শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
রংপুরে বিদ্যানন্দের দশ টাকার বাজার

রংপুরে বিদ্যানন্দের দশ টাকার বাজার

রংপুর ব্যুরো: নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের লাগামহীন দামে মানুষের শোচনীয় অবস্থায় একটু স্বস্তি ফেরাতে রংপুরে গরীবের সুপারশপ কর্মসূচী বাস্তবায়ন করেছে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। এতে এক কেজি চাল, একটি লাউ, এক কেজি আলু, একটি মিস্টি কুমড়া, চারটি বিস্কুটের প্যাকেট, এক কেজি লবন, টিশার্ট, খাতা প্রতিটির দাম ধরা হয়েছে এক টাকা। এক জোড়া স্যান্ডেল, এক কেজি মসুরের ডাল প্রতিটির দাম ধরা হয়েছে দুই টাকা। এক কেজি চিনি ও আটার প্যাকেট প্রতিটির দাম ধরা হয়েছে তিন টাকা। একটি লুঙ্গি, একটি স্কুলের ব্যাগ, এক লিটার তেল প্রতিটির দাম ধরা হয়েছে চার টাকা। একটি ব্রয়লার মুরগি, একটি মাছ প্রতিটির দাম ধরা হয়েছে পাঁচ টাকা। ১৮টি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যে সাজানো সুপারশপে নির্বাচিত আড়াই’শ জন অস্বচ্ছল মানুষ প্রত্যেকে ১০ দশ টাকা সমমূল্যের প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পেরেছেন। গতকাল শনিবার দুপুরে ফিতা কেটে সুপারশপে পণ্য বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আব্দুল মান্নান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, রংপুর প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক মেরিনা লাভলী, বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের বোর্ড মেম্বার ফারুখ আহমেদসহ অন্যরা।

বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের বোর্ড মেম্বার ফারুখ আহমেদ বলেন, বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন ২০১৩ সাল থেকে পিছিয়ে থাকা মানুষদের নিয়ে কাজ করছে। করোনার পর থেকে দেশের প্রান্তি পর্যায়ের হতদরিদ্র ও বয়স্ক মানুষের উপার্জনের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। সুপারশপে একজন হতদরিদ্র মানুষ ১০ টাকার টোকেন মানি দিয়ে ৬’শ থেকে ৭’শ টাকার ব্যাগভর্তি বাজার করেছেন। যা তাদের খাদ্যসহ আমিষের চাহিদা মেটাবে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আব্দুল মান্নান বলেন, আমি এ চমৎকার উদ্যোগ রংপুরে বাস্তবায়নের জন্য কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সরকার নিত্য পণ্যের উর্ধ্বগতি রোধে টিসিবি ও ওএমএসের মাধ্যমে চালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য দিচ্ছে। এর পাশাপাশি বিত্তবাণ ও বিভিন্ন সংস্থা এগিয়ে আসলে আমরা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গঠনে দ্রæত গতিতে এগিয়ে যাব।

১২৫ বার ভিউ হয়েছে
0Shares