মঙ্গলবার- ২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের দৌলতদিয়া ঘাটে ঢাকামুখী মানুষের চাপ

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের দৌলতদিয়া ঘাটে ঢাকামুখী মানুষের চাপ

পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের লোকজন। রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাটে শুক্রবার (৬ মে) সকালে তেমন ভিড় দেখা না গেলেও দুপুর থেকে যাত্রী এবং যানবাহনের চাপ বাড়তে শুরু করেছে।
এদিন বেলা ১১টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাটে সরেজমিনে দেখা যায়, কর্মস্থলে ফেরা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে আসা রাজধানীগামী মানুষ দূরপাল্লার বাস, মাহেন্দ্র, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে ঘাটে এসে ফেরি ও লঞ্চে নদী পার হচ্ছেন। ঢাকামুখী যানবাহনের সারি ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত তিন কিলোমিটার ছাড়িয়ে গেছে। গরমের মধ্যে যানজটে আটকে থাকায় অনেকে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন।
কুষ্টিয়া থেকে আসা দূরপাল্লার একটি পরিবহনের ঘাট প্রতিনিধি মোরশেদ আলম বলেন, আজ দুপুরের আগ পর্যন্ত ঘাট এলাকায় যাত্রী বা যানবাহনের তেমন চাপ ছিল না। বেলা বারার পর থেকে যানবাহনের সঙ্গে মানুষও আসতে শুরু করেছে। তবে আগামীকাল থেকে মানুষের চাপ সবচেয়ে বেশি হবে।
মাগুরা থেকে আসা ঢাকাগামী যাত্রী বিল্লাল খন্দকার বলেন, আমি একটি সফটওয়্যার ফার্মে চাকরি করি। ছুটি এবার অনেক কম পেয়েছি, শনিবার থেকেই অফিস খোলা, তাই আজই চলে যাচ্ছি। কাল আবার সড়কে অনেক চাপ হতে পারে। এ জন্য আগেই ভোগান্তি ছাড়া চলে যাচ্ছি।
আরিচা লঞ্চমালিক সমিতির দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট প্রতিনিধি নুরুল আলম মিলন জানান, যাত্রী পারাপার নির্বিঘ্ন করতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ২২টি লঞ্চ চলাচল করছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শিহাব উদ্দিন বলেন, বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে যানবাহন পারাপারে ২১টি ফেরির মধ্যে ছোট-বড় মিলিয়ে ১৯টি ফেরি চলাচল করছে। যানবাহনের চাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাকি ২টি ফেরি বহরে যুক্ত হবে। এবার ঈদের আগে অধিকাংশ যাত্রীই ভোগান্তি ছাড়া নদী পার হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ঈদের পরেও ঘাটে কোনো ধরনের ভোগান্তি ছাড়া মানুষ কর্মস্থলে ফিরতে পারবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
৬২ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS