![কুড়িগ্রামে মাদকাসক্ত ছেলেকে পুলিশে দিলেন মা-বাবা। কুড়িগ্রামে মাদকাসক্ত ছেলেকে পুলিশে দিলেন মা-বাবা।](https://spnewsbd.com/wp-content/uploads/2023/11/received_1066368494391929.jpg)
কুড়িগ্রামে মাদকাসক্ত ছেলেকে পুলিশে দিলেন মা-বাবা।
![](https://spnewsbd.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
সাইয়েদ বাবু,কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি- : কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে মোঃ মোস্তাফিজার রহমান(২৯) নামের এক যুবকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন বাবা-মা নিজেই।মোস্তাফিজার রহমান ফুলবাড়ী উপজেলা সদর ইউনিয়নের চন্দ্রখানা আগটারি গ্রামের মোঃ আব্দুর রহমান ও আঞ্জুয়ারা বেগমের ছেলে।সে মাদকাসক্ত ছিলেন বলে জানা গেছে।
বুধবার ২৯ নভেম্বর বিকেলে ফুলবাড়ী থানায় মোস্তাফিজার রহমানের মা মাদকাসক্ত ছেলের বিরুদ্ধে মারপিট ও ভাঙচুরের অপরাধে মামলা দায়ের করলে পুলিশ মোস্তাফিজুর রহমানকে আটক করে কুড়িগ্রাম কারাগারে প্রেরণ করে।
ফুলবাড়ী থানা পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, মাদকাসক্ত ছেলে মোস্তাফিজার রহমান প্রতিদিন নেশার টাকার জন্য বাবা-মাকে চাপ প্রয়োগ করতো। নেশার টাকা না দিলে প্রায় সময় তার বাবা-মাকে মারপিট করতো। এমনকি বাড়িতে হাঁড়িপাতিলসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাঙচুর করে আসছে। তার অত্যাচারে বাবা-মাসহ পরিবারের সবাই অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। বুধবার সকালে বাবা-মার কাছে টাকা দাবী করেন। বাবা-মা টাকা না দেওয়ায় তাদের মারপিট করে এবং বাড়ীর আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাঙচুর করে।পরে পরিবারের লোকজন ফুলবাড়ী থানায় খবর দিলে ফুলবাড়ী থানার পুলিশ ওই দম্পত্তির বাড়ি থেকে মাদকাসক্ত মোস্তাফিজুর রহমানকে আটক করে।
মোস্তাফিজার রহমানের মা আঞ্জুয়ারা বেগম বলেন, আমার ছেলে প্রতিদিন নেশার টাকার জন্য চাপ দিতো। টাকা না দিলে সে আমাদের উপর মারপিট করে নির্যাতন করতো। এমনকি বাড়ীতে দামী দামী আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাঙচুর করতো। আমরা তার অত্যাচারে বাড়ীর সবাই অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। তাই বাধ্য হয়েই তাকে পুলিশে সোর্পদ করেছি।
ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ জানান, প্রতিদিন নেশা করার জন্য টাকা দাবী করতো। নেশা করার টাকা না পেলে বাবা-মাকে সে প্রায় সময় মারপিটসহ বাসার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ভাঙচুর করতো। তার এমন কর্মকান্ডে বাবা-মাসহ পরিবারের লোকজন অতিষ্ঠ হয়ে পড়ায় মোস্তাফিজুরের বিরুদ্ধে মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে।মোস্তাফিজারকে কুড়িগ্রাম কারাগারে পাঠানো হয়েছে।