সোমবার- ১লা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৭ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সৈয়দপুরে মনিহাড়ি পট্টিতে নকল প্রসাধনী ও চাইনিজ আতশবাজি বোমার ব্যবসা জমজমাট

সৈয়দপুরে মনিহাড়ি পট্টিতে নকল প্রসাধনী ও চাইনিজ আতশবাজি বোমার ব্যবসা জমজমাট

দুলাল সরকার, সৈয়দপুর-নীলফামারী প্রতিনিধি : সৈয়দপুরে নকল প্রসাধনীতে ছেয়ে গেছে বানিজ্যিক শহর সৈয়দপুর। এমনকি পাড়া-মহল­ায় দোকানগুলোতেও অবাধে বিক্রি হচ্ছে নকল প্রসাধনী সামগ্রী। নকল এসব প্রসাধনী ব্যবহারে বিভিন্ন ধনের চর্মরোগসহ স্কিন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকলেও নজর নেই স্থানীয় প্রশাসনের। শহরের রেলওয়ের বড় বাজারের মনিহাড়ি পট্টিতে কতিপয় পাইকারি ব্যবসায়ীরা। এখান থেকে এসব কসমেটিকসহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল তৈরি করে দেশ-বিদেশের জনপ্রিয় ব্রান্ডের শিশু থেকে সব বয়সির নিত্যব্যবহার্য প্রসাধনী সামগ্রী স্থানীয় বাজার ছাড়াও নীলফামামী, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, হাতিবান্ধাসহ উত্তরের বিভিন্ন জনপদের ব্যবসায়ীরা এখান থেকে নিয়ে যাচ্ছেন। নকল এই প্রসাধনীর প্যাকেটে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের নাম, অনুমোদন, বিএসটিআই লোগো, ব্যাচ নং, এমআরপি, এমএফজি, মেয়াদের তারিখ সবকিছুই উলে­খ রয়েছে। মোড়ক দেখে বোঝার উপায় নেই, কোনটা আসল আর কোনটা নকল। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সৈয়দপুরের মনিহাড়ি পট্টিতে বেশ কয়েকটি পাইকারি দোকানে বিক্রি হচ্ছে এসব নকল প্রসাধনী বিক্রি হচ্ছে। তাদের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হলো- সেলিম, হরি, আহম্মেদ, লাড্ডান, কাঞ্চন, শহিদ, সাদ্দাম, শদরে আলম, রতন, জগোন্নাথসহ আরো অনেকে। এদিকে এ ব্যাপারে ওইসব অসাধু ব্যবসায়ীদের সাথে কথা হলে তারা জানান, আমরা দীর্ঘদিন থেকে প্রশাসনের সাথে মাসিক, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক মাসোয়ারার বিনিময়ে এসব ব্যবসা চালিয়ে আসছি। আপনারা পত্রিকায় লিখে কি করবেন। তবে অপরদিকে সেলিম নামে এক ব্যবসায়ী সে আতশবাজি বোমার ব্যবসা চালিয়ে আসছে। সে দম্ভক্তি সাথে বলেন, আমার ব্যবসা বন্ধের আগে নকল প্রসাধনীর ব্যবসা বন্ধ করতে হবে এবং অনেক ব্যবসায়ী এলসির অন্তরালে পুরোতন এলসির কাগজ দেখিয়ে তারা বারবার এলসরি মাধ্যমে ভারত থেকে নিয়ে আসার কথা বলে কতিপয় প্রশাসনের যোগসাজসের কারণে তারা পার পেয়ে যাচ্ছেন। ওই মনিহাড়ি পট্টির বেশকয়েকজন ব্যবসায়ী সূত্র থেকে জানা যায়, হরি নামের এক ব্যবসায়ী তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা থাকা সত্তে¡ও তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না কোন ক্ষমতার বলে। অপর দিকে এ সংক্রান্ত ব্যাপারে ওই ব্যবসায়ীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার নামে ঢাকার একটি মামলা হয়েছিল কিন্তু কোর্টে আমি কোনদিন হাজিরা দেই নি। কিন্তু আমার নামে গ্রেফতারী পরোয়ানা আছে কিনা তা আমি জানি না। এছাড়াও মনিহাড়ি পট্টির দোকানগুলোতে বহুজাতিক কোম্পানির হুবহু নকল প্রসাধনীও অবাধে বিক্রি হচ্ছে। যেমন, মেড ইন জার্মানির জায়গায় মেড অ্যাজ জার্মানসহ বিভিন্ন দেশের স্টিকার ব্যবহার করা হচ্ছে। এগুলো বিভিন্ন পার্লার, সেলুন ও হেয়ার ড্রেসিংয়ের দোকানলোতে বেশি ব্যবহার হচ্ছে। অন্যদিকে এসব পণ্যে যুবকদের আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে বিজ্ঞাপনও দেওয়া হচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষ প্রতারিত হয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতির পাশাপাশি শরীরে চর্মরোগ সহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকিও বাড়ছে। তাই সচেতন সৈয়দপুরবাসী ওই সব অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অতি দ্রæত ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালানোর জন্য সংশিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

 

১৬৫ বার ভিউ হয়েছে
0Shares