ঝিকরগাছায় চার সাংবাদিকের নামে মামলা, শার্শা প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের নিন্দা।।
যশোর : যশোরের ঝিকরগাছায় অন্তবর্তী সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনে চার সাংবাদিকসহ ৩৭ জনের নামে মামলা হয়েছে। গত ১৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ঝিকরগাছা উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের হযরত আলীর ছেলে স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সোলাইমান হুসাইন এ মামলাটি করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন, দৈনিক কল্যানের আবুল কালাম আজাদ, কালবেলার শাহ জামাল শিশির, স্পন্দনের আবু সাইদ মিলন এবং দৈনিক নওয়াপাড়ার একরামুল হক খোকন।
এ ঘটনায় শার্শা প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ নিন্দা জানিয়ে ও মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিবৃতি দিয়েছেন। শার্শা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইয়ানুর রহমান, সহ-সভাপতি আব্দুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা, যুগ্ম-সম্পাদক আসাদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ওসমান গনি, প্রচার সম্পাদক আতিয়ার রহমান, ক্রীয়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান, জুলফিকার আলী জুলু ও মেহেদী হাসান।
উল্লেখ্য এই মামলায় ঝিকরগাছা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ৩৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫০-৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ এই মামলার আসামি এহতেসাম হামিদ রাজু ও শাওন রেজা খোকাকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে।
বাদী সোলাইমান হুসাইন মামলায় বলেছেন, তিনি একজন ব্যবসায়ী এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য। আসামিরা আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ। তারা বর্তমান অন্তর্র্বতী সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য নানা ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ড করে আসছিল। তারই অংশ হিসেবে গত ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঝিকরগাছা উপজেলা স্মৃতিস্তম্ভের ব্যানারে লাল রঙ দিয়ে স্প্রে করে ‘জয় বাংলা’ লিখে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। বিষয়টি স্থানীয় নেতৃবৃন্দের দৃষ্টিগোচর হলে বাদীসহ তার দলীয় লোকজনদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হয়। ১৭ ডিসেম্বর বিকেল ৫টার দিকে প্রয়োজনীয় কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে বাদী আসামিদের দেখতে পান। এরপর তার পরিচিত লোকজনদের সাথে নিয়ে ঝিকরগাছা থানাধীন জয়কৃষ্ণপুর জামতলা মোড়ে পৌঁছানো মাত্র তাদের লক্ষ্য করে দুটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়। পুলিশ বোমাসাদৃশ্য জব্দ করে।
এদিকে এই মামলায় চারজন সাংবাদিককে আসামি করায় সাধারণ মহলে নানা সমালোচনা শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক মামলার আসামি করায় সাংবাদিকরাও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।