শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বেঘমগঞ্জে নাম ধরে ডাকায় বন্ধুর ছুরিকাঘাতে বন্ধু খুন,ঘাতক আটক

বেঘমগঞ্জে নাম ধরে ডাকায় বন্ধুর ছুরিকাঘাতে বন্ধু খুন,ঘাতক আটক

মোঃ জাহাঙ্গীর আলম শায়েস্তানগরী ,নোয়াখালী প্রতিনিধি :; নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম কুতুবপুর গ্রামে নাম ধরে ঢাকার তুচ্ছ ঘটনার জেরে জাহিদুল ইসলাম প্রকাশ রিয়াজ (২০) এক তরুণকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় মনির হোসেন (১৮) নামে আরও একজন আহত হয়েছেন। নিহত জাহিদুল ইসলাম প্রকাশ রিয়াজ উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম কুতুবপুর গ্রামের ওয়ারিশ হাজী বাড়ির হারুনুর রশীদ প্রকাশ কালামিয়ার ছেলে। রিয়াজ ঢাকার একটি ব্যাগ তৈরীর কারখানায় চাকরি করতো।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) রাত পৌনে ৮টার দিকে উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের কামলারটেক বাজারের হাশেমের দোকানের সামনে এ ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে একই গ্রামের আলাবক্স বেপারী বাড়ির মহিউদ্দিনের ছেলে হামলাকারী মোঃ রিয়াজকে (২০) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

পুলিশ ও স্থানীয় স‚ত্রে জানা যায়, ভিকটিম জাহিদুল ও আটককৃত আসামি রিয়াজ উভয়ে প্রতিবেশী এবং একসাথে চলাফেরা করত। ভিকটিমের সাথে ৪-৫ দিন আগে আসামি রিয়াজের খেলাধুলা নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাহিদুল তার কয়েকজন বন্ধুসহ স্থানীয় কামলারটেক বাজারের হাশেমের চা দোকানের সামনে আড্ডা দিচ্ছিলেন। ওই সময় কিশোর গ্যাং সদস্য বখাটে রিয়াজ তার কয়েকজন সাঙ্গপাঙ্গসহ জাহিদুলের উপর অর্তকিতে হামলা চালায়। এক পর্যায়ে তারা রিয়াজের বুকে ছুরিকাঘাত করলে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। তাকে বাঁচাতে তার বন্ধু মনির এগিয়ে আসলে তাকেও গুরুত্বর জখম করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জাহিদুল ইসলাম রিয়াজকে মৃত ঘোষণা করে। আহত মনির ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বেগমগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, তারা পরস্পর বন্ধু ছিল। তাদের পাশাপাশি বাড়ি। ছোট কাল থেকে তারা এক সাথে চলাফেরা করত। নিহত জাহিদুল আসামি রিয়াজকে নাম ধরে ডাকে। তখন আসামি রিয়াজ ভিকটিমকে বলে আমি কি তোর ছোট নাকি। এরপর কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে তাকে ছুরিকাঘাতে করলে ভিকটিম ঘটনাস্থলেই মারা যায়। ওসি মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম আরও বলেন, মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পরপরই একজনকে আটক করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগের আলোকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

২৬ বার ভিউ হয়েছে
0Shares