শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সাঁথিয়ায় অপহরণের দুইদিন পর বাক্সের ভেতর থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার,আটক-৩

সাঁথিয়ায় অপহরণের দুইদিন পর বাক্সের ভেতর থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার,আটক-৩

সাঁথিয়া(পাবনা)প্রতিনিধিঃ অপহরণের দুইদিন পর চাচাতো ভাইয়ের ঘরের বাক্সের (টাঙ্ক) ভেতর থেকে সালমান নামের চার বছরের শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলাধীন আতাইকুলা থানা পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে পাবনার সাঁথিয়ার আতাইকুলা থানার আলোকচর গ্রামে। মঙ্গলবার(১৬জানুয়ারী) রাত ১০টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত শিশু সালমান আতাইকুলা থানার সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের আলোকচর গ্রামের শিক্ষক হাশেম আলীর ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের চাচা, চাচি ও চাচাতো ভাইসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন-একই গ্রামের শিশুটির চাচা আনোয়ার হোসেন ওরফে শাহাদত(৪৮),চাচী ফাহিমা খাতুন (৪০) ও চাচাতো ভাই ফয়সাল হেসেন (২৩)।

নিহত শিশু সালমানের পিতা হাশেম আলী জানান, গত সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে আটটার দিকে আমার ছেলে সালমান নিখোঁজ হয়। পরিবারের সবাই তাকে খোঁজা খুঁজি করতে থাকি। পরে জনৈক এক ব্যক্তির মোবাইল ফোন থেকে আমার ভাই সাদ্দামের মোবাইলে টেলিগ্রাম অ্যাপসে ১০লাখ টাকা নিয়ে পাশের গ্রামের আতাইকুলা- সুজানগর সড়কের হিজলতলা নামক স্থানে টাকা রেখে সালমানকে আনতে ম্যাসেজ দেওয়া হয়। পরে এ বিষয়ে আতাইকুলা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে মামলা হয়,যার নং-৪,তারিখ ১৫/০১/২০২৪ ইং।

এ বিষয়ে আতাইকুলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনার পরই শিশুটির সন্ধানে কাজ শুরু করে পুলিশ। কললিস্ট ধরে সন্দেহভাজন শিশুটির চাচাতো ভাই ফয়সালকে সোমবার দুপুরে আটক করা হয়। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে শিশু সালমানকে অপহরণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে ফয়সাল। পরে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী মঙ্গলবার(১৬জানুয়ারী) রাত ১০টার দিকে ফয়সালের নিজ ঘরের একটি বাক্সের মধ্য থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বুধবার(১৭জানুয়ারী) লাশ ময়না তদন্তের জন্য পাবনা মেডিক্যালে ও আটককৃতদের পাবনা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে ওসি আরো জানান, শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ঘরে একটি বাক্সের মধ্যে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। ফয়সাল অনলাইন জুয়ায় হেরে সালমানকে অপহরন করে মুক্তিপণ দাবী করে বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছে ।

১৩ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS