বুধবার- ২২শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পঞ্চগড়ে নৌকার বিরুদ্ধে ভোট করায় যুবলীগ নেতাকে মারধর

পঞ্চগড়ে নৌকার বিরুদ্ধে ভোট করায় যুবলীগ নেতাকে মারধর

 পঞ্চগড় : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে ভোট করায় এবং নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে কথা বলায় পঞ্চগড় সদর উপজেলা যুবলীগের সহ সম্পাদক শাহাদত হোসেন সাদাতকে মারধর ও লাঞ্ছিত করেছে নৌকার কর্মী সমর্থকরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পঞ্চগড় জেলা শহরের ভাসানী পার্ক এলাকায় ওই যুবলীগ নেতাকে মারধর ও লাঞ্ছিত করে পঞ্চগড়-১ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যের ১০ থেকে ১৫ জন কর্মী সমর্থক। এমনকি তারা মারধরের ভিডিও ধারণও করে।
বিভিন্নভাবে ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওতে দেখা যায় যুবলীগ নেতা শাহাদতকে একসাথে ১০ থেকে ১৫ জন ব্যক্তি মারধর করছেন। এ সময় ওই যুবলীগ নেতা নিজেকে অসুস্থ দাবি করলেও তারা তাকে ছাড় দেয় নি। একসাথে কিল ঘুষি ও কাঁঠ দিয়ে মারধর করতে থাকে।
ভিডিওতে তাদের বলতে শোনা যায়, নব নির্বাচিত আওয়ামীলীগের সংসদ সদস্য নাঈমুজ্জামান ভূইয়ার বিরুদ্ধে নির্বাচনে কথা বলায় তাকে মারধর করা হচ্ছে। মারধরের পর আর কখনো সাংসদ মুক্তার বিরুদ্ধে কোন কথা না বলার অঙ্গীকার করতে বাধ্য করা হয় তাকে। মারধর ও লাঞ্ছিত করার পর তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। পরে আহত অবস্থায় স্থানীয়দের সহযোগিতায় শাহাদত পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়।
শাহাদত জানান, সদর উপজেলার পুকুরীডাঙ্গা এলাকায় নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে ডাক্তার দেখানোর জন্য ইজিবাইকে করে পঞ্চগড় জেলা শহরের যাচ্ছিলেন তিনি। যাওয়ার পথে পঞ্চগড় জেলা শহরের জালাসী ভাসানী পার্ক এলাকায় পৌছালে তাদের ইজিবাইকের গতিরোধ করে ওই এলাকার এলাকার মফিজুল, জহিরুল, আল আমিন, রফিকুল. শরিফ, হাসিবুল, নাঈম ও ফরিদসহ ১০ থেকে ১৫ জন তাকে টেনে হিচরে নামিয়ে রাস্তার পাশে নিয়ে তাকে বেধরক মারধর শুরু করে। তারা এলাকায় নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য নাঈমুজ্জামান ভূইয়ার কর্মী সমর্থক হিসেবে পরিচিত।
শাহাদত বলেন, সারা দেশেই নৌকার প্রার্থীর পাশাপাশি দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। আমাদের এখানেও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। আমি নির্বাচনে আনোয়ার সাদাত সম্রাটের হয়ে কাজ করেছি। এটাই আমার অপরাধ।
আমি ডাক্তার দেখানোর জন্য পঞ্চগড় জেলা শহরের যাচ্ছিলাম। আমি বার বার তাদের বলেছি আমি অসুস্থ তারপরও তারা আমাকে ছাড় দেয় নি। যারা আমার উপর হামলা করেছে তারা কখনো দলের আগে পিছে ছিলো না। এখন নাঈমুজ্জামান সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই তারা বেপরোয়া হয়ে পড়েছে। এর আগেও ৫ জনকে তারা মারধর করেছে। যারা নৌকার ভোট করেনি তাদের নানাভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে তারা। আমি এখন চিকিৎসা নিচ্ছি। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবো। আমি আমার উপর হামলার ন্যায্য বিচার চাই।
পঞ্চগড় সদর থানার ওসি প্রদীপ কুমার রায় বলেন, আমরা এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছি। অভিযোগ পেলেই প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে

৮৩ বার ভিউ হয়েছে
0Shares