সোমবার, ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নেত্রকোনায় বন্যার কারণে ১৮৬টি বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষনা

নেত্রকোনায় বন্যার কারণে ১৮৬টি বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষনা

১৫ Views

এ কে এম আব্দুল্লাহ্, নেত্রকোনা ঃ গত তিন দিনের ভারী বৃষ্টি আর ভারতের মেঘালয় রাজ্য থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে নেত্রকোনার চারটি উপজেলায় বন্যা দেখা দেয়ার কারণে ১৮৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
নেত্রকোনা জেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ ইমদাদুল হক জানান, বন্যার কারণে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে পানি ঢুকে পড়ায় দুর্গাপুরে ৬২টি, কলমাকান্দা ৯৩টি, পূর্বধলা ১১টি ও নেত্রকোনা সদরে ২০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে।
নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, গত কয়েকদিনের অব্যাহত ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে নেত্রকোনার সোমেশ্বরী, উব্দাখালী, কংশ, ও ধনু নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ রবিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে কংশ নদের পানি বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সোমেশ্বরী নদীর পানি দুর্গাপুর পয়েন্টে বিপদসীমার ৪২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং উব্দাখালি নদীর পানি বিপদ সীমার ১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি বাড়ায় ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে পূর্বধলার নাটেরকোণার প্রায় ৭ কিলোমিটার বেরী বাঁধ। ইতিমধ্যে বাঁধের অনেকাংশই পানি ছুঁই ছুঁই করছে। স্থানীয়রা বালির বস্তা ও মাটি ফেলে কোন রকমের বাঁধটি টিকিয়ে রাথার চেষ্টা করছে। বাঁধ রক্ষায় স্থানীয়দের পাশাপাশি আনসার সদস্যাও অংশ নেয়। বাঁধ ভেঙে গেলে বা ক্ষতিগ্রস্থ হলে পুরো পূর্বধলা উপজেলা প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
দুর্গাপুর, কলমাকান্দা, পূর্বধলা ও সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে পানিবন্দী মানুষের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে।
নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সারোয়ার জাহান জানান, নেত্রকোনা তিন দিনে সর্বোচ্চ পরিমান বৃষ্টিপাতের রেকর্ড হয়েছে। গত ৩ দিনে ৭৫৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
বন্যার্তদের সহযোগিতায় ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১১টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এ সব আশ্রয় কেন্দ্রে ১১৫টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। বন্যা দুর্গত ১ হাজার পরিবারের মাঝে চাল, ডাল, তেল শিশু খাদ্য ও গো খাদ্যের জন্য নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে।

Share This

COMMENTS