বৃহস্পতিবার- ২৭শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৩ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
অভিযোগ ব্যবসায় মলিক ও কর্মচারীদের নির্যাতনে শিকার ভোলা জিয়াসুপার মার্কেটের ব্যবসায়ীরা

অভিযোগ ব্যবসায় মলিক ও কর্মচারীদের নির্যাতনে শিকার ভোলা জিয়াসুপার মার্কেটের ব্যবসায়ীরা

ভোলা প্রতিনিধিঃ ভোলা জিয়া সুপার মার্কেটের ব্যসায়ী, মালিক ও কর্মচারীরা নির্যাতনের শিকার বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পৌর কর্তৃপক্ষ অনিয়মভাবে মার্কেট ভেঙ্গে ব্যবসায়ী ও মালিকদের উৎখাত করার চেষ্টা,মার্কেটের চলাচলের পথে বন্ধ ও ১২৫টি দোকান পিছু করে প্লান অবর্হিভুত ভাবে নিউ অঙ্গ সজ্জা নামসহ ৬টি দোকান ঘর নির্মান করে বরাদ্দ দেয়া, খাবারের দোকান বন্ধ, দোকান ঘরে তালা ঝুলানো, মেইন গেইট ভাঙ্গা, মার্কেট রং, পরিস্কার করতে বাধাসহ দির্ঘদিন যাবত বিভিন্ন নির্যাতন করে আসছেন বলে অভিযোগ করনে মালিক, ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা। নির্যাতনের বিরুদ্ধে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্তে¡ও তাদের নির্যাতন থামছেনা। অসহায় হয়ে পরেছেন ওই মার্কেটের শহ¯্রাধী ব্যবসায়ী, মালিক ও কর্মচারীরা। ২টি দোকানে তালা ঝুলানোর প্রতিবাদে ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা ভিক্ষোব করেন পৌর কর্তৃপক্ষেরে বিরুদ্ধে। পৌর কর্তৃক্ষ ও তাদের একটি বাহিনী অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। রাতে তারা দোকান বন্ধ করে বাসায় গেলে তাদের জীবন ধারনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শত শত কোটি টাকার মুলধন নিরাপদে থাকবে কিনা এ নিয়ে আতংকের মধ্যে দিন যাপন করছেন তারা। ১৫ আগষ্ট সোমবার সকালে এসব অভিযোগ পাওয়া যায়।

মালিক ও ব্যবসায়ী সমিতির সহসভাপতি হারুন মোল্লা, সাধারন সম্পাদক হারুন মিয়া, ব্যবসায়ী কামাল, বারেক, ফরিদ, মিজান, আমিরসহ ৫ শতাধীক কর্মচারীর অভিযোগে ও সরজমিনে জানান গেছে, ৪২ বছর আগে জিয়া সুপার মার্কেটটি ব্যবসায়ীদের মধ্যে চিরস্থায়ী বরাদ্দ দেন তৎকালে ৫ বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব সামছুদ্দিন আহন্মেদ মিয়া। তার পর থেকে পর্যায় ক্রমে চেয়ারম্যান আসেন এবং মার্কেটের উন্নয়ন কেরে মালিক ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ফের বরাদ্দের বাড়তি টাকা নেন। বর্তমানে জিয়া সুপার মার্কেটটি প্লানের মাধ্যমে তৃতীয়তল ভবনে রুপান্তরিত হয়ে ১২৫টি দোকান ঘর করে ব্যবসায়ীদের মধ্যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রতিটি দোকানে কোটি টাকার করে মালামল রয়েছে। এই মার্কেটে প্রায় সহশ্রাধীক পরিবারের লক্ষাধীক মানুষের জীবন ধারনের প্রতিষ্ঠান। বর্তমান পৌরকর্তৃপক্ষ তৃতীয়তল মার্কেটটিকে ভেঙ্গে জিয়া শপিংমলে রুপান্তরিক করতে একটি প্লান করে গোপনে নতুন ভাবে বরাদ্দ দেয়ার জন্য অন্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়ে বর্তমান মালিক ও ব্যবসায়ীদের উৎখাত করে পথে বসানোর পায়তারা করে। ব্যবসায়ী ও মালিকেরা এঘটনা টের পেয়ে আদালতের মামলা করে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ওই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্লান অবহিভুতভাবে মার্কেটের মধ্যের চলাচলের পথ বন্ধ ও ১২৫টি দোকান পিছু করে নিউ অঙ্গ সজ্জাসহ ৬টি দোকান ঘর নির্মান করে বরাদ্দ দেয়া, খাবারের দোকান বন্ধ, দোকানে তালা ঝুলানো, মেইন গেইট ভাঙ্গা, মার্কেটকে পরিস্কার করতে বাধাসহ দিঘদিন যাবত বিভিন্ন নির্যাতন করে আসছেন। ১ আগষ্ট রাতে পৌরকর্তৃপক্ষ ২টি দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেয়। ব্যবসায়ী, মালিক ও কর্মচারীদের ভিক্ষোব এবং আন্দোলনের মুখে তালা খুলেদেয় কর্তৃপক্ষ। ব্যসায়ী ও মালিকেরা আরো অভিযোগ করেন,বর্তমানে পৌর কর্তৃক্ষ ও তাদের একটি বাহিনী অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। ব্যবসায়ীরা রাতে দোকান বন্ধ করে বাসায় গেলে তাদের জীবন ধারনের প্রতিষ্ঠান ও শত শত কোটি টাকার মুলধন নিরাপদে থাকবে কিনা এবং বড় ধরনের র্দূঘটনার আশংকায় নিরাপত্তাহীনতায় দিনাতিপাত করছেন তারা। মার্কেটের কোন র্দূঘটনা ঘটলে-মহাজনদের কোটি টাকা দেনা, বৃদ্ধ মা-বাবা, স্ত্রী, ছোট,বিবাহযোগ্য মেয়ে-ছেলে, নাতি-নাতনি নিয়ে হাজার পরিবারকে পথে বসতে হবে। তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সুন্দর্য , প্লান ঠিক রাখতে, অবাধে ও সুন্দর পরিবেশে ক্রেতারা মার্কেটে এসে কেনা-কাটা করতে পারে তার জন্য অবৈধ দোকান অপসারন করে পৌর কর্তৃপক্ষের নির্যাতনের হাত থেকে বাচানোর জন্য প্রশাসনসহ উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানিয়েছেন ব্যবসায়ী,মালিক ও কর্মচারীবৃন্দরা।

এ ব্যাপারে পৌর মেয়র ঢাকা থাকায় তার বক্তব্য নেয়া যায়নি। প্যানেল মেয়র, নির্বাহী ,সচিব ,প্রকৌশলী, মার্কেট পরিদর্শকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে কাউকে পাওয়া যায়নি এবং অনেকে বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

৭০ বার ভিউ হয়েছে
0Shares