বৃহস্পতিবার- ২৭শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৩ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
খেজুরসহ খেজুর গাছ হারিয়ে যাচ্ছে

খেজুরসহ খেজুর গাছ হারিয়ে যাচ্ছে

সঞ্জয় ব্যানার্জী, পটুয়াখালী প্রতিনিধি। পটুয়াখালীর গ্রামাঞ্চল থেকে দেশী প্রজাতির খেজুর গাছসহ গ্রাম বাংলার দেশী খেজুর কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে। শীতকালে গ্রামের সাধারন মানুষের জীবন ও জীবিকার এবং বাড়তি আয়ের অন্যতম উপাদান হিসাবে খেজুরের রস ছিল। সারি সারি রসের হাড়ি দেখে সাধারন মানুষ আনন্দে আতœহারা হয়ে যেত। আর গ্রীম্মকালে দেশী প্রজাতির পাঁকা খেজুর সাধারন মানুষসহ পাখিরা খেয়ে আনন্দ পেত। কালের বিবর্তনে সেই দৃশ্য আর আনন্দ এখন আর আগের মতো চোখে পড়ে না।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, দশমিনা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের গ্রামাঞ্চলে এখন আর আগের মত খেজুর গাছ চোখে পড়ে না। গ্রামের রাস্তার দুই পাশে সারি সারি খেজুর গাছ এখন আর নেই। আবাদি কিংবা অনাবাদি জমি ও বসতঘরের আশেপাশে খেজুর গাছ থাকলেও মানুষ তার নিজের প্রয়োজনে কেটে ফেলেছে। অনেকে গাছ কেটে জা¦লানী হিসাবে বা টাকার জন্য অল্প দামে বিক্রি করে দিয়েছে। ফলে কালের ক্রমে ধীরে ধীরে খেজুর গাছের সংখ্যা কমে গেছে। বানিজ্যিক ভাবে এই গাছটি কেউ রোপন করছে না। এই গাছ রাস্তা,বসতঘর,আবাদি কিংবা অনাবাদি জমির আশেপাশে প্রাকৃতিকভাবেই জন্মে থাকে। প্রায় ২৫ থেকে ৩০ বছর আগে গ্রামাঞ্চলে সারি সারি খেজুর গাছ ছিল। গ্রামের গাছিরা কুয়াশার চাদরে ঢাকা শীতের ভোরে খেজুরের রস সংগ্রহে নেমে পড়তো। এখন আর এই দৃশ্য চোখে পড়ে না।
উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের প্রতি বছর শীতের আমেজ শুরু হওয়ার সাথে সাথে খেজুর গাছ কাটতে গাছিরা ব্যস্ত হয়ে পড়তো। গাছ কমে যাওয়ায় এখন আর আগের মত কেউ গাছ কাটছে না। ফলে গাছিদের রস সংগ্রহে খুব কম দেখা যাচ্ছে। ঘন কুয়াশায় পড়ে খেজুর রসের মন মাতানো সুমিষ্ট ঘ্রান আর দেখা মিলছে না। গাছ কমে যাওয়ায় গ্রাম বাংলার দেশী খেজুর এখন আর আগের মত পাওয়া যায় না। পর্যাপ্ত গাছ না থাকায় খেজুরের পরিমান কমে গেছে। ফলে মুখরোচক খেজুরের রস ও খেজুরসহ দেশী প্রজাতির খেজুর গাছ সময়ের বিবর্তনে বিলুপ্ত হতে চলছে। নতুন করে কেউ খেজুর গাছ রোপন করছে না। ঐতিহ্য ধরে রাখা ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য পরিবেশ বান্ধব এই গাছ বেশী করে রোপন করা প্রয়োজন।

২৮ বার ভিউ হয়েছে
0Shares