মঙ্গলবার- ২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ভোলায় দুই লঞ্চ থেকে ১২০ মন ইলিশ আটক

ভোলায় দুই লঞ্চ থেকে ১২০ মন ইলিশ আটক

মিজানুর রহমান-ভোলা প্রতিনিধিঃভোলা থেকে ঢাকা নেয়ার পথে যাত্রী বাহি দুটি লঞ্চ থেকে, ১২০-মন ইলিশ আটক করেছে,কোষ্ট গার্ড দক্ষিন জোনের সেশন কমান্ডার মোঃ খাদেম হোসেনের নেতৃতে তার সঙ্গীয় সদস্যরা এ মাছ আটক করেন। মাছের কোন মালিক পাওয়া না গেলেও লঞ্চ দুটি ছেড়ে দিয়েছেন তারা। আটকৃত মাছ এতিম খানা, লিল্লাহ বডিংসহ গরিবের মধ্যে বিতরন করা হয়েছে।
২৭ (মার্চ) বুধবার রাত ১১ টায় তেতুলিয়া হাজির হাট এলাকায় যাত্রী বাহি লঞ্চ এমভি অথৈ-১, ও পারাবত-১৫, মাছ বোঝাই করে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ খবর পেয়ে ভোলা দক্ষিন জোনের টিম লঞ্চে অভিযান চালিয়ে মাছ জদ্ধ করেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেন কোষ্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা বিএন এইচ এম এম হারুন-অর-রশীদ।
অভিযোগ উঠেছে, এসব বড় বড় মাছের চালান পাচারে ভোলা জেলা ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তারা জড়িত রয়েছেন। রহস্যজনক কারনে চলতি নিষেধাজ্ঞায়-ভোলার পুলিশ বাহিনীর কোন কর্মকর্তা ও সদস্যরা অভিযানে নামেননা। এর মধ্যে অভিযানে আটক কৃত ১০ মন মাছ ও ১০ হাজার মিটার জাল গোপনে বিক্রি করে দিয়েছে মৎস্য বিভাগের লিটন মাঝি। যা ভাগ বাটোয়ারা করেছেন, সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা এ এফ এম এন সালেহীন।
সরকারের নিষেধাজ্ঞা মতে, ইলিশের অভয়াশ্রম রক্ষায় পহেলা মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটার এলাকায় ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা, বিক্রি, পরিবহন ও মজুদ নিষিদ্ধ। সরকারি নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ, নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ডের অভিযান অব্যাহত রাখবেন। জেলেরা যাতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকার করতে না পারে সেজন্য ইলিশ স¤পদ রক্ষায় জেলের সচেতনতার পাশাপাশি কঠোর অভিযান চালাতে হবে। তাহলে মাছ পরিবহনের লঞ্চ ২টি ছেড়ে দেয়া হল কেন, এ প্রশ্ন স্বচেতন মহলের।
উল্লেখ্য, পহেলা মার্চ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত মেঘনা ও তেতুলিয়ায় নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ইলিশ মাছ ধরা অব্যহত ছিল, এর সাথে মৎস্য বিভাগের অসাধু কর্মকর্তারা জড়িত ছিলেন এমন সংবাদ প্রায় পত্রিকা ও টেলিভিশনে প্রচার চলছে।

৬০ বার ভিউ হয়েছে
0Shares