বৃহস্পতিবার- ২৭শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৩ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ভোলার-চরফ্যাশনে মরা গরুর মাংস জব্দ

ভোলার-চরফ্যাশনে মরা গরুর মাংস জব্দ

ভোলা প্রতিনিধিঃ ভোলার চরফ্যাশনে মৃত গরুর মাংস উদ্ধার করা হয়েছে। ওই মৃত গরুর মাংস সংগ্রহের সময় কাউন্সিলর আসায় সব ফেলে ভয়ে দৌড়ে পালিয়ে যান কশাইরা। মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ভোরবেলা মাংস বাজার সংলগ্ন পৌরসভা ৮ নম্বর ওয়ার্ডের টিপু মিয়া বাড়ির কাছে থেকে মাংস জব্দ করে চরফ্যাশন থানা পুলিশ।

থানা সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের ন্যায় আজও মাংস বাজারের গরু জবাই শুরু হয়। সেখানে নোমান কশাইয়ের গরুটি ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষায় রোগাক্রন্ত ধরা পড়ে। গরুটি শোয়া থেকে উঠতেও পারছিল না। এ অবস্থায় ভোরবেলা লোকচক্ষুর আড়ালে বাজার থেকে গরুটিকে সরিয়ে মুরগী ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম টিপু মিয়ার বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় জবাই করতে নিলে ওইটি মারা যায়।

চরফ্যাশন শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আকতারুল আলম সামু বলেন, ভোরবেলা ফোনকলে আমি মৃত গরু জবাইয়ের কথা জানতে পারি। পরে আমি-সহ কয়েকজন সংবাদকর্মীসহ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে কশাই নোমান (৩৪), রায়হান (২৮), রাছেল (৩২) ও কবির (৩০) যন্ত্রপাতি ও জবাইকৃত গরুর মাংস ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। সেখানে পৌর মেয়র মোরশেদও পৌঁছান। থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ মরা গরুর মাংস জব্দ করে থানা নিয়ে যায়।

কয়েকজন অসাধু কশাইয়ের কারনে মাংস বাজারের বদনাম ছড়াচ্ছে। এরাই বার বার অসুস্থ্য গরু জবাই করে মানুষকে খাওয়াচ্ছে। এদেরকে পৌরসভা থেকে লাইসেন্সও দেওয়া হয়নি।

মাংস বাজারের গরুর জবাইয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মাওলানা আবু তাহের বলেন, পশু ডাক্তার গরুটিকে রোগাক্রান্ত চিহ্নিত করেন। তাই আমি গরুটি জবাই করিনি।

চরফ্যাশন উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আবু সাইদ বলেন, নোমান কশাইয়ের গরুটি রোগাক্রন্ত, শোয়া অবস্থা থেকে উঠতে পারছিল না। তাই গরুটিকে জবাই করতে নিষেধ করা হয়। পরে তারা গরুটিকে পাশের এলাকা নিয়ে জবাই করে বলে শুনেছি।

স্থানীরা বলেন, মরা ও রোগাক্রন্ত গরুটি লোকসমাজের আড়ালে জবাই করে এভাবে ফ্রিজে রেখে পরদিন ভালো গরুর মাংসের সঙ্গে মিশিয়ে বিক্রি করা হতো। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া দাবী জানান ভোক্তারা।

২৩ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS