শুক্রবার- ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বদরগঞ্জে আমগাছগুলোতে মুকুলে ছেয়ে গেছে,ভালো দাম পাওয়ায় আশায়,স্বপ্ন বুনছে কৃষক। 

বদরগঞ্জে আমগাছগুলোতে মুকুলে ছেয়ে গেছে,ভালো দাম পাওয়ায় আশায়,স্বপ্ন বুনছে কৃষক। 

রানা ইসলাম বদরগঞ্জ রংপুর : রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার সর্বত্রে বিভিন্ন আম গাছে ছেয়ে গেছে মুকুল।বাতাসে সুরভিত ঘ্রাণ।প্রচুর মুকুল ধরেছে প্রতিটি বিভিন্ন জাতের আমগাছে।প্রকৃতি অনূকূলে। তাই মুকুলের ব্যপক সমারোহে আম চাষিরা এবার বাম্পার ফলন দেখছেন।
গত কয়েকদিন উপজেলার শংকরপুর পাঠানপাড়া,রামনাথপুর গড়ডাঙ্গী, ওসমানপুর,নাটারামসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে আম গাছের প্রচুর মুকুল ছেয়ে গেছে। এসব এলাকায় আবার বিশেষ করে হাঁড়ি ভাঙ্গা  আমের বিশেষ খ্যাতি রয়েছে। মবাগানগুলোতে হলুদ রং ধারন করেছে। বসন্তের ঝিরিঝির বাতাসে আমগাছে দোল খাচ্ছে মুকুল।আগাম বাগান কেনার জন্য বিভিন্ন মৌসুমী আম ব্যবসায়ীদের দূর দূরান্তে থেকে বাগানগুলোতে আসতে শুরু করছে।সবার মুখে হাসির ঝিলিক হাওয়া লেগেছে।
বাগানমালিকেরা জানান,ফল হিসেবে আম লাভজনক মৌসুমি ব্যবসায় হওয়ায় প্রতিবছরে বাড়ছে আম বাগানে সংখ্যা। স্বাদে গুনে অতুলনীয় হাড়িভাঙ্গা আম বদলে দিয়েছে ফাঁসিদের জীবন। হাড়িভাঙ্গা আম রংপুরের অর্থনীতির জন্য বিশেষ ভূমিকা বয়ে আনে মনে করেন আম চাষিরা।
রমানাথপুরের গড়ডাঙ্গী গ্রামের কৃষক হাসানুর রহমান বলেন,আমি ৭০শতাংশ জমিতে হাঁড়িভাঙ্গা মিশ্রিভোগ জাতীয় আম আবাদ করেছি।গাছে মুকুল ভাল ধরছে আশা করে আবহাওয়া ভাল থাকলে আম ১লক্ষ টাকার অধিক দামে বিক্রি করা যাবে।
কালুপাড়ার শৌলারপাড় গ্রামে সোলায়মান ইসলাম বলেন,আমি তিন বিঘা জমিতে হাঁড়ি ভাঙ্গা আমের গাছ লাগিয়েছি।এবার ফলন ভাল হয়েছে আশা করি আম বিক্রি করে ভালো টাকা পাওয়া যাবে।ইতিমধ্যে মৌসুমি আম ব্যবসায়ীদের বাগানে আনাগোনা শুরু হয়েছে আগাম বাগান কেনার জন্য।
শংকরপুর চেমটা পাড়া গ্রামে তরুন কৃষক হৃদয় মিয়া বলেন,আমি হাঁড়িভাঙ্গাসহ বিভিন্ন আম গাছের চারা বেশ ভাল দামে বিক্রি করছি।দূর দূরান্ত থেকে লোক এসে আমার কাছে আমের চারা কিনে নিয়ে যায়।
বদরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকতা জোবায়দুল ইসলাম বলেন, প্রকৃতি বিরূপ না হলে এবার আরোও বেশি আমের ফলনের সম্ভবনা রয়েছে।তিনি আরো বলেন,আমরা কৃষি বিভাগ থেকে বিভিন্ন আম চাষিদের গাছের পরিচর্যার জন্য পরামর্শ প্রদান করে থাকি।
১৬ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS