শনিবার- ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ভোলা সদর ভেদুরিয়া ইউনিয় আওয়ামীলীগের সভাপতি তাজল মাষ্টারকে তুলে নিয়ে যুবলীগ সভাপতির নির্যাতনের অভিযোগ,অচেতন অবস্থায় উদ্ধার

ভোলা সদর ভেদুরিয়া ইউনিয় আওয়ামীলীগের সভাপতি তাজল মাষ্টারকে তুলে নিয়ে যুবলীগ সভাপতির নির্যাতনের অভিযোগ,অচেতন অবস্থায় উদ্ধার

ভোলা প্রতিনিধিঃ ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি,ব্যাংকের হাট হাইস্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক ও সাবেক চেয়ারম্যান,উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক,সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ ইউনুছ মিয়ার নির্বাচনী উপদেষ্টা-তাজল ইসলাম মাষ্টারকে, জেলা যুবলীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র আলহাজ্ব মনিরুল ইসলামসহ তার কিশোর গ্যাংরা শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকালে বাসা থেকে তুলে গাড়িতে করে ভেলুমিয়া এলাকায় নিয়ে নিয়াতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্যাতনে সে অচেতন হয়ে পরলে তাকে উদ্ধার করে একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়। এনিয়ে ভোলা সদরে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
তাজল ইসলাম স্যারের পরিবার জানান,শনিবার বিকালে জেলা যুবলীগ সভাপতি ও পৌর মেয়র এবং সাবেক মন্ত্রী আলহাজ্ব তোফায়েল আহমেদ এমপির ভাগ্নে-মনিরুজ্জামান মনিরসহ কয়েকজন কিশোর গ্যাং বিকাল বেলায় বাসা থেকে তাজল স্যারকে ধরে তুলে ভেলুমিয়ার দিকে নিয়ে যায়। গাড়ির মধ্যে মেয়রের কথিত মামা চেয়ারম্যান প্রার্থী-আলহাজ্ব মোশারেফ হোসেন মিয়ার পক্ষে নির্বাচন করতে চাপ প্রয়োগ করেন। তিনি তাতে রাজি না হওয়ায় তাকে শ্বারীরিক ও মানষিক নির্যাতন করে তার পরিবারতে দেখে নেয়ার হুমকি প্রদান করলে তিনি অচেতন হয়ে পরেন। রাতে তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে একটি প্রাভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়। তাজল ইসলাম স্যার ও ভেদুরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি গত ৬ মাস ধরে, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্মসম্পাদক ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ্ব মোঃ ইউনুছ মিয়ার নির্বাচনী উপদেষ্টার দায়ীত্ব পালন করছেন। চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউনুছ মিয়া জানান, আমরা কয়েক মাস যাবত শান্তিপুর্ন ভাবে উপজেলা নির্বাচনের প্রচার প্রচারনা চালিয়ে জনগনকে নির্বাচন মুখি করে তুলেছি, নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার পরে মনোনয়ন দাখিল ও যাচাই বাচাই হয়েছে, আমি আমার কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে জনসংযোগ করছি। এরই মধ্যে আমাদের বড় ভাই আরেক প্রার্থী মোশারেফ মিয়ার কর্মীরা, আমার নির্বাচনী উপদেষ্টা তাজল স্যারকে তুলে নিয়ে তাদের পক্ষে নির্বাচন করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। তিনি তাদের নির্বাচন করতে পাবেননা বলে জানালে তার উপর নির্যাতন করা হয়, আমার বিভিন্ন কর্মীকে হুমকি প্রদান করে নির্বাচনী পরিবেশকে ঘোলাটে করার চেষ্টা করছে। যা নির্বাচনী আচরন বিধির লঙ্গনের মধ্যে পরছে। ভোট জনগনের হাতে, তাদের কাছে গিয়ে ভোট চেয়ে আনতে হবে, তারা যাকে ভোট দিবেন তিনিই চেয়ারম্যান হবেন। আমি এসব অপকর্ম থেকে সবাইকে বিরত থেকে সুন্দর পরিবেশে নির্বাচন করার আহবান জানাই। উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি শিরাজ মিয়া জানান, আমরা আমাদের অবিভাবক জননেতা তোফায়েল আহন্মেদের আদর্শকে অনুসরন করে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, জনগনের কাছে ভোট প্রাথনা করছি, তারা যাকে ভোট দিবে তিনিই চেয়ারম্যান হবেন। আমরা একই দলের লোক, আমাদের মধ্যে কোন বিরোধ নাই। জেলা যুবলীগের সভাপতি মনিরুজ্জামান মনিরের সাথে ফোনে যোগা যোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। এঘটনায় আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। ন্যাককার জনক ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন স্যারের পুরাতন হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্ররা।

২২ বার ভিউ হয়েছে
0Shares