শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
কোন সরকারকে টেনে নামানো অথবা কোন দলকে ঠেলে ক্ষমতায় বসানো সাংবাদিকদের দায়িত্ব নয়

কোন সরকারকে টেনে নামানো অথবা কোন দলকে ঠেলে ক্ষমতায় বসানো সাংবাদিকদের দায়িত্ব নয়

আব্দুর রহমান রাসেল,রংপুর ব্যুরো   : বাংলাদেশে ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি এম আব্দুল্লাহ বলেছেন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট হিসেবে বলি, একজন সংবাদ কর্মী হিসেবে বলি আমাদের কোন দায়িত্ব নয়, কোন সরকারকে টেনে নামানো অথবা কোন দলকে ঠেলে ক্ষমতায় বসানো। কিন্তু আমাদের একটি কনসার্ন অবশ্যই আছে, সেটি হেলো দেশে গণতন্ত্র থাকতে হবে। কারণ গণতন্ত্র না থাকলে আমাদের লেখার বলার স্বাধীনতা থাকে না। আমাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকে না। যে কারণে আমাদের গণতন্ত্র ফেরানোর জন্য আমাদের সংগ্রাম করতে হবে। যেটা আমাদের অগ্রজরা করে গেছেন। আমরা আহমেদ হুমায়ুন, নির্মল সেন, গিয়াস কামাল চৌধুরীদের উত্তরসুরি। দেশে গণতন্ত্র ফেরাতে আমাদের কলম এবং বলা চলবে।  কোন কিছুর কাছে আমরা  সত্য বলা বন্ধ করবো না।

রোববার (২৩ জুলাই) দুপুরে রংপুর মহানগরীর এসোড হল রুমে রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের(আরপিইউজে) আয়োজনে ডিজিটাল নিরাপত্বাই আইন বাতিল, সাংবাদিক নির্যাতনের বিচার এবং বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দেয়ার দাবিতে সাংবাদিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখে বিএফইউজের মহাসচিব নুরুল আমীন রোকন। আরপিইউজে সভাপতি সালেকুজ্জামান সালেকের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সরকার মাজহারুল মান্নানের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএফ ইউজের সহ-সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, সাবেক সহকারি মহা সচিব আহমদ মতিউর রহমান, দৈনিক দাবানল সম্পাদক ও আরপিইউজে সহ সভাপতি খন্দকার মোস্তফা সরওয়ার অনু, রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাব সভাপতি নজরুল ইসলাম রাজু, রংপুর সিটি প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক  হুমায়ুনি কবির মানিক, ড্যাব রংপুর মহানগর আহবায়ক ডা. নিখিলেন্দ্র শংকর গুহ রায়, জিয়া পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ড. রোকনুজ্জামান। সমাবেশে বক্তব্য আরও বক্তব্য রাখেন, আরপিউজের সহ সভাপতি চঞ্চল মাহমুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম মানিক, সাংগঠনিক সম্পাদক বাদশা ওসমানি, কোষাধ্যক্ষ মমিনুল ইসলাম রিপন, সদস্য ফকরুল শাহীন, রেজাউল করিম লাবলু, আব্দুল আলীম প্রামাণিক, আব্দুল কুদ্দুস বসুনিয়া, বখতিয়ার রহমান, এম এ সালাম বিশ্বাস, কাজী শহিদুল ইসলাম, হাফিজার রহমান প্রমুখ।

এসময় বিএফইউজে সভাপতি আরও বলেন, সাংবাদিকরা বাংলাদেশে স্বাধীন গণমাধ্যমের প্রশ্নে আপোষ করবে না, সাংবাদিকতার লেখনির ব্যাপারে আপনারা কোন আপোষ করবেন না। ডিজিটাল নিরাত্বা আইনের মতো কালাকানুনের প্রশ্নে আপোষ করবে না, আমরা স্বাধীন ভাবে লিখতে চাই, কালাকানুনের কবলে নিপীড়িত হতে চান না, এটাই সাংবাদিকদের প্রধান চাওয়া। এজন্য আমাদের গণতান্ত্রিক পরিবেশ দরকার। গণতন্ত্র এবং সংবাদ মাধ্যম হাত ধরাধরি করে চলে। দেশে গণতন্ত্র না থাকলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা থাকে না।

এম আব্দুল্লাহ আরও বলেন,  দলমতের উর্ধে থেকে প্রথমেই আমাদের সংবাদপত্রের স্বাধীনতা,  সাংবাদিকদের লেখার স্বাধীনতা, বলার স্বাধীনতা, গণতান্ত্রিক পরিবেশ। এর বিরুদ্ধে যে দলই দাড়াক না কেন তারাই আমাদের শত্রু। তারা হোক আওয়ামীলীগ, হোক বিএনপি হোক জিন্দাবাদ। নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে আমরা এসবের প্রতিবাদ করবো। ডিজিটাল নিরাপত্বা আইন বাতিল ছাড়া আমরা ঘরে ফিরবো না। সাংবাদিক হত্যা নির্যাতন বন্ধ এবং জড়িতদের বিচার করতে হবে। বন্ধ সব গণমাধ্যম খুলে দিয়ে বেকার সাংবাদিকদের রুটি রুজির বন্দোবস্ত করতে হবে।

সমাবেশের শুরুতে রংপুরের মরহুম সাংবাদিক বীরমুক্তিযোদ্ধা খন্দকার গোলাম মোস্তফা বাটুল, বীরমুক্তিযোদ্ধা নওয়াজেশ হোসেন খোকা, বীরমুক্তিযোদ্ধা আলী আশরাফ, মোজাম্মেল হোসেন, শেখ কল্লোল আহমেদ, রবিউল হোসেন সরকার বাবলু, আব্দুর রশিদ বাবু, আফতাব হোসেন, ইকবাল হোসেন, উৎস রহমান, হাজি মারুফ, মমিনুনর রহমান ওরফে রতন সরকারসহ সকল মরহুম সাংবাদিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে  শোক প্রস্তাব গ্রহন করা হয়। এছাড়াও তাদের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া মোনাজাত করা হয়। এছাড়াও সভায় রংপুর বিভাগে সাংবাদিকদের ওপর হামলা মামলা ও নির্যাতনের চিত্র উপস্থাপন করে এসবের প্রতিকার দাবি করা হয়।

সমাবেশে রংপুরে কর্মরত বিভিন্ন প্রেস, অনলাইন ও ইলেক্ট্রনিক্স গণমাধ্যমের শতাধিক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।

৫৯ বার ভিউ হয়েছে
0Shares