শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ঘূর্নিঝড় ‘হামুন’-এর আঘাতে লন্ডভন্ড বাঁশখালী পল্লী বিদ্যুৎ, ক্ষয়ক্ষতি প্রায় ৫০ লক্ষাধিক টাকা।

ঘূর্নিঝড় ‘হামুন’-এর আঘাতে লন্ডভন্ড বাঁশখালী পল্লী বিদ্যুৎ, ক্ষয়ক্ষতি প্রায় ৫০ লক্ষাধিক টাকা।

এনামুল হক রাশেদী, বাঁশখালী(চট্টগ্রাম) : সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ঠ ঘূর্নিঝড় ২৪ অক্টোবর বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হেনে ক্রমশ দূর্বল হয়ে উত্তর পূর্ব দিকে সরে যাওয়ার আগেই কক্সবাজার ও দক্ষিন চট্টগ্রামে ব্যাপক তান্ডব চালিয়ে যান-মালের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছে। এসময় পল্লী বিদ্যুতের চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালীতে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি সহ প্রায় ৫০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে, পরিপুর্নভাবে লাইন চালু করতে কমপক্ষে ১০ দিন সময় লাগতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
বাঁশখালী জোনাল অফিসের ডিজিএম রীশু কুমার ঘোষ জানিয়েছেন, ২৫ অক্টোবর’২৩ ইং বুধবার পর্যন্ত বাঁশখালী পল্লী বিদ্যুতের বিতরন ব্যবস্থার ৬০% লাইন পরিদর্শন শেষে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী ৩৩কেভি লাইনের ৪ টি খুঁটি, টাওয়ারের ১ টি খুঁটি ভেঙ্গে গেছে। ২২ টি খুঁটি মাটিতে পড়ে গেছে, ১৮ টি খুঁটি বিপদজনকভাবে হেলে পড়েছে, ৩৩ কেভি সঞ্চালন লাইনের উপর গাছ পড়ে আছে প্রায় ১৪০টি, ক্রস আর্ম ভেঙ্গে গেছে ২২টি, ব্রেস ভেঙ্গে গেছে ৬০টি, ইনসুলেটর ভেঙ্গেছে ২০৪টি এবং প্রধান সঞ্চালন লাইনের, তার ছিড়ে গেছে প্রায় ১২টি স্পটে। এছাড়া ১১কেভি লাইনের খুঁটি ভেঙ্গে গেছে ১৬৫টি, খুঁটি মাটিতে পড়ে গেছে ৫০টি, খুঁটি হেলে পড়েছে ২০৩টি, ১১ কেভি লাইনের উপর গাছ পড়ে আছে ১৫২০টি, ক্রস আর্ম ভেঙ্গে গেছে ৭৫টি, ব্রেস ভেঙ্গে গেছে ১০৮টি, ইনসুলেটর ভেঙ্গে গেছে ৩৬২টি, তার ছিড়ে গেছে ১২০০স্পটে, ট্রান্সফরমার নষ্ট হয়েছে ৪৫টি, মিটার ভেঙ্গে গেছে ৯৬০টি এবং সার্ভিস ড্রপ ছিড়ে গেছে ৬৫৪টি।
পল্লী বিদ্যুতের বাঁশখালী জোনাল অফিসের ডিজিএম রীশু কুমার ঘোষ জানিয়েছেন, ক্ষয়-ক্ষতির পরিমান সবছেয়ে বেশি হয়েছে উপকূলীয় ইউনিয়ন ছনুয়া, শেখেরখীল, গন্ডামারা, সরলে। ক্ষয়-ক্ষতির পরিমান প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার অধিক হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরো বলেন, গ্রাহকদের নুন্যতম সেবা চালু করতে বাঁশখালী পল্লী বিদ্যুতের জনবল দিবারাত্রি মাঠে সক্রিয় থেকেও গত ২৪ ঘন্টায় ৩৩ কেভি এবং ১১ কেভি কোন লাইন চালু সম্ভব হয়নি। পল্লী বিদ্যুতের প্রশাসন ও মাঠ কর্মিরা বিরতিহীনভাবে কাজ করার পরও পরিপুর্নভাবে সঞ্চালন লাইন চালু করতে কমপক্ষে ১০ দিন সময় লাগতে পারে বলে জানান ডিজিএম রীশু কুমার ঘোষ।
৯৪ বার ভিউ হয়েছে
0Shares