রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ভোলার বোরহানউদ্দিনে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কোটি টাকার বাণিজ্য বন্ধ করায়-এমপি মুকুলকে অভিনন্দন

ভোলার বোরহানউদ্দিনে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কোটি টাকার বাণিজ্য বন্ধ করায়-এমপি মুকুলকে অভিনন্দন

৪৪ Views

ভোলা প্রতিনিধিঃ মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ে ভোলা জেলার সব উপজেলাতেই কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য সফল ভাবে সম্পন্ন হলেও বোরহানউদ্দিন উপজেলায় বাণিজ্যে আঘাত হেনেছেন ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল। চূড়ান্ত পর্যায়ে এ বাণিজ্যে আঘাত হানায় জেলা কমিনিষ্ট পাটির সভাপতি মুবাশ্বির উল্লাহ চৌধুরী, এমপি মুকুলকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানিয়ে গনমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছেন।( ১ আগষ্ট) বৃহস্পতিবার লিখিত বিবৃতিতে কমিউনিস্ট নেতা উল্ল্র্যেখ করেন,শুধু বোরহানউদ্দিন উপজেলাতেই নয়, ভোলার ৭ উপজেলাতেই কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য হয়েছে। এর ভেতর দিয়ে কমপক্ষে দুই শতাধিক ব্যক্তি মুক্তিযোদ্ধার তালিকাভুক্ত হন যারা তারা তখন জন্ম গ্রহন করেননি এবং কখনই মুক্তিযুদ্ধের সাথে জড়িত ছিলেন না। এমনই ভাবে গত ১৫-৫-২৪ ইং তারিখে বোরহান উদ্দিন উপজেলা থেকে ১২১ জনের একটি তালিকা যামুকায় প্রেরণ করা হয় মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় চূড়ান্ত ভাবে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য। যাদের অধিকাংশই মুক্তিযোদ্ধা নয়। কমিউনিস্ট নেতা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন,মুক্তিযুদ্ধের পরে যাদের জন্ম তারাও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এমন অভিযোগ উঠায় এমপি মুকুলের অনুরোধে যামুকা ১২১ জনের ওই তালিকা ফেরত দেয়। গত ২ জুলাই যামুকার সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আলাউদ্দিনের স্বাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে বোরহান উদ্দিনের ১২১ জনের যাচাই-বাছাই প্রতিবেদনটি ত্রুটিপূর্ণ উল্লেখ করে বোরহান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়ে জরুরী ভিত্তিতে সংশোধন করে পুনরায় প্রেরণের জন্য বলা হয়। বোরহানউদ্দিন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রায়হানুজ্জামান যামুকার ফেরত পাঠানো তালিকা তার হাতে ৭ জুলাই পৌঁছেছে বলে স্বীকার করেন।
উল্লেখ্য, ত্রুটিপূর্ণ তালিকাটি রায়হানুজ্জামানের সাক্ষরেই প্রেরণ করা হয়েছিল। কমিউনিস্ট নেতা বলেন, ত্রুটিপূর্ণ এই তালিকা তৈরি হয়েছিল নাজু-আসমত চক্রের মাধ্যমে। নির্বাহী কর্মকর্তা রায়হানুজ্জামানের সহযোগিতায় কোটি টাকার বাণিজ্যের ভেতর দিয়ে। অনেকের কাছ থেকে ২ থেকে ৫ লাখ টাকা করে নিয়ে কোটি টাকার বাণিজ্যের ভেতর দিয়ে এই ত্রুটিপূর্ণ তালিকা তৈরি হয়েছে। তালিকাতে অবধৈ বানিজ্য ও অমুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দেয়ার ব্যবস্থা করায় এমপি মুকুলকে অভিনন্দন জানাই।
তিনি আরো বলেন, ভোলা সার্কিট হাউজে বসে স্থানীয় কয়েক মুক্তিযোদ্ধা নামধারী ব্যাক্তি টাকা রিসিভ করেন এবং তারাও একটি অংশ ভাগ নেন। সঠিকভাবে তালিকা তৈরীর ক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা সদয় উদ্যোগ পরিলক্ষিত হয়নি বলে কমিউনিস্ট নেতা তার বিবৃতিতে অভিযোগ করেন। কমিউনি নেতা মাঠ পর্যায়ের জীবিত প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা নিয়ে এবং নাজু-আসমত চক্র কে বাদ রেখে,সততার সহিত তালিকা প্রস্তত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আহŸান জানান।

Share This