বুধবার- ২৬শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১২ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
দুর্গাপুরে আদিবাসী নেতা ও প্রাক্তন ইউপি চেয়ারম্যান সুব্রত সাংমা’র মৃত্যুতে রাস্তা অবরোধ,বিক্ষোভ মিছিল,প্রতিবাদ সমাবেশ

দুর্গাপুরে আদিবাসী নেতা ও প্রাক্তন ইউপি চেয়ারম্যান সুব্রত সাংমা’র মৃত্যুতে রাস্তা অবরোধ,বিক্ষোভ মিছিল,প্রতিবাদ সমাবেশ

কলিহাসান,দুর্গাপুর(নেত্রকোনা)প্রতিনিধি:নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য, উপজেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদ শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ও aসাবেক চেয়ারম্যান সুব্রত সাংমা’র ওপর বিএনপি’র বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়ালের ভাই মাদক ব্যবসায়ী বদি,শামীম সহ বিএনপির ৪০-৫০ জন সন্ত্রাসী রাশিমণি বাজারে অতর্কিত হামলায় আহত হন। হামলার ৯দিন চিকিৎসার পর শনিবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ খবরে স্থানীয় আওয়ামীলীগ বিরিশিরি বাসষ্টান্ড,দুগার্পুর পৌর শহর ও শিবগঞ্জ বাজার, রাশিমণিতে প্রতিবাদ সভা পালন করেছে। বিকেল ৪টার দিকে উপজেলা আওয়ামীলীগ দলীয় কার্যালয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচী পালন করেছে। সুব্রত সাংমার মৃত্যুর খবরে কুল্লাগড়া ইউনিয়নে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মধ্যে চরম উওেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় বেশক’টি ঘরবাড়ি ও দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ সেপ্টেম্বর উপজেলার কুল্লাগড়া ইউপি চেয়ারম্যান সদস্য সচিব দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপি নেতা আব্দুল আউয়াল ও বদিউজ্জামান বদি,শামীমের সাথে বিজয়পুর এলাকার বিজিবি’র সোর্স কাজল মিয়ার মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক পর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি ঘটনা ঘটে।

পরবর্তীতে এ নিয়ে আদিবাসী নেতা কুল্লাগড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা সুব্রত সাংমা এ ঘটনার বিষয়ে কথা বলায় তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায় বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল,তার ভাই বদি,শামীম সহ একদল সন্ত্রাসী বাহিনী। হামলায় গুরুতর আহত উপজেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদ শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সুব্রত সাংমাকে দুর্গাপুর উপজেলা হাসপাতালে আনা হলে অবস্থা উন্নতি না হওয়ায়  উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। দীর্ঘ ৯দিন চিকিৎসা শেষে আজ শনিবার সকাল ১১টার দিকে ময়মনসিংহ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়  মারা যান।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সীমান্ত ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিতেই কুল্লাগড়া ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল আওয়াল ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী আদিবাসীদের প্রায়ই অত্যাচার নির্যাতন চালাতো। ওই মারধরের ঘটনায় সুব্রত সাংমার বোন কেয়া তজু বাদি হয়ে গত ৩০ সেপ্টেম্বর দুর্গাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত পরিচয় ১৫-১৬ জনকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় গত ৪ সেপ্টেম্বর নেত্রকোণার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-২ এর আদালতে হাজির হলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক ১২জন আসামীর জামিন মঞ্জুর করেণ। জামিন পেয়েই চেয়ারম্যান ও তার বাহিনী মামলা প্রত্যাহারে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে।

বিজয়পুর বিজিবি’র কোম্পানি কমান্ডার মো. রেজাউল জানান, রাশিমণি ও শিবগঞ্জ বাজারে আমাদের বিজিবি মোতায়েন নেই। তবে সীমান্ত এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। যাতে কোন লোক সীমান্ত বর্ডার দিয়ে পালিয়ে যেতে না পারে।

দুগার্পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো.শিবিরুল ইসলাম জানান, সাবেক চেয়ারম্যান সুব্রত সাংমা ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে মারা গেছেন। লাশ নিয়ে এখনো দুর্গাপুর আসেনি। মৃত্যুর ঘটনায়  শিবগঞ্জ বাজারে কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্টান ভাঙচুর হয়েছে। বর্তমানে শিবগঞ্জ বাজারে ৩০ জন পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। অবরোধ প্রসঙ্গে ওসি বলেন, বিরিশিরি এলাকায়ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

৫০ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS