মঙ্গলবার- ২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ঘোড়াঘাটের স্বামী কর্তৃক  স্ত্রীকে তালাক : বিজিবির হাতে মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে দিলেন তালাকপ্রাপ্ত স্বামী 

ঘোড়াঘাটের স্বামী কর্তৃক  স্ত্রীকে তালাক : বিজিবির হাতে মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে দিলেন তালাকপ্রাপ্ত স্বামী 

ঘোড়াঘাট উপজেলা প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার হরিপাড়া গ্রামের মোঃ রুবেল মিয়া(২৯) পিতা  মৃতু-মোঃ ইউনুস আলী মিয়া বিজিবির হাতে মাদক দিয়ে পলাতক আসামী দেখিয়ে দিয়ে ফাঁসিয়ে দিলেন তালাকপ্রাপ্ত স্বামী মোঃ আফজাল হোসেন।
বর্তমান স্বামী- ও স্ত্রী মোছাঃ  গাজুলী খাতুনের আপন আত্মীয় স্বজন সূত্রে জানা গেছে মোঃ আফজাল হোসেন পিতা মৃত আনেচ মন্ডল, মাতা- উল ফুল বিবি, সাং- পশ্চিম কলিঘাটা, পোস্ট+ থানা পাঁচবিবি, জেলা জয়পুরহাটের সংগে মোছাঃ  গাজুলী খাতুন পিতা মৃত ফজলুল হক মাতা-মোছাঃ  ফাতেমা বেগম সাং-করমুডাঙ্গা থানা-সাপাহার, জেলা নওগাঁর সঙ্গে ইসলামী শরা শরীয়াত অনুযায়ী তাদের বিবাহ সুসম্পন্ন হয়। বিবাহিত জীবনে দীর্ঘ ১৫ বছর পর স্বামী  মোঃ আফজাল হোসেনের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। যাহা বিজ্ঞ নোটারী পাবলিক এর কার্যালয়, ঢাকা বাংলাদেশ স্ত্রী কর্তৃক স্বামীকে তালাক প্রদান করা  হয়েছে।যাহার তারিখ ১৬/০৬/২১ ইং।
এ তালাক দেওয়াই কাল হয়ে দাঁড়ালো স্ত্রী মোছাঃ গাজুলী খাতুন ও স্বামী- দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার হরিপাড়া গ্রামের মোঃ ইউনুস আলীর ছেলে মোঃ  রুবেল মিয়া।
এই নব দম্পতি রুবেল মিয়া ও গাজলী খাতুন কে  পাঁচবিবি থানা পুলিশ পাঁবিবি থানার মামলা নং-৩৫/ তাং- ২০/০১/২৩ ইং তারিখের মামলায় রুবেল ও গাজলী খাতুন( ৩১)কে গ্রেফতার করে জয়পুরহাট বিঙ্য আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।
এই মামলাটি সম্পুর্ন রুপে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বলে আসামীর আত্বীয় স্বজন সুত্রে জানা গেছে। সিভিল সোর্সের মাধ্যমে  ১৪বিজিবি কড়িয়া বিওপির ক্যাম্প কমান্ডার শ্রীঃ তপন কুমারকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সংবাদ দিলে গত১৯/০১/২৩ ইং তারিখে জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি থানাধীন ২৭৮/১৭ এস হইতে  ৭০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পশ্চিম কড়িয়া  গ্রামের মাঠের মধ্যে নব দম্পত্তি গাজলী খাতুন ও রুবেল কে ১৮০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট একটি লেডিস পালসের ভিতর থেকে  পরিত্যাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায় বলে জানা গেছে।
এই মামলার জব্দ তালিকার সঙ্গে সিভিল সাক্ষী মোঃ আবুল হোসেনের স্বাক্ষর মিল নেই। পরিত্যাক্ত পালসের ভিতর থেকে ন্যাশনাল আইডি কার্ড এজাহারে উল্লেখ থাকলেও জব্দ তালিকায় উল্লেখ নেই। তাই এমামলায় সিভিল সোর্স কে আইনের আওতায় এনে প্রকৃত এই ১৮০ পিস ইয়াবার মালিক কে প্রকৃত রহস্য পাওয়া যাবে এমনটাই আশা করেন আসামিদের আপন আত্মীয়-স্বজনরা। এসব বিষয়ে স্বরে জমিন তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের  জয়পুরহাট বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়কের সু-দৃষ্টি কামনা করেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
১২ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS