বৃহস্পতিবার- ২৭শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৩ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
যানজটে নাকাল শিক্ষার্থী-পথচারী ও যাতায়াতকারীরা

যানজটে নাকাল শিক্ষার্থী-পথচারী ও যাতায়াতকারীরা

পটুয়াখালী প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর দশমিনা-বাউফল-গলাচিপা উপজেলার সড়কগুলো অবৈধভাবে দু’পাশে অটোরিকশা, মাহিন্দা ও মটরসাইকেরসহ বিভিন্ন গাড়ির স্ট্যান্ড এর ফলে যানজটে নাকাল হচ্ছেন পথচারী ও যাতায়াতকারীরা। অবৈধভাবে গাড়ি রাখার কারনে শিক্ষার্থীসহ পথচারিদের ভোগান্তি চরমে।

বুধবার সকালে দশমিনায় সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার পুজাঁখোলা-নলখোলা এলাকায় পূর্ব দিক থেকে ঢোকার প্রবেশপথ এটি। পটুয়াখালী জেলা শহর থেকে দশমিনা-গলাচিপা ও বাউফল উপজেলা তিনটি সড়কের মাথা এসে নলখোলা এলাকায় মিশেছে। তাই এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ মোড়। এই মোড়ে সড়কটির দুই পাশে সারি সারি অটোরিকশা দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। পথচারীদের চলাচলের জায়গাতেও অটোরিকাশা রাখা রয়েছে। সড়কের মাঝখানে অল্প জায়গা দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। পথচারীরা কষ্ট করে মোড়টি পারাপার হচ্ছেন। সড়কের দুই পাশে অটোরিকশা দাঁড়িয়ে থাকায় অনেকে ঝুঁঁকি নিয়ে সড়কের মাঝখান দিয়ে চলাচল করছেন। বড় কোনো গাড়ি এলেই তীর্ব যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে দেখা যায়।

দশমিনা সদরে মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আরেফাতুনেছা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আব্দুর রসিদ তালুকদার সরকারি ডিগ্রী কলেজ ও ডা. ডলি আকবর মহিলা কলেজ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শুরু ও ছুটির সময় শিক্ষার্থীরা ব্যাপক দুর্ভোগের মধ্যে পড়েন। যানজটে তাঁদের প্রতিষ্ঠান থেকে বেরিয়ে যানজটে আটকে থাকতে হয়।

দশমিনা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, পুরো সড়কটি দখল করে অবৈধ স্ট্যান্ড গড়ে তোলা হয়েছে। পুজাঁখোলা মোড় থেকে শুরু করে নলখোলা শড়কের দু’পাশে দাঁড় করিয়ে রাখা হয় বিভিন্ন ধরনের গাড়ি। পায়ে হেঁটেও যাওয়ার উপায় থাকে না। ফুটপাতসহ সব জায়গায় এসব গাড়ি রাখা হয়। সড়কের মাঝখানে একটু খালি থাকে। সেখান দিয়ে যানবাহন ও মানুষকে যাতায়াত করতে হয়। ফলে তীর্ব যানজট লেগেই থাকে সব সময়। দ্রæত এসমস্যার সমাধান করায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করি।

ভোগান্তির শিকার এইচএসসি পরিক্ষার্থী স্বাধীন জানান, উপজেলার পুঁজাখোলা থেকে নলখোলা পর্যন্ত এ সড়ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন এখানে যানজট লেগেই থাকে। আমার পরিক্ষা চলে যে যানজট লেগেছে তাতে ৪০ থেকে ৪৫ মিনিটেও শেষ হবেনা। উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা কর্
ি
উপজেলার বড় গোপালদী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক ও দিগন্ত শড়কের বাসিন্দা আহাম্মেদ ইব্রাহিম অরবিল বলেন, যত্রতত্র অটোরিকশা, মাহিন্দা ও উল্কা শড়কে দাঁড়িয়ে থাকায় যানজট লেগেই থাকে। এতে সড়ক পার হওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। শহরের আশপাশে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, কলেজ ও সরকারি বেসরকারি বহু প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রতিদিন শিক্ষার্থীকে এ সড়ক পার হতে হয়। এ ছাড়া শহরে ঢোকার প্রধান সড়কও এটি। ফলে মোড়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু অবৈধভাবে শড়কের দু’পাশে গাড়ি রাখার কারণে সাধারণ মানুষ ব্যাপক দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছেন। তিনি আরও বলে, সংশ্লিষ্টকর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করি।

অবৈধভাবে সড়কের দু’পাশে গাড়ি রাখার বিষয় স্বীকার করে দশমিনা থানা ওসি মো. নুরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, অটোরিকশা ও মাহিন্দা চালকদের থানা পুলিশের উদ্যেগে প্রশিক্ষন দেয়া হবে এবং মটরসাইকেল চালকদের হেলমেট বাধ্যগত করা হবে। আর অটোরিকশা ও মাহিন্দা থেকে যাত্রীরা যাতে ডান পাশে না নামতে পারে সে ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোসা নাফিজা নাজ নীরা বলেন, অটোরিকশা ও মাহিন্দার জন্য নলখোলা বাসস্ট্যান্ডের পশ্চিম পাশে স্ট্যান্ডের যায়গা নির্ধারন ও বালু বড়াটের কাজ শেষ করা হয়েছে। আশা করি দ্রæত সময়ের মধ্যে নতুন স্ট্যান্ডে গাড়ি পাকিং এর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS