বৃহস্পতিবার- ২৭শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৩ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পুলিশি হয়রানীর বিরুদ্ধে চেয়ারম্যানের পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

পুলিশি হয়রানীর বিরুদ্ধে চেয়ারম্যানের পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

বদরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি: পুলিশি হয়রানী ও মিথ্যা মামলায় জড়ানো চেষ্টার অভিযোগের প্রতিবাদের রংপুরের বদরগঞ্জে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকেল তিন টায় বদরগঞ্জ রেলস্টেশন সংলগ্ন তার অফিসে এর আয়োজন করে কালুপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত শহিদুল হক মানিকের পরিবার। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার মেয়ে মোছাঃ সামিহা ইয়াসমিন তুরিন।

এসময় লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার পিতা শহিদুল হক মানিক জনগনের ভালবাসায় বিপুল ভোটে চার চার বার বদরগঞ্জ উপজেলার কালুপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে সম্মানের সহিত দায়িত্ব পালন করে আসছেন। একটি মহল তার সাফল্য দেখে ইর্ষান্বিত হয়ে আমাদের ইমেজ ক্ষুন্ন করার জন্য সব সময় পিছু লেগে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় সেই মহলটি জনৈক আব্দুল মজিদের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে আমার পিতা শহিদুল হক মানিক চেয়ারম্যানকে জড়ানোর পায়তারায় লিপ্ত হয়েছে। অথচ আব্দুল মজিদের মৃত্যুর বিষয়ে বদরগঞ্জ থানা পুলিশ এবং বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তাদের নোটে লিপিবদ্ধ করে বলেছেন, তার মৃত্যুতে কোন শারিরীক নির্যাতনের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। একারনে আব্দুল মজিদের পরিবারের পক্ষ থেকে ওই সময় কারো বিরুদ্ধে থানায় কিংবা আদালতে কোন প্রকার লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ করা হয়নি।

তিনি আরও বলেন, এতোসব জানার পরেও সেই মহলটির পক্ষ নিয়ে মাননীয় বদরগঞ্জ পৌর সভার মেয়র মহোদয় জনাব, টুটুল চৌধুরী সাহেব প্রতিহিংসাবশতঃ মরহুমের বাড়িতে কয়েকবার নিজে গিয়ে তার বাবা ও সন্তানদের বোঝায় যে আপনারা মানিক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বদরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যত সহযোগীতা লাগে আমি করবো। কিন্ত তার বাবা ও সন্তানরা মেয়রের কথায় রাজী না হওয়ায় তিনি পরবর্তী সময়ে মরহুমের দ্বিতীয় স্ত্রী বিলকিস বেগমকে ধর্ম বোন বানিয়ে নানান প্রলোভন দেখিয়ে সইদার মেম্বার ও সায়েদের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো আসামী করে ০২/০৬/২০২২ইং (মামলা নং ১/১২৭) তারিখে বদরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলায় আবার পিতার বা আমার পারিবারের কোন সদস্যের নাম না থাকা সত্বেও পুলিশ নানানভাবে আমাদের হয়রানি করছেন। যেমন বদরগঞ্জ থানার ইনেসপেক্টর (তদন্ত) নুর আলম ছিদ্দিক বারবার তদন্তের নামে বাসা/বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এসে ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন ধরনের হয়রানি মূলক কথা/বার্তা বলার পাশাপাশি হুমকি দিচ্ছেন। তিনি প্রস্তাব দিয়েছেন চেয়ারমিনি করতে গেলে এবং ব্যবসা প্রতিষ্টান চালাতে হলে আমাদের সাথে সমঝোতায় আসতে হবে। না হলে দোকানের সকল কর্মচারী এবং আমার ভাই তমালসহ আমার পিতার কাছের লোকদের ধরে নিয়ে জেল হাজতে ভরে রাখা হবে। একপর্যায়ে তিনি আমাদের দোকানের বিলাশ নামে এক স্টাফকে ধরে নিয়ে পাঁচ লাখ দাবী করেন। পরবর্তীতে আমরা দর কষাকষি করে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে আনি।

এখন ওই ইনেসপেক্টর তদন্ত নুর আলম ছিদ্দিক বলছেন আমার সার্কেল অফিসার এডিশনাল এসপি আরিফ স্যার এবং আমার পুলিশ সুপার ফেরদৌস স্যার তারা ঢাকায় ভাল ভাল স্থানে চাকুরী করেছেন তাই তারা কাউকে কোন কেস থেকে বাচাতে অনেক টাকা নেন। তাই আপনার বাবাসহ সবাইকে বাচাতে হলে ২৫ লাখ টাকা দিতে হবে। সেই টাকা দিয়ে আমি স্যারদের ম্যানেজ করে সকল হয়রানী থেকে দুরে রেখে মামলা থেকে বাচাবো এবং আপনার পিতা শান্তিতে চেয়ারম্যানি করবে ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালাবে। না দিলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ রাখতে হবে এবং আপনার পিতাসহ সবাইকে মামলায় জড়িয়ে জেল হাজতে রাখা হবে।

মামলার আসামী সইদার মেম্বার আমার পিতা শহিদুল হক মানিকের কাছ থেকে ২০১৪ সালে মেম্বার থাকাকালীন সময়ে ২ লাখ টাকা ধার নেয়। পরবর্তীতে ৬০ হাজার টাকা ফেরত দিলেও ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা ফেরত না দেয়ায় আমার বাবা তার এলাকার লোকজনের কাছে মেম্বারের নামে বিচার দেয়। তখন ওই এলাকার লোকজন গত মাসের (২৮ মে/২২ইং) সইদার মেম্বারকে নিয়ে প্রথমে আমাদের বাসায় আসেন। কিন্ত আমার বাবাকে না পেয়ে তারা আমাদের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে আমার পিতার সাথে দেখা করেন। এসময় সইদার মেম্মারের সাথে আলোচনা শেষে আমার পিতা চিকিৎসার জন্য বেলা বারো ঘটিকায় ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। মৃত আব্দুল মজিদ আমাদের বাসা কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আসেননি। মৃত আব্দুল মজিদের সাথে আমার পিতার সাক্ষাত তো দুরের তার সাথে কোন প্রকার কথাও হয়নি। কারন আব্দুল মজিদের সাথে আমাদের কোন পাওনা বা দেনা কখনও ছিল না। এর পরেও ওই চিহ্নিত মহলটি সম্মানিত সাংবাদিক ভাইদের নানান ভুল তথ্য দিয়ে চেয়ারম্যান ও আমাদের পরিবারের ইমেজ ক্ষুন্ন করতে মনগড়া বানোয়াট তথ্য সরবরাহ করে সংবাদ প্রকাশে সহযোগীতা করছেন। আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে আপনাদের মাধ্যমে সঠিক বিষয়টি তুলে ধরে সংবাদ প্রকাশ করতঃ বিনা কারনে প্রশাসনের হয়রানি থেকে বাচতে সহযোগীতা কামনা করছি। সেই সাথে আমরা মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করে সঠিক তদন্ত করে আসল ঘটনা তুলে ধরার জন্য সবিনয়ে অনুরোধ করছি।

৮০ বার ভিউ হয়েছে
0Shares