![আটোয়ারীতে নিয়োগ বাতিলের দাবীতে মানববন্ধন, প্রধান শিক্ষককে মারধর আটোয়ারীতে নিয়োগ বাতিলের দাবীতে মানববন্ধন, প্রধান শিক্ষককে মারধর](https://spnewsbd.com/wp-content/uploads/2023/12/pic-5.jpg)
আটোয়ারীতে নিয়োগ বাতিলের দাবীতে মানববন্ধন, প্রধান শিক্ষককে মারধর
![](https://spnewsbd.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
পঞ্চগড়: পঞ্চগড়ে গোপনে একটি বিদ্যালয়ে নিয়োগ পরীক্ষা নিতে গিয়ে চাকরি প্রত্যাশী ও স্থানীয়দের হামলার শিকার হয়েছেন আকতারুল ইসলাম নামে এক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। এমনি অভিযোগ উঠেছে জেলার আটোয়ারী উপজেলার রসেয়া দিনমাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে।
জানা গেছে, বিদ্যালয়ের তিনটি পদে পরীক্ষা নিতে গিয়ে বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে বিদ্যালয়ে থেকে বেশ কিছু দূরে এ ঘটনা ঘটে। একই সময় ক্ষিপ্ত হয়ে এলাকাবাসী ও চাকরি প্রত্যাশীরা পরীক্ষার হলরুমে প্রবেশ করে নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ করে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে।
চাকরি প্রত্যাশী বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, বিদ্যালয়ের আয়া, পরিচ্ছন্নকর্মী ও অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ পরীক্ষায় চাকরি দেয়ার নামে গত কয়েক মাস আগে শিক্ষক আকতারুল ইসলাম ঘুষ বাবদ বিভিন্ন অঙ্কে বিভিন্ন জনের কাছে ৮ লক্ষ টাকা নেয়। এদিকে চাকরি না দিয়ে বুধবার গোপনে নিয়োগ পরীক্ষা নিতে গেলে চাকরি প্রত্যাশীদের তোপের মুখে পড়ে পরীক্ষা স্থগিত করে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকতারুল ইসলাম সংবাদ প্রতিক্ষনকে বলেন, আমি নিয়ম মেনে বিদ্যালয়ে পরীক্ষা নিতে যাচ্ছিলাম। এর মাঝে যাওয়ার পথে আবুল, আব্বাসসহ কয়েকজন আমার উপর হামলা করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে প্রথমে আটোয়ারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এর পর সেখানকার ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য আমাকে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে পাঠান।
অপরদিকে, স্থানীয় এলাকাবাসী মনোয়ারা বেগন ও সিমু আকতার সংবাদ প্রতিক্ষনকে বলেন, আমাদের চাকরি দিবে বলে আস্বাস দিয়েছিলেন প্রধান শিক্ষক আকতারুল ইসলাম। এদিকে চাকরি দেয়ার নামে বিভিন্ন অঙ্কে আমাদের কাছে টাকা দাবী করলে আমরা টাকা দেই। কিন্তু টাকা নেয়ার পরেও আমাদের চাকরি না দিয়ে গোপনে অন্যজনকে চাকরি দেয়ার জন্য পরীক্ষা নিতে গেলে আমরা তা জানতে পেরে বিদ্যালয়ে যাই। এবং আমাদের দেয়া টাকা ফেরত চাইলে শিক্ষক তালবাহানা শুরু করলে বিদ্যালয় মাঠে আমরা বিক্ষোভ মানববন্ধন করি।
হাসিবুল নামে আরেকজন সংবাদ প্রতিক্ষনকে বলেন, আমার বাবা এক একর জমি বিদ্যালয়ে দান করে বিদ্যালয়টি করেন। এর মাঝে নিয়োগ পরীক্ষার তিন পদের মধ্যে আমরা যেকোন একটি পদ চেয়েছিলাম। কিন্তু তা না দিয়ে অন্যজনের কাছে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত নেয় নিয়োগ বাবদ। এর মাঝে ওই প্রধান শিক্ষক গোপনে পরীক্ষা নিতে গেলে আমরা পরীক্ষা বন্ধের জন্য মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করি। আমরা সকলে এ বিষয়ে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে ঘুষ নেয়ার বিষয়ে অবগত করে বিদ্যালয়ের নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধের জন্য লিখিত অভিযোগ করেছি।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি খয়রুল ইসলাম সংবাদ প্রতিক্ষনকে বলেন, আমরা সুষ্ঠু ভাবে নিয়োগ পরীক্ষা নিচ্ছিলাম। আমাদের এই পরীক্ষায় যারা উর্তীর্ণ হবে তাদের আমরা নির্বাচীত করতাম। এর মাঝে এমন ঘটনা ঘটে বিদ্যালয়ে। বর্তমানে ওই শিক্ষকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।