বৃহস্পতিবার- ২৭শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৩ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৫লাখ টাকার জন্য চিকিৎসা করাতে পারছেননা বøাড ক্যান্সারে আক্রান্ত সেনবাগের নুরুল হক

১৫লাখ টাকার জন্য চিকিৎসা করাতে পারছেননা বøাড ক্যান্সারে আক্রান্ত সেনবাগের নুরুল হক

মোঃ জাহাঙ্গীর আলম শায়েস্তানগরী ,নোয়াখালী প্রতিনিধি : মাত্র ১৫লাখ টাকার জন্য বøাড ক্যান্সারেন চিকিৎসা করাতে পারছেননা ৩সন্তানের জনক নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ১নং ছতারপাইয়া ইউনিয়নের ঠনারপাড় গ্রামের নূরুল হক (৫২)। মরণ ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে অসহ্য ব্যাথার যন্ত্রনায় বিচানায় কাতরাচ্ছেন তিনি। তার মরার ওপর খড়ার ঘা পরিনত হয়েছে নুরুল হকের। একে তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত অপরদিকে বড় ছেলে মোঃ জাহিদ (১৫) বাক প্রতিবন্ধিও অসুস্থ । তিনি পিতা-পুত্রের চিকিৎসায় মানবিক আর্থিক সাহায্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী ও দেশ বিদেশ অবস্থানরত বৃত্তশালী এবং প্রবাসীদের নিকট আকুতি জানিয়েছে সর্বশান্ত অসহায় এ পরিবারটি। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা: রেহানা বেগম, সঞ্চয়ী হিসাব নং- ১০২১৩৪০০৫২৩৩৫, স্যোশাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, কানকিরহাট শাখা, সেনবাগ, নোয়াখালী। পার্সনাল বিকাশ নম্বর- ০১৭৩৬০২৩২৪৩।

জানাগেছে, তিন পুত্র সন্তানের জনক নূরুল হক পেশায় একজন ভ্যান চালক বছর খানেক আগে তিনি অসুস্থ্য হয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে প্রফেসর ডা. গোলাম রাব্বানী তাঁর ‘বোন-ক্যান্সার’ সনাক্ত করেন। পরবর্তিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগন নমুনা সংগ্রহ করে ভারতের একটি হাসপাতালে পরীক্ষা করে সনাক্ত করেন তাঁর হাঁড় থেকে বøাডে ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়েছে। চিকিৎসকরা ৮টি কেমো থেরাপির পর ঢাকায় ক্যান্সার হাসপাতালে নিয়ে বিশেষ প্রক্রিয়ায় পুরো শরীরের রক্ত একদিক দিয়ে বের করে অন্যদিক দিয়ে বিশুদ্ধ রক্ত প্রবেশ করানোর পরামর্শ দিয়েছেন। এতে চলমান চিকিৎসা অব্যহত রাখা, পরীক্ষা-নিরিক্ষা, ঔষধপত্র, অন্যান্য খরচ সহ ব্যয় হবে ১৫-১৬ লাখ টাকা হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। অসহায় পরিবারটি পক্ষে এত টাকা জোগাড় করা অসম্ভব।

নূরুল হকের স্ত্রী রেহানা বেগম (৩০) জনান, পরিবারের এক মাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি তার স্বামীর গত এক বছর যাবৎ চিকিৎসা চালাতে গিয়ে সহায় সম্বল সব হারিয়ে এখন দিশে হারা, চোখে মুখে ঘোর অন্ধকার। নিজের যৎসামান্য শখের অলংকার, একটি অটোরিক্সা, ঘরের আসবাবপত্র বিক্রি ও আতœীয়-স্বজনের সহযোগিতায় ইতোমধ্যে ৮টির মধ্যে ৭টি কেমো থেরাপী শেষ করেছেন। আর একটি কেমো দেয়ার পর তাঁকে ঢাকায় নিয়ে মূল চিকিৎসা করাতে হবে। এতে ব্যয় হবে ১৫-১৬ লাখ টাকা। অপর দিকে বড় ছেলে স্থানীয় লেমুয় উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী বাক প্রতিবন্ধি (লিখতে পারে) মোঃ জাহিদ (১৫) ইদানিং বার বার হঠাৎ করে অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছে। তারও চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের তত্বাবধানে চিকিৎসা চলছে, তার কিছু ব্যয়বহুল পরীক্ষার করানোর জন্য পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তাররা। সর্বশান্ত পাঁচ সদস্যের এ অসহায় পরিবারটি ভরণপোষন যোগানোই এখন অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। চিকিৎসা চালিয়ে যাবার মত আর কোন সামর্থ তাদের নেই। পিতা-পুত্রের চিকিৎসায় প্রধানমন্ত্রী ,সমাজের বিত্তবান, প্রবাসী ও মানবিক সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান সমূহের প্রতি আর্থিক সাহায্যের আকুতি জানিয়েছেন সর্বশান্ত অসহায় এ পরিবারটি।

আপনাদের একটু মানবিক সহায়তায় সুস্থ্য জীবনে ফিরতে পারে দু’টি জীবন, অপর অবুঝ শিশু জিহাদুল (১১) ও জুনায়েদ (৫) সহ পাঁচ সদস্যের এ পরিবারটিতে আবার ও ফিরতে পরে আনন্দের হাঁসি!

৪১ বার ভিউ হয়েছে
0Shares