মঙ্গলবার- ১৮ই জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৪ঠা আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ভোলা পৌরসভার ও এম এস এর আটা বিক্রি হয় কালোবাজারে ১৭ বস্তা আটা উদ্ধার করে রাত পর্যন্ত ভোক্তাদের মাঝে বিক্রি

ভোলা পৌরসভার ও এম এস এর আটা বিক্রি হয় কালোবাজারে ১৭ বস্তা আটা উদ্ধার করে রাত পর্যন্ত ভোক্তাদের মাঝে বিক্রি

ভোলা প্রতিনিধিঃ অবশেষে ডিলার আবুল কালামের গুদাম থেকে ১৭ বস্তা আটা উদ্ধার করে রাত পর্যন্ত ভোক্তাদের মাঝে বিক্রি করেছেন খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।

ভোলায় খাদ্য বিভাগের অধিনে ৯ জন ডিলারের মাধ্যমে ৯টি কেন্দ্রে ভোলা পৌর সভায় দির্ঘদিন যাবত ওএমএস এর-৩০ টাকা কেজি দরে চাল ও ২৪ টাকা কেজি দরে আটা বিক্রি চলছিল। এর মধ্যে নতুন বাজার, মহাজন পট্টি, বাংলাস্কুল মোড়রের ডিলার ছাড়া প্রত্যেকে ঠিকমত চাল-আটা বিক্রি করতো। ৬ জুন থেকে এ নিতীমালা পরিবর্তন করে পৌর এলাকায় ৬টি কেন্দ্র করে প্রতিদিন প্রতিটি কেন্দ্রে ১০০০ কেজি (একটন) করে শুধু আটা বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়। প্রথম জুন থেকে (১৩ জুন) মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রায় কেন্দ্রে কোন আটা বিক্রি করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন ভোক্তারা। তারা আটার জন্য হাহাকার করছে।

ডিলারেরা কার্ড করে দিবে বলে ভোক্তাদের কাছ থেকে আইড কার্ড ও স্টাম্প সাইজের ছবি নিতে ব্যস্থ্যতা দেখিয়ে আট বিক্রি না করে গুদাম আটকিয়ে চলে যায়। মঙ্গলবার গাজিপু রোর্ড কেন্দ্রে ভোক্তারা ২টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে আটা ছাড়া খালি হাতে ফিরে যায় ভোক্তারা। গাজিপুর রোর্ড কেন্দ্রসহ অন্যকেন্দ্র গুলোর কোন লোককে ১১ টার পরে খুজে পাওয়া যায়নি। আশ পাশের লোকজনে জানান, তারা আটা বিক্রি না করে গুদাম আটকিয়ে চলে গেছে। প্রতি রাতে এসে আটা অন্যত্র নিয়ে বিক্রি করে দেয়। এ বিষয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সন্দীপ কুমার দাসকে জানালে তিনি দেখবেন বলে জানান। তার কোন ব্যবস্থা না পেয়ে মিজানুর রহমান নামের এক ভোক্তা খাদ্য মন্ত্রনালয়ে সচিত্র অভিযোগ দায়ের করেন। অবশেষে বিকাল ৩টার পরে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তদন্ত করে গাজিপুর রোর্ডের ডিলার আবুল কালামের গুদামে অভিযান চালিয়ে ১৭ বস্তা আটা উদ্ধার করে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভোক্তাদের মাঝে বিক্রি করেন। সেই কেন্দ্রে ৩ দিন ১০০০ কেজি করে আটা বিক্রি করার জন্য অন্য ডিলার নিয়োগ করা হয়েছে। চওড়া মুল্যের বাজারে সরকার ভুর্তকী দিয়ে জনসাধারনের জন্য ও এম এস চালু রাখলেও কালো বাজারিরা সরকারের কর্মসুচিকে বাধা গ্রস্ত করে সরকারের সুনাম ক্ষন্ন করে। এ কালো বাজারি ডিলারদের লাইসেন্স বাতিল করে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দাবী করছেন ভোক্তারা।

১৫৮ বার ভিউ হয়েছে
0Shares