জমে উঠেছে ঐতিহ্যবাহী তারাগঞ্জ কোরবানির পশুর হাট


আমজাদ হোসাইন, তারাগঞ্জ (রংপুর)প্রতিনিধিঃ পবিত্র ঈদ-উল-আযহায় রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী তারাগঞ্জ কোরবানির পশুর হাট, জমে উঠেছে কেনাবেচায়। গরু, ছাগল ও ভেড়ার সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলেও শুরুর দিকে বেচাকেনা ছিল কিছুটা কম। তবে ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড়, চাঙা হচ্ছে দরদাম।সাপ্তাহিক এই হাট বসে প্রতি শুক্র ও সোমবার।সংশ্লিষ্ট উপজেলা সহ পার্শ্ববর্তী জেলা শহর থেকেও আসছেন ক্রেতা ও বিক্রেতারা। সকাল থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে কেনাবেচা।তারাগঞ্জের প্রধান হাট ছাড়াও উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের বুড়িরহাট ও চিলাপাক হাট ও সপ্তাহে দুইদিন করে স্থানীয়ভাবে কোরবানির পশুর বেচাকেনা চলছে।হাট ঘুরে দেখাগেছে,ছোট আকারের গরু বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭৫ হাজার টাকায়, মাঝারি আকারের গরু ১ লাখ ১০ হাজার থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকায়। তবে বড় আকারের গরুর সরবরাহ তুলনামূলক ভাবে কম।বিক্রেতারা জানান, পশুখাদ্য ও চিকিৎসা ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় গরুর দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে দরদাম করে কিনছেন অধিকাংশ ক্রেতাই।
চড়কডাঙ্গা গ্রামের ক্রেতা মো. লাল মিয়া বলেন, “যে গরুর মান ভালো, তার দাম তুলনামূলকভাবে বেশি। দরদাম করে নিতে হচ্ছে। ঈদের সময় যত ঘনিয়ে আসছে, দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।পশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় হাটে মোতায়েন রয়েছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের একটি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কে.এম. ইফতেখারুল ইসলাম বলেন, “হাটে কোনো অসুস্থ বা ইনজেকশন দেওয়া পশু না উঠতে পারে তা নিশ্চিত করতে নিয়মিতভাবে পশু পরীক্ষা করা হচ্ছে।।নিরাপত্তা রক্ষায় হাটজুড়ে কাজ করছে পুলিশ সদস্য ও হাট কমিটির স্বেচ্ছাসেবক দল।তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম. এ. ফারুক বলেন, “নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন করা হয়েছে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল রানা বলেন, “যেকোনো অনিয়ম বা বিশৃঙ্খলা রোধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।হাট কর্তৃপক্ষ আশা করছে, ঈদের আগের হাটগুলোতে কেনাবেচা আরও বৃদ্ধি পাবে এবং বিক্রেতারা তাদের কাঙ্ক্ষিত মূল্য পাবেন।