বৃহস্পতিবার- ২৭শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৩ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ভোলা জেলা সদর পৌরশহর ও বাজারে নেই পাবলিক টয়লেট জনগনের ভোগান্তি চরমে

ভোলা জেলা সদর পৌরশহর ও বাজারে নেই পাবলিক টয়লেট জনগনের ভোগান্তি চরমে

ভোলা প্রতিনিধিঃ ভোলা জেলা সদর ও প্রথম শ্রেনীর পৌর শহরের বাজারে নেই পাবলিক টয়লেট বা ওয়াশ রুম, চরম জনদুর্ভোগে পড়েছেন ব্যবসায়ী, ক্রেতারা সাধারণ, শ্রমিকসহ নানা পেশার নারী ও পুরুষেরা। শহরে আসা নারীদের প্রয়োজন পড়লে মারাত্মক বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়।
গত কাল রবিবার (১২ মে) জনসাধারন ও ব্যবসায়ীরা জানান, ভোলা জেলা সদরে জেলা জজ আদালত,জেলা প্রশাসকের কার্যালয়,জেলা পরিষদ, হাসপাতাল, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ, থানা, ভুমিঅফিস, সাব-রেজিস্ট্রি, স্কুল-কলেজ, কাজী, সমাজসেবা, যুবউন্নয়ন, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, মাতৃসদন, সরকারি বিভিন্ন অফিস, ব্যাংক, বাজার, বাসস্টান্ড, হওয়াতে প্রতিদিন লাখ লাখ নারী ও পুরুষদের যাতায়াত। ফলে পাবলিক টয়লেট বা শৌচাগার সংকটে ব্যবসায়ী, মহিলা, শিশু ও পথচারীরা ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে কেনাকাটা, বাজার ও বিভিন্ন কাজে আসা নারীরা ও সাথে থাকা শিশুদের মলমূত্র ত্যাগে বিব্রæতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়। তারা নিরুপায় হয়ে মসজিদ, মালিকানা মার্কেটে অথবা আবাসিক হোটেলের ওয়াশরুমে যেতে হয়। অনেক সময় ওই সব টয়লেট বন্ধ থাকে। আবার খোলা থাকলেও গনহারে ব্যবহার করতে দেননা কর্তৃপক্ষ। জেলা প্রশাসক, জেলা পরিষদ বা উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে কোন পাবলিক টয়লেট নির্মান হয়নি ভোলা শহরে। আগে পৌরসভার কয়েকটি পাবলিক টয়লেট থাকলেও তা এক বছরের অধীক সময় ধরে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সেখানে মার্কেট তৈরী করে বন্ধবস্ত দেয়া হয়, মাছ বাজারের (কিচেন মার্কেটের) টয়লেটসহ দ্বিতীয় তলা এক প্রতিষ্ঠানকে ভাড়া দেয়া হয়েছে। তারা টয়লেট বন্ধ করে দিয়েছেন। জিয়া মার্কেটের টয়লেট ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে কয়েক মাস আগে। খাল পাড়ে(চকবাজার) টয়লেট ও বন্ধ করে মার্কেট করা হয়েছে। শহরে আসা মানুষদের টয়লেটের প্রয়োজন হলে বাধ্য হয়ে বাজারের গলি ও সড়কের পাশে এবং খাল পাড়ে মলমূত্র ত্যাগ করছেন। এর ফলে সৃষ্ট দুর্গন্ধে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ব্যবসায়ী ও রাস্তা ঘাটে চলাচল কারী জনগন ও শহর বাসিদের। এতে জনস্বাস্থ্যও হুমকির মুখে পড়েছে।
এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে বাজারে দ্রæতম স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট বা গণশৌচাগার স্থাপনের দাবি জানান সাধারন জনগন, বাজারের শ্রমিক ও ব্যবসাীসহ মুসল্লিরা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সজল চন্দ্র শীল জানান, কেন ? পৌরসভার পাবলিক টয়লেট নাই ? এটা শুনে বিব্রত হয়ে তিনি একটি ডিসি অফিসে একটি মিটিংয়ে আছেন বলে ফোন কেটে দেন।
পৌরসভার মেয়র ও প্যানেল মেয়র কাউকে পাওয়া যায়নি। সচিব আবুল কালাম আজাদ জানান, পৌর শহরের প্রায় পাবলিক টয়লেট বন্ধ, তা ব্যবহার করা জায়না। চকবাজারেরটা ভেঙ্গে মার্কেট করা হয়েছে,দোতলায় একটি টয়লেট নির্মান প্রক্রিয়া আছে এবং মাছ বাজারের দোতলা এক ব্যবসায়ীকে ভাড়া দেয়া হয়েছে, তিনি ওই টয়লেট বন্ধ করে দিয়েছেন, নিচে একটি টয়লেট করার জন্য মেয়র সাহেবের সাথে আলোচনা চলছে।

৭৩ বার ভিউ হয়েছে
0Shares