শনিবার- ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ভোলার-তজুমদ্দিনে দ্বিতীয় দফায় জেলে পুনর্বাসনের চাউল নিয়ে কেলেংকারী

ভোলার-তজুমদ্দিনে দ্বিতীয় দফায় জেলে পুনর্বাসনের চাউল নিয়ে কেলেংকারী

ভোলা প্রতিনিধিঃ  ভোলার-তজুমদ্দিনে দ্বিতীয় দফায় জেলে পুনর্বাসনের চাল উদ্ধার নিয়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়। বেশি দিন নয়, একই উপজেলার সম্ভপুর ইউনিয়নে জেলে পুনর্বাসনের চাল উদ্ধারের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের একই উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নে ঘটেছে জেলেদের পুনর্বাসনের চাল উদ্ধারের ঘটনা।
শুক্র বার বিকালে উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের রবিউলের ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে জেলে পুনর্বাসনের ২৪ বস্তা চাউল। উদ্ধারকৃত চাল জব্দ করে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমির হোসেনের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভ দেবনাথ জানান, একটি ঘরে অবৈধভাবে মজুদ করে রাখা হয়েছে জেলেদের পুনর্বাসনের চাল এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের রবিউলের ঘরে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে জেলে পুনর্বাসনের ২৪ বস্তা চাউল। কিভাবে এক ব্যক্তির বসত ঘরে এই চাল আসলো বিষয়টি খতিয়ে দেখে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার বলেন তিনি।
এর আগেও (২৫ ফেব্রæয়ারী) রোববার উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ সম্ভপুরের খাসের হাট বাজারের হোন্ডা স্ট্যান্ড এলাকায় চাল চুরির ঘটনা নিয়ে স্থানীয়দের তোপের মুখে পড়েন শম্ভুপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাসেল মিয়া। একইভাবে সেখান থেকে জেলেদের পুনর্বাসনের ৪৪ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়।
সে ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই একই উপজেলায় পুনরায় জেলেদের পুনর্বাসনের চাল উদ্ধার হওয়ার বিষয়টি নিয়ে পুরো জেলা জুড়ে চলছে সমালোচনার ঝড়।
স্থানীয়রা বলছেন, আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও ব্যবহার না থাকায় পুরো জেলা জুড়ে একের পর এক বিভিন্ন অনিয়মসহ ঘটছে জেলেদের পুনর্বাসনের চাল চুরির মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনা। এ সকল ঘটনার সাথে স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বার সহ সরকার দলের বিভিন্ন ব্যক্তির সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞ মহল।

তবে ছোট খাটো এইসব চুরির ঘটনাগুলো বর্তমান সরকারের কিছুটা ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে এমনটি মনে করে এ সকল ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তারা।

৩৪ বার ভিউ হয়েছে
0Shares