভূল চিকিৎসায় গাভীর মৃত্যুতে দিশেহারা দরিদ্র কৃষক আশরাফুল</span>

পার্বতীপুরে পশু চিকিৎসায় অনুমোদনহীন দু’শতাধিক চিকিৎসক ভূল চিকিৎসায় গাভীর মৃত্যুতে দিশেহারা দরিদ্র কৃষক আশরাফুল

আতাউর রহমান, পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: পশু চিকিৎসকের ভূল চিকিৎসায় পরিবারের একমাত্র সম্বল ৭০ হাজার টাকা মূল্যের গাভীর মৃত্যুতে দিশেহারা পার্বতীপুরের দরিদ্র কৃষক আশরাফুল ইসলাম (৪০)। গত শনিবার সকালে উপজেলার হাবড়া ইউনিয়নের ঢাকুলা সামিজনের বাজার এলাকার ওই কৃষকের অসুস্থ্য গাভীকে স্থানীয় পশু চিকিৎসক মহিবুল ইসলাম ইন্জেকশন দিলে আধা ঘন্টার মধ্যে গাভীটি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এ ঘটনায় ভূক্তভোগি পরিবারে কান্নার রোল পড়ে যায়। অভিযুক্ত পশু চিকিৎসকের বিচার চেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পক্ষ থেকে আজ রবিবার বিকেল ৫টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল কুমারের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

কৃষক আশরাফুল ইসলাম জানান, ৩ মাস পূর্বে ৭০ হাজার টাকায় তিনি গাভীটি ক্রয় করেন। ক্রয়ের পরপরই গাভীটি গর্ভ ধারন করায় তিন মাসের অন্তস্বত্তা ছিল। নিবিড় পরিচর্যায় থাকা পরিবারের সবার কাছে প্রিয় গাভীটি গত শনিবার কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে অসুস্থ মনে হলে তিনি পাশ^বর্তী চন্ডিপুর ইউনিয়নের কাটামারি গ্রামের পশু চিকিৎসক মহিবুলের কাছে যান। আলোচিত পশু চিকিৎসক বেলা ১১টা দিকে এসে বলেন, গাভীটির দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট কম রয়েছে। এতে তিনি তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য ইন্জেকশন পুশ করেন এবং ২৫ গ্রাম ববি ফাষ্ট পাউডার খাওয়ানোর ব্যবস্থাপত্র দেন। ইনজেকশন দেয়ার আধাঘন্টার মধ্যেই গাভীটি মাটিতে ঢলে পড়ে সঙ্গে সঙ্গে মারা যায়।

ঘটনার আকষ্মিকতায় ক্ষতিগ্রস্ত আশরাফুল ইসলাম স্থানীয় হাবড়া ইউপি চেয়ারম্যান মো: আনিছুজামান, ইউপি সদস্য মাজিদুল ইসলামের কাছে প্রতিকার চেয়ে দৌড়-ঝাপ করেও এখন পর্যন্ত কোন সমাধান পাননি। পরে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে প্রতিকার চেয়ে আবেদন করেন।

ভূল চিকিৎসায় গাভী মৃত্যুর ঘটনা সম্পর্কে অভিযুক্ত পশু চিকিৎসক মহিবুল ইসলাম দাবি করেন- তিনি কোনো ভুল চিকিৎসা দেননি, বরং দেহের তাপমাত্রা বাড়াতে ভিটামিন এ ডি ই ও ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ইনজেকশন পুশ করেছেন।

পার্বতীপুর উপজেলায় প্রায় ২শ’ স্বেচ্ছাসেবী বে-সরকারি পশু চিকিৎসক রয়েছে। তবে, এ কাজে তাদের কারো উপজেলা প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের অনুমোদন নেই বলে প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা মাহফুজার রহমান জানিয়েছেন।

১৮০ বার ভিউ হয়েছে
0Shares