রবিবার- ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পটুয়াখালীতে সুপারকে লাথি দিয়ে মাদ্রাসা থেকে বের করে দেয়ার অভিযােগ

পটুয়াখালীতে সুপারকে লাথি দিয়ে মাদ্রাসা থেকে বের করে দেয়ার অভিযােগ

পটুয়াখালী প্রতিনিধি।। পটুয়াখালীর দশমিনায় মাদ্রাসার সহ-সুপারকে লাথি দিয়ে মাদ্রসা থেকে বের করে দেয়ার অভিযাগ উঠেছে ম্যানজিং কমিটির এক সদস্যের বিরুদ্ধে। রবিবার বেলা ১১টায় উপজলার বাশঁবাড়িয়া ইউনিয়নের দক্ষিন দাসপাড়া আবদুল গনি মহিলা দাখিল মাদ্রসায় এঘটনা ঘট।
জানা যায়, উপজলার বাশঁবাড়িয়া ইউনিয়নর দক্ষিন দাসপাড়া আবদুল গনি মহিলা দাখিল মাদ্রসায় জরুরী সভায় মাদ্রসায় প্রথম থেকে পঞ্চম এবং ৬ষ্ট শ্রেনীত কাম্যসংক্ষক শিক্ষার্থী ভর্তী না হওয়ায় এবং ১লা জানুয়ারি বই উৎসবসহ বিভিন্ন বিষয় আলাচনা করা হয়। আলাচনার এক পর্যায়ে ওই মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি ও বর্তমান সভাপতির লাইজু আক্তার স্বামী, অভিভাবক সদস্য, বর্তমান ১৪৫ নম্বর চর বাঁশবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তারিকুল ইসলাম সাহিদ চয়ার থক উঠ ওই মাদ্রাসার সহকারি সুপার মাওলানা মজিবুর রহমানকে লাথি মেরে মাদ্রাসা থেকে বের কারার হুমকি দেয় এবং অকথ্য ভাষায় গালমদ করে।
এবিষয় সহ-সুপার মাওলানা মুজিবুর রহমান বলেন, সুপার সাহেব সভা ডাকছ। মাদ্রাসার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাচনা করেন। আমি মাদ্রসার সহ-সুপার আমার মতামত থাকতে পারে। আমি কথা বলত গেলে আমাকে কােন কথা না বলার জন্য বলে সাহিদ। আমি কারন জানতে চাইলে সুপার, উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারীর সামনে সাহিদ তার চেয়ার থেকে উঠে আমার সামনে এসে আমাকো লাথি মারতে মারতে মাদ্রাসা থেকো বের করে দিবে এবঙ অকথ্য ভাষায় গালমদ করে। আমি অভিযােগ আকারে উপজলা নির্বাহী কর্মকর্তা, মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাক জানাবা। বাড়ির দড়জায় মাদ্রাসা বলে প্রায় সময় শিক্ষকদর সাথে খারাপ আচারন করে এ সাহিদ।
এবিষয় মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আলতাফ হােসেন বলেন,, জরুরী সভা ডাকা হয় সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ম্যানজিং কমিটির সদস্য ছিল। আলাচনার এক পর্যায় তারিকুল ইসলাম সাহিদ মাদ্রাসার সহকারি সুপারক অকথ্য ভাষায় গালমদ করে এবং লাথিমেরে মাদ্রাসা থেকে বের করে দেয়ার কথা বলে। এটা একজন শিক্ষকর জন্য মানসন্মানহানী কর। আমি উপজলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে বলার জন্য বলছি।
এবিষয় মাদ্রাসার সভাপতি লাইজু আক্তার বলন, এ বিষয় আমি কিছুই জানিনা। এ রকম আচরন করা কােন ভাবেই নীতীবাচক নয়। এবিষয় নিয়ে আমি সুপার সাহেবের সাথে আলাচনা করে দখছি।
এ বিষয় তরিকুল ইসলাম সাহিদকে একাধিকবার ব্যক্তিগত মােবাইল ফােন দিলে রিসিভ না করার কারনে কােন বক্তব্য দেয়া সম্ভাব হয়নি।
এবিষয় উপজলা মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নূর আলম ছিদ্দিকি বলন আমাকে এ বিষয় সহ-সুপার মাওলানা মুজিবুর রহমান জানিয়ছন। মাদ্রসার সহ সুপারক মিটিংএ এ ভাব অসন্মানজনক কথা বলা সত্যি দুঃখজনক। আমি নির্বাহী কর্মকর্তা মহােদয়কে জানাতে বলছি।
এবিষয় উপজলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সলিম মিয়া জানান, আমি বিষয়টি এখনা পর্যন্ত জানিনা।  বিষয়টি এমন হল সত্যি দুঃখ জনক। আভিযাগ পেলে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সাথে আলাচনা করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এবিষয় উপজলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হিটলারুজ্জামান বলন, তিনি একজন প্রধান শিক্ষক কােন ভাবেই কমিটির সদস্য হতে পারেনা। যদি সহ-সুপারর অসন্মানজনক আচরন ও অকথ্য ভাষায় গালমদ করে থাকে তা দুঃখ জনক। অভিযাগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহন করবা।
৪৬ বার ভিউ হয়েছে
0Shares